শাহজাদপুর প্রতিনিধি : প্রজাপতির দুই পক্ষের অর্থাৎ বরপক্ষ ও কণে পক্ষের মধ্যে ডির্ভোস সংক্রান্ত কারণে আর্থিক লেনদেন বা যৌতুক সংক্রান্ত বিষয়ে সচারচারই শোনা গেছে, কণে পক্ষের প্রদেয় পণের বা যৌতুকের বা কাবিননামার টাকা বরপক্ষ ফেরত দিয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য যে, বিয়ে ও ডির্ভোসের মাঝামাঝি প্রায় ১ মাসের মধ্যে আমেরিকা প্রবাসী বরের কাছ থেকে কণে ও তার শ্বশুর কর্তৃক কৌশলে প্রায় ৩ বছর পূর্বে হাতিয়ে নেয়া ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকার মধ্যে শাহজাদপুর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের হস্তক্ষেপে ও থানা পুলিশের সহযোগীতায় আজ মঙ্গলবার কণের পিতা ১০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা অবশেষে ফেরত দিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শাহজাদপুর কমিউনিটি পুলিশিং, থানা পুলিশ ও বর পক্ষ অভিযোগে জানিয়েছে, প্রায় ৩ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার খাদুলী গ্রামের জামাল সর্দারের ছেলে আমেরিকা প্রবাসী কামাল হোসেনের সাথে শাহজাদপুর পৌরসদরের দ্বারিয়াপুর মহল্লার রফিকুল ইসলাম রফিকের মেয়ে রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের ১ মাসের মধ্যেই নববধু রুমা ও তার পিতা রফিকুল ইসলাম তার জামাতা আমেরিকা প্রবাসী কামাল হোসেনের কাছ থেকে কৌশলে নানা অযুহাতে প্রায় ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা নেয়। ১ মাস পর কামাল ও রুমা দম্পত্তির বিবাহ বিচ্ছেদ ( ডির্ভোস ) ঘটলে বর কামাল হোসেন ও তার পিতা জামাল সর্দার সাবেক বিয়াই রফিকুল ইসলামের নিকট পাওনা টাকা ফেরত চায়। কিন্তু রুমার পিতা রফিকুল ইসলাম নানা তালবাহানা করেন এবং ওই টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। উপায়ান্তর না দেখে কামালের পিতা জামাল সর্দার সমাজপতি, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে শাহজাদপুর থানায় প্রতারণার মাধ্যমে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা উদ্ধারে প্রমাণসহ অভিযোগ করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হক কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের সম্পৃক্ত করে সুরাহার জন্য এ ঘটনার তদন্তভার এসআই আব্দুল জলিলের ওপর ন্যাস্ত করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জলিল থানার এসআই ফারুক আজম ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহযোগীতায় তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করলে এক পর্যায়ে রুমার বাবা রফিকুল ইসলাম রফিক টাকা নেয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। একপর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহযোগীতায় এসআই আব্দুল জলিল ৩ বছর পূর্বে হাতিয়ে নেয়া টাকার মধ্যে আপোষরফা শেষে ১০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা রুমার পিতা রফিকুল ইসলাম রফিকের মাধ্যমে আমেরিকা প্রবাসী কামালের পিতা জামাল সর্দারের হাতে তুলে দিয়ে এক বিরল জ্বালল্যমান নজির স্থাপন করলেন। এ ব্যাপারে রুমার পিতা রফিকুল ইসলাম রফিক আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ব্যাবসার লেনদেন সংক্রান্ত টাকা নেয়া হয়েছিলো। তা ফেরত দেয়া হয়েছে।’
সম্পর্কিত সংবাদ
শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশারের নামে সড়কের নামকরণ’র উদ্বোধন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম এর প্রধান সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার-এর নামে সড়ক নামকরণের উদ্বোধন...
নানা অব্যবস্থাপণায় চলছে পাবনা সেচ প্রকল্প
পাবনা প্রতিনিধি :-নানা অব্যবস্থাপণার মধ্যদিয়ে চালু রয়েছে পবনা সেচ প্রকল্প। অবহেলা ও অনিয়মের কারণে সেচ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ...
সম্পাদকীয়
এইডস আতঙ্কের ব্যাপ্তি, প্রতিরোধেই মিলবে মুক্তি
লাইট হাউস শাহজাদপুর ডিআইসি আয়েজিত প্রজেক্ট ফ্যসিলিটেশন টিমের ২০১৫ সালের ১ম সভায় উপস্থাপি...
শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল শিশু হোসাইনের
ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে মহাসড়ক পাড়ি দেয়ার সময় পাবনা থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস চাপায় হোসাইন সরদার নামের এক ৯ বছরের শ...
অর্থ-বাণিজ্য
বৈশাখী কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত শাহজাদপুরসহ সিরাজগঞ্জের তাঁতী শ্রমিকেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, শাহজাদপুর : পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে দেশের তাঁতশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদপুর, বিন্দু সিরাজগঞ্জের ত...