শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নিহাল খান, শাহজাদপুর: বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের দুর্দিন চলছে। দেশি কাপড় কেনা বেচা না থাকায়, বাংলাদেশি বাজারে ভারতীয় কাপড় ক্রমশই প্রবেশ করায় বিদেশী কাপড়ের দখলে হুমকীর মুখে দেশের তাঁত শিল্প। সেই সাথে রয়েছে পুজি ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। বর্তমান যুগের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে জেলার অনেক তাতী বন্ধ করে দিয়েছে তাঁত কারখানা। কেবল সিরাজগঞ্জেই বন্ধ হওয়ার পথে প্রায় দেড় লাখ তাঁত। উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজার মূল্য কম হওয়ায় কাপড় তৈরি করে পোষাতে পারছে না অধিকাংশ তাঁতী। ফলে দরিদ্র তাঁতীদের দূর্ভোগের শেষ নেই। ঝণগ্রস্থ হয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে নিজের শেষ সম্বল তাঁত। অনেকে আবার ঋণের বোঝা বইতে না পেরে এরই মধ্যে অনেকে করেছেন আত্মহত্যা। আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে, বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকেই এ পেশা পরিবর্তন করে অবলম্বন করছে অন্য পেশা। অনেক তাঁতী আবার শ্রমিক পাচ্ছে না, কারণ বেশিরভাগ শ্রমিকরাই ঝুকে পরছে অধিক মজুরীর কারখানায়। তাই দেশের ঐতিহ্য এই তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের পৃষ্টপোষকতার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্টরা। এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা। এক সময়ের জৌলুস, আজকের তাঁত শিল্পের আরেক নাম। এক সময় তাঁত শিল্পের দ্বারা এ অঞ্চলের সুনাম দেশে -বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া এই অঞ্চলের অর্থাৎ সিরাজগঞ্জ এর তাঁতীদের তৈরি শাড়ি, লুঙী, গামছা, বিছানার চাদরের খ্যাতি ছিল দেশজুড়ে। কিন্তু ভারতসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের বাংলাদেশের বাজার দখল আর তাঁতের কাপড়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যাওয়ায় সারাদেশের মতোই সিরাজগঞ্জের দেড় লক্ষাধিক তাঁতের অধিকাংশই এখন বন্ধ, নেই উৎপাদন। বেকার হয়ে পড়ছেন লাখ লাখ শ্রমিক। লোকসান দিয়েও অনেকে তাঁতের চাকা রেখেছেন সচল। কারণ সচল না রাখলে অচল হয়ে যাবে মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি। ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে অনেকেই শুরু করেছিলেন মাত্র কিছুদিন আগেরও জমজমাট ব্যবসা তাঁতের কাপড়ের। তাদের কেউ কেউ এখন পথে বসেছেন, ঋণের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। পূর্ব পুরুষের ভালোবাসার তাঁত পেশা ছেড়ে, বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকে বেছে নিচ্ছেন ভিন্ন পেশা। ব্যবসায়ীরা বলছেন,তাঁত শিল্পকে বাঁচানোর একমাত্র পথ সহজ শর্ত আর স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা। দেশে বর্তমানে মোট তাঁতের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। তাই সরকারের পক্ষ থেকে পুজি ও পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

সম্পর্কিত সংবাদ

গাজা  প্রশ্নে ব্রিটিশ মন্ত্রী ওয়ার্সির পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক

গাজা প্রশ্নে ব্রিটিশ মন্ত্রী ওয়ার্সির পদত্যাগ

সিরাজগঞ্জের শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার ফাহমিদা হক শেলী

ফটোগ্যালারী

সিরাজগঞ্জের শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার ফাহমিদা হক শেলী

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, বিশেষ প্রতিবেদক, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ : সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় সন্মেলন ক...

শাহজাদপুরে ভূমি সপ্তাহ শুরু

শাহজাদপুরে ভূমি সপ্তাহ শুরু

ভূমি সংক্রান্ত নাগরিক সেবা আরও জনমুখী, তথ্য প্রযুক্তি নীর্ভর ও গ্রাহক বান্ধব করে তোলার লক্ষে গতকাল শনিবার উপজেলা ভূমি অফ...

শাহজাদপুরে ছেলেকে অপহরণ ও ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী ৩ অপহরণকারী আটক

আইন-আদালত

শাহজাদপুরে ছেলেকে অপহরণ ও ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী ৩ অপহরণকারী আটক

আজ রোববার শাহজাদপুরে চাঁদাবাজও অপহরণকারী চক্রের ৩ সদস্যকে পুলিশ আটক করে। এরা হল, উপজেলার...

শাহজাদপুরে এমপি’ র ডিও লেটার জাল করার  অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে যুবকের ৬ মাসের কারাদন্ড

অপরাধ

শাহজাদপুরে এমপি’ র ডিও লেটার জাল করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে যুবকের ৬ মাসের কারাদন্ড

এম এ হান্নান শেখঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন এর ডিও লেটার জাল করার অপরাধে রবিবার দ...