মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শামছুর রহমান শিশির ঃ গত ১৫ বছরের ব্যবধানে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ওই অভূতপূর্ব পরিবর্তনের পেছনে যার নাম অনস্বীকার্য, তিনি হলেন রংধনু কিন্ডার গার্টেন ও রংধনু ডিজিটাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং রংধনু ডিজিটাল স্কুলের চেয়ারম্যান, বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন ব্যাক্তিত্ব,মানুষ গড়ার দক্ষ কারিগর আলহাজ্ব রেজাউল করিম স্বপন। মরণব্যধি ক্যান্সারও যার মনোবলকে এতটুকু দমাতে পারেনি এখনোও। প্রচলিত প্রবাদবাক্য “Time and Tide wait for none” বা ‘সময় গেলে সাধন হবে না ’ ফকির লালন সাঁঈজী’র গানের এ কথাটি তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। আর তাইতো ‘পাংচুয়ালিটি মেইনটেইন’ করেও অবসন্ন, ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত কোন ভাব দমাতে পানেনি তাকে ক্যান্সারে আক্রান্ত এ শিক্ষানুরাগীকে । শরীর অসুস্থ্য হলেও একদম বিচলিত নন তিনি, ক্লাসের রুটিনমাফিক যথাসময়ে গিয়ে কোমলমতিদের ক্লাস নিচ্ছেন এখনোও। গতকাল সরেজমিন ‘রংধনু ডিজিটাল স্কুল’ পরিদর্শন করে এরই সত্যতা পাওয়া গেলো। তার মতে,‘শিক্ষা ব্যবস্থা যখনই ডিজিটালে পূর্ণতা পাবে-তখনই বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মিশন-ভিশন বাস্তবায়িত হবে নিঃসন্দেহে।’ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদেরা তার মতের সাথে একমত পোষণ করেছেন এবং ‘পুঁথিগত বিদ্যা আর পরহস্তের ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন’-এ প্রবাদের মতোই ‘এ্যানালগ শিক্ষা ব্যবস্থা’র পরিবর্তে ‘ডিজিটালাইজ্ড শিক্ষা ব্যবস্থা’র ওপর বেশী গুরুত্বারোপ করেছেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আলহাজ্ব রেজাউল করিম স্বপন যখন যে পেশাতেই ছিলেন সে পেশা আধুনিকায়নে কাজ করে গেছেন আত্মনিবেদিত প্রাণ হিসেবে। তিনি একাধারে একজন ব্যান্ড সংগীত শিল্পী, বাদক ও সংগঠক, চিত্র শিল্পী, বিদেশী আসবাবপত্র বিক্রেতা, প্রথিতযশা প্রিন্টিং তাঁত কাপড় ডিজাইনার, সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী। বিভিন্ন সময়ে পেশাগত ভিন্নতা তার মধ্যে পরিলক্ষিত হলেও ‘রংধনু’র মতো সাতরঙে রাঙ্গিয়েছেন সব পেশাকে এবং তার মেধামননের সঠিক সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। যখন দেশের অনেক জেলা পর্যায়ে ব্যান্ড দল থাকাতো দুরের কথা, ব্যান্ড সংগীত কি? তাই অনেকেরই ছিলো অজানা, তখনই তিনি শাহজাদপুরে রংধনু নামের একটি লাইভ মিউজিক্যাল ব্যান্ড সংগীত দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা পরবর্তীতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। এজন্য তিনি তার ওস্তাদজী বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত বরেণ্য শিল্পী সালামত হোসেন চৌধুরীর (রীণা চৌধুরী) প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন অকপটে। পাশাপাশি তিনি রং তুলির ক্যানভাস তুলে নিলেন হাতে। চালু করলেন ‘রংধনু আর্ট এন্ড পাবলিসিটি’ নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ওই সময় তার সুনিপুন হাতের কোমল স্পর্শে হৃদয় উজাড় করে দেয়া রং-তুলির ক্যানভাসে চিত্রিত হয়েছে কত না নামী দামী চিত্রকর্ম তার সঠিক পরিসংখ্যান দেয়া দূরহ। আধুনিকায়ন করলেন ব্যান্ড সংগীত ও শিল্পকলাকে। পাশাপাশি ‘রংধনু ফরেন ফার্নিচার’ নামে কিছুদিন তিনি বিদেশী ফার্নিচার বিক্রয় করেছেন,যখন ফরেন ফার্নিচার ক্রয় করা তো দূরের কথা ‘ফরেন ফার্নিচার’ কি, তাই ছিল অনেকের অজানা। পরবর্তীতে দেশের তাঁতশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি এলাকায় গড়ে তুললেন একটি বৃহৎ দেশীয় তাঁতবস্ত্র প্রিন্টিং কারখানা যা শাহজাদপুরসহ তাঁতশিল্পসমৃদ্ধ পাবনা-সিরাজগঞ্জের তাঁতীদের কাছে রীতিমতো রোল মডেল হিসেবে অনুকরণীয় অনুসরণীয় হয়ে রয়েছে এখনোও। ফলশ্রুতিতে, এ অঞ্চলের তাঁতীদের মধ্যে কোন প্রকার যান্ত্রিক সহায়তা ছাড়াই দেশি তাঁতবস্ত্রে দৃষ্টিনন্দন ও বাহারি ডিজাইনের প্রিন্ট করার প্রবণতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়। যা দেশি প্রিন্টিং তাঁতবস্ত্র খাতে বর্তমানে বিরাজমান বিরাট সাফল্য অর্জনে পথ প্রদর্শক হিসেবে দাবিদার । পরবর্তীতে আলহাজ্ব রেজাউল করিম স্বপন শুধু সংগীত শিক্ষার চেয়ে সার্বিক শিক্ষার গুরুত্ব মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে লাগলেন। তিনি ভাবতে শুরু করলেন- এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থার যেখানে সংগীত,নৃত্য,আবৃত্তিসহ শিক্ষার প্রায় সকল শাখা-প্রশাখার ডালপালা বিদ্যমান থাকবে। তিনি আরও উপলব্ধি করলেন, শাহজাদপুরে অর্থ বিত্তশালী লোকের অভাব না থাকলেও শিক্ষানুরাগীর বেশ অভাব রয়েছে ! ফলে দীর্ঘ সময়েও শাহজাদপুরে মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষাদানের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। স্থানীয় অভিভাবকেরা তাদের কোমলমতি সন্তানদের ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় ভূগতেন, তাও তিনি বুঝতে পারলেন। ফলশ্রুতিতে, প্রিয় রংধনু লাইভ মিউজিক্যাল ব্যান্ডের লাইভ মিউজিক ইন্স্ট্রুমেন্টস্ সব বিক্রি করে দিয়ে তিনি শাহজাদপুর পৌরসদরের প্রাণকেন্দ্র দ্বারিয়াপুর গ্রামের নিজস্ব বাসভবনে গত ২০০১ সালে নানা প্রতিকূলতা আর প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও মাত্র ৩০/৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে স্বল্প পরিসরে চালু করলেন ‘রংধনু কিন্ডার গার্টেন’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিলেন শাহজাদপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হারেছ উদ্দিন মন্ডলকে। তার সুচিন্তিত মতামত, সঠিক দিকনির্দেশনা আর নিরলস পরিশ্রমে পরিচালিত ‘রংধনু কিন্ডার গার্টেন’-এর শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করতে শুরু করায় স্বল্প সময়েই স্কুলটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়। কালের আবর্তে সময়ের পরিধিতে ওই স্কুলে মেধা ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগদান সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনের হার দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরবর্তীতে তিনি তার সহোদর শহীদুল ইসলাম শাহীনকে অধ্যক্ষের গুরুভার অর্পণ করেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান ৭১ এর রণাঙ্গণে জীবন বাঁজি রেখে সম্মুখ যুদ্ধ করে পাকহানাদারদের হটিয়েছেন। কথায় আছে ‘বাপ-কা বেটা, সেপাইকো ঘোড়া, কুছ না রাখে তো, রাখে থোড়া থোড়া’ অর্থাৎ পিতার অনেক দোষ-গুণ যেমন সন্তানের মধ্যে বিদ্যমান, সিপাহী আর ঘোড়া’র মধ্যে সম্পর্ক যে অবিচ্ছেদ্য, ঠিক তেমনি আলহাজ্ব রেজাউল করিম স্বপনের সহোদর শহীদুল ইসলাম শাহীন রংধনু কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে তিনি তার ৫ ভাইকে সাথে নিয়ে শাহজাদপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে আত্মনিয়োগ করলেন। তিনিও বড় ভাইয়ের মতো তার স্বীয় বুদ্ধিমত্তা আর কর্মদক্ষতার মাধ্যমে ৫ ভাইকে সাথে নিয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দক্ষ মাঝির পরিচয় দিলেন। দিনে দিনে শাহজাদপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে রংধনু কিন্ডার গার্টেন এন্ড মডেল হাইস্কুলের সুনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকলো। যার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার পরিলক্ষিত হলো ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে জেএসসি’র ফলাফলে রীতিমতো সেঞ্চুরি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে। ওই শিক্ষাবর্ষে রংধুন কিন্ডার গার্টেন এ্যান্ড মডেল হাইস্কুলের ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ট্যালেন্টপুলে ও ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী সাধারণ কোঠায় বৃত্তিলাভ করায় উত্তরাঞ্চলের গর্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করলো ও কৃতিত্বপূর্ণ এবং ঈর্ষণীয় ওই ফলাফল অর্জনের মাধ্যমে দেশবাসীকে তাক লাগিয়ে দিলো। শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকা কর্তৃপক্ষের জরিপে শাহজাদপুর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবেও ওই স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম শাহীন অভিষিক্ত ও সম্মানিত হলেন। শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব রেজাউল করিম স্বপন এরপর শাহজাদপুরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে জিডিটালে উপনীত করার ওপর মনোনিবেশ করলেন। গত ২০১৩ সালে স্থানীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আনুনিকায়নে ‘গোবরে পদ্মফুল’ ফোটার মতোই শাহজাদপুর পৌরসদরের রূপপুর গ্রামে ‘রংধনু ডিজিটাল স্কুল’ স্থাপন করলেন। স্থাপিত ওই স্কুলে আধুনিক বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহের খ্যাতনামা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আদলে ও কারিকুল্যামে শুরু থেকেই পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে এবং ওইসব খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরাজিত সকল সুযোগ সুবিধারও প্রচলন নিশ্চিত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে একান্ত সাক্ষাতকারে রংধনু ডিজিটাল স্কুলের চেয়ারম্যান ও শাহজাদপুরে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার রূপকার আলহাজ্ব রেজাউল করিম স্বপন এ প্রতিবেদককে জানান,‘বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহের খ্যাতনামা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রমের সাথে আমাদের দেশের গতানুগতিক পাঠদান কার্যক্রম সম্বলিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান প্রক্রিয়ায় দুস্তর ফাঁরাক রয়েছে। বহিঃর্বিশ্বের উন্নত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা ‘পড়ার সময় পড়া, খেলার সময় খেলা’-এ প্রচলিত বাক্যের মতোই কোচিং ও প্রাইভেট পড়া ছাড়াই স্কুলের পড়া স্কুলেই তৈরি করে বই,খাতা,ব্যাগ ফেলে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে তাদের অতিরিক্ত অধ্যয়নের প্রয়োজন পড়ে না। তারা বাড়িতে গিয়ে আরাম আয়েশ (রিল্যাক্স) করে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানষিক-শারীরিকসহ সার্বিক বিকাশ পরিপূর্ণতা পায় যা তাদের শিক্ষা গ্রহনের প্রতিটি স্তরে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনে অনবদ্য বা বিশেষ ভূমিকা রাখতে কাজ করে। একই ভাবে ‘রংধনু ডিজিটাল স্কুল’ শুরু থেকেই পরিচালিত হয়ে আসছে যেখানে ভর্তির ক্ষেত্রে নেই কোন বাধ্যবাধকতা। যেখানে কোচিং ও প্রাইভেট পড়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে পুরো স্কুলই সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে পরিচালিত। সার্বক্ষনিক ইন্টারনেটে কম্পিউটারসহ সার্বিক শিক্ষার পাশাপাশি এ স্কুলে ৫ ওয়াক্ত নামাজ বাধ্যতামূলক। এ ছাড়াও এখানে শিক্ষার্থীদের নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকনসহ সকল ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত হবার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার সকল সুযোগ সুবিধা স্কুলেই রয়েছে। স্কুলের পড়া স্কুলেই তৈরি করা হচ্ছে। রংধনু ডিজিটাল স্কুলের কোন শিক্ষার্থী বাড়িতে প্রাইভেট বা কোচিংয়ে অধ্যয়ন করলে তাকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র প্রদানের মাধ্যমে বের করে দেয়া হয়।’ এ সময় তিনি আল কোরআনের একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলেন,‘আমি তাকে যে জ্ঞান দিয়েছি, যদি সে তার সঠিক পরিচর্যা করে তাহলে সে হবে পৃথিবীর বড় বিজ্ঞানী’- এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহু সুবহানু তায়ালা মানুষের মেধার সঠিক পরিচর্যা করার কথা বলেছেন। তদ্রুপ রংধনু ডিজিটাল স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা সঠিকভাবে পরিচর্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে প্রথম বছরেই মাত্র ৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ জনই বৃত্তিলাভে সক্ষম হয়েছে।’ রংধনু কিন্ডার গার্টেন বা রংধনু ডিজিটাল স্কুলের আগে কি শাহজাদপুরে কোন কিন্ডার গার্টেন ছিলো না - যারা শাহজাদপুরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছেন বা আপনার মতো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন ? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘রংধনু কিন্ডার গার্টেন’ বা ‘রংধনু ডিজিটাল স্কুল’ চালুর বহু পূর্বেই শাহজাদপুরে একটি কিন্ডার গার্টেন ছিলো যা অদ্যবধি চালু রয়েছে। ওই কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতার চেয়ে ডোনেশোনের অর্থই প্রাধান্য ছিল। যার ফলে ওই কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার মান আগেও যে অবস্থা ছিলো এখনও তেমই আছে বলে আমার মনে হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার মেধা,যোগ্যতা,দক্ষতা নিরূপণের মাধ্যমেই নিয়োগদান নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিশেষে দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম একটি ডিজিটাল মাদরাসাও চালু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন শাহজাদপুরের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার রূপকার আলহাজ্ব রেজাউল করিম স্বপন।’

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে ১৬ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা! আটক ২

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ১৬ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা! আটক ২

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পৌর এলাকার নলুয়া বটতলার মুদি দোকানী রইচ উদ্দিনের নিখোঁজের ১৫ দিন পর প্রতিবেশি শফিকুলের বাড়ির পাশের...

শাহজাদপুরে মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশারের নামে সড়কের নামকরণ’র উদ্বোধন

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশারের নামে সড়কের নামকরণ’র উদ্বোধন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম এর প্রধান সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার-এর নামে সড়ক নামকরণের উদ্বোধন...

নানা অব্যবস্থাপণায় চলছে পাবনা সেচ প্রকল্প

নানা অব্যবস্থাপণায় চলছে পাবনা সেচ প্রকল্প

পাবনা প্রতিনিধি :-নানা অব্যবস্থাপণার মধ্যদিয়ে চালু রয়েছে পবনা সেচ প্রকল্প। অবহেলা ও অনিয়মের কারণে সেচ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ...

এইডস আতঙ্কের ব্যাপ্তি, প্রতিরোধেই মিলবে মুক্তি

সম্পাদকীয়

এইডস আতঙ্কের ব্যাপ্তি, প্রতিরোধেই মিলবে মুক্তি

লাইট হাউস শাহজাদপুর ডিআইসি আয়েজিত প্রজেক্ট ফ্যসিলিটেশন টিমের ২০১৫ সালের ১ম সভায় উপস্থাপি...

শাহজাদপুরে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল শিশু হোসাইনের

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল শিশু হোসাইনের

ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে মহাসড়ক পাড়ি দেয়ার সময় পাবনা থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস চাপায় হোসাইন সরদার নামের এক ৯ বছরের শ...

বৈশাখী কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত শাহজাদপুরসহ সিরাজগঞ্জের তাঁতী শ্রমিকেরা

অর্থ-বাণিজ্য

বৈশাখী কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত শাহজাদপুরসহ সিরাজগঞ্জের তাঁতী শ্রমিকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, শাহজাদপুর : পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে দেশের তাঁতশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদপুর, বিন্দু সিরাজগঞ্জের ত...