শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম :- ৭ এপ্রিল পালিত হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল_ নিরাপদ খাদ্য :সুস্থ জীবন।দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি (নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার, সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার)। খুব যুক্তিসঙ্গত কারণেই এ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, খাবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগগুলো এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী প্রতিটি দেশে নিরাপদ খাদ্য সংগ্রহ, সরবরাহ ও গ্রহণ নিশ্চিত করে নিরাপদ থাকার ওপরই বিশেষভাবে জোর দেয়া হচ্ছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের ৩০ শতাংশ খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে বাসায় তৈরি খাবার থেকে। আমেরিকায় ৭ দশমিক ৬ কোটি মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ভুগে থাকেন, যাদের মধ্যে ৩ লাখ ২৫ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং এর মধ্যে ৫ হাজার জন মৃত্যুমুখে পতিত হন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান বলেছেন, 'খাদ্য উৎপাদন এখন শিল্প-কারখানাজাত হয়েছে, এর বাণিজ্য ও বিতরণ হয়ে পড়েছে বিশ্বায়িত। এ পরিবর্তনগুলো সুযোগ করে দিয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্যারাসাইট ও রাসায়নিক দ্বারা খাদ্য দূষিত হওয়ার।' একই চিত্র বাংলাদেশেও।অনিরাপদ খাদ্য বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে খাদ্য সংশ্লিষ্ট রোগবালাই দ্বারা আক্রান্ত হয় লাখ লাখ মানুষ। প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত কারণে খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যে ভেজাল অথবা অনৈতিক ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অননুমোদিত উপাদান মিশ্রণ আজ প্রায় খোলামেলা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু এবং ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যাদির দ্বারা দূষিত হওয়া খাবার গ্রহণের ফলে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য উৎসগুলো যেমন উদ্ভিজ্জ, প্রাণিজ, মৎস্যজাত এবং বনজ খাত খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। খাদ্য খাতগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নিরাপদ ও গুণগত মানসম্পন্ন খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন তথা জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ সম্ভব।খাদ্য নিরাপত্তা বলতে আমরা বুঝি বিজ্ঞানসম্মতভাবে খাদ্য নাড়াচাড়া করা, তৈরি করা এবং গুদামজাত করা, যাতে খাদ্যবাহিত কোনো রোগ সংক্রমণ হতে না পারে। প্রতিটি উন্নত দেশে খাদ্য নিরাপত্তা তদারকির জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন- ফুড অ্যান্ড সেফটি অরগানাইজেশন, কাস্টমার-কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন এবং প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের আইন-কানুনসহ খাদ্য অধিদফতর, কৃষি, স্বাস্থ্য অধিদফতর ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠান বছরে বিভিন্ন সময়ে সভায় বসে খাদ্য সঠিকভাবে উৎপন্ন হচ্ছে কি-না, জৈব-অজৈব রাসায়নিক সার যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা ব্যবহৃত হচ্ছে কি-না, ফসল তোলার পর খাদ্য সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত বা গুদামজাত হচ্ছে কি-না, পরবর্তী সময়ে সেগুলো বড় বড় মার্কেটে এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কি-না, সর্বোপরি প্রক্রিয়াজাত উৎপাদিত খাবারে সঠিক খাদ্য উপাদান আছে কি-না- তার লেবেল যুক্ত করা, উৎপাদনের তারিখ এবং শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করা এবং কত তাপমাত্রায় সার সংরক্ষিত করতে হবে তার উল্লেখ করা- এ সবকিছুর তদারক করে। এগুলোর উল্লেখ থাকার পরই তা জনসাধারণের কাছে সরবরাহের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এর ব্যত্যয় হলে অথবা কোনো খাবার গ্রহণের ফলে কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে আক্রান্ত রোগীর সময়োপযোগী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, সংক্রমিত খাবারটি বাজার থেকে তুলে নেয়া- এসব কাজও কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। এক্ষেত্রে সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, সরকার, পেশাজীবী আইন প্রণেতা এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের একটি বড় ধরনের ভূমিকা আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে এ ধরনের তত্ত্বাবধায়ক অধিদফতরের সংখ্যা কম। যে কয়টি অধিদফতর আছে তাদের লোকবল অপ্রতুল। জনগণের নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত এবং অবশ্য প্রয়োজনীয় বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকার ১৯৪৯ সালের ‘ খাদ্য আইন’ রহিত করে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন করে, এ বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করার নির্দেশ থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।এ আইনে মোট ১৩টি অধ্যায়, ৯০টি ধারা এবং একটি তফসিল রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ধারার অধীনে প্রয়োজনীয় একাধিক উপধারা সংযুক্তিতে আইনটি প্রায়োগিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়। আমাদের দেশে নিরাপদ খাদ্য আইন আছে কিন্তু এর প্রয়োগ নেই।আইনে খাদ্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, খাদ্য অর্থ চর্ব্য, চূষ্য, লেহ্য (যেমন- খাদ্যশস্য, ডাল, মৎস্য, মাংস, দুগ্ধ, ডিম, ভোজ্য-তৈল, ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি) বা পেয় (যেমন- সাধারণ পানি, বায়ুবাহিত পানি, অঙ্গারায়িত পানি, এনার্জি-ড্রিংক ইত্যাদি)-সহ সকল প্রকার প্রক্রিয়াজাত, আংশিক-প্রক্রিয়াজাত বা অপ্রক্রিয়াজাত আহার্য উৎপাদন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বা প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত উপকরণ বা কাঁচামালও, যাহা মানবদেহের জন্য উপকারী আহার্য হিসেবে জীবনধারণ, পুষ্টিসাধন ও স্বাস্থ্য-রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দেখা যাচ্ছে, নানা আকার-প্রকার, রঙে, গন্ধে আমরা যে সকল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে থাকি এর সবকিছুই এ আইনের আওতায় ‘খাদ্য’ হিসেবে গণ্য হবে। তবে ঔষধ, ভেষজ, মাদক ও সৌন্দর্য সামগ্রী ইত্যাদি খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে না। নিরাপদ খাদ্য আইনের আওতায় সরকার সারাদেশে পর্যাপ্তসংখ্যক বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত নির্ধারণ করবে। পূর্বতন আইন ও বর্তমান আইনের অধীনে ‘বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত’ হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর অধীনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য এটাকে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত করার ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের উন্নত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় অধিকাংশ মানুষের নাগারের বাইরে। আর্থিক সঙ্কটে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীর অকালে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এখনও অনেকটাই জেলা ও বিভাগকেন্দ্রিক। জটিল জটিল অসংক্রামক রোগে আক্রান্তের মাত্রাও অনেকগুণ বেড়েছে। চিকিৎসা ব্যয় ও ওষুধের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। ব্যয়বহুল হওয়ায় দরিদ্র মানুষ জটিল ধরনের অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা করাতে পারে না। স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও ভোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। কিছু কিছু অসমতা এতটাই তীব্র ও প্রতিকূল যে, সমষ্টিগতভাবে তা দেশের অগ্রগতির অন্তরায়। কোন কোন ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতে অর্জিত সাফল্য টিকিয়ে রাখাই কষ্টকর। আবার কিছু ক্ষেত্রে স্থবিরতার লক্ষণ দৃশ্যমান। সুস্বাস্থ্য এখনও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নাগালের বাইরে রয়ে গেছে।এ ছাড়াও হু হু করে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হেলথ ইকোনমিকস এ্যান্ড ফিনান্সিং রিসার্চ দলের প্রধান জাহাঙ্গীর এ এম খান বলেছেন, স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৪ শতাংশ ব্যক্তি নিজে বহন করে। ২৬ শতাংশ ব্যয় বহন করে সরকার। বাকি ১০ শতাংশ ব্যয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও ব্যবসায়িক বীমা কোম্পানি বহন করে। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে চার শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়।বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো নিজেদের মতো করে ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে এ জাতীয় রোগের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে বিশেষ কার্যক্রম সাজাতে গিয়ে পদে পদে প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সংক্রামক রোগ ধীরে ধীরে কমছে, দ্রুত বাড়ছে অসংক্রামক রোগ। অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যয় দেশের অধিকাংশ মানুষের সামর্থ্যরে বাইরে চলে যাচ্ছে। আর অনেক অসংক্রামক রোগের শতভাগ চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশে নেই। তাই অনেক অসংক্রামক রোগীকে চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। বর্তমানে দেশের শতকরা ৬১ ভাগ রোগই হচ্ছে অসংক্রামক রোগ। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সরকারী স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সম্পৃক্তদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার বিষয়টি দীর্ঘ সময় ধরে বেশ আলোচিত হয়ে আসছে। বর্তমান সরকারও এ সমালোচনা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, সরকারী চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির হার ফের বেড়েছে। তাদের কেউ কেউ কর্মস্থলে গিয়ে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর দিয়েই চলে যান। অনেকে আসেন দিনের শেষ বেলায়। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসকদের দেখা পায় না রোগীরা। তবে নিজেদের আবাসিক কক্ষে গড়ে তোলা অবৈধ চেম্বারে অফিস সময়ে চড়া ফি নিয়ে রোগী দেখতে ভুলেন না চিকিৎসকরা। কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত পরিদর্শন টিমের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। থানা পর্যায়ে টিমের সদস্যরা যান না। শুধু তাই নয়, থানা পর্যায়ে সকল রোগীকে বিনা টাকায় চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হয় না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অনুকম্প ছাড়া ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। সর্বশেষ ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান জরিপ ২০১৪’-তে দেশের স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতির ওপর জরিপে দেখা গেছে,দেশের ৭৪ শতাংশ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ন্যূনতম মৌলিক সরঞ্জামের অভাব আছে। ৯৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ প্রতিরোধের মানসম্পন্ন ব্যবস্থা নেই। স্বাভাবিক প্রসবসেবার ব্যবস্থা আছে ৩৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে।এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সরকারি, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) চালিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ওপর জাতীয় এই জরিপ চালানো হয়। জরিপের প্রাথমিক ফলাফলে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে শিশুদের টিকাদানের হার কমছে। ৬১ শতাংশ সেবাপ্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার সময় রোগীর গোপনীয়তা রক্ষা হয় না।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে অবকাঠামোর দিক থেকে দেশ অনেক এগিয়েছে। কিন্তু সেবার মান সেই অনুপাতে বাড়েনি। জরিপে সেটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট), অ্যাসোসিয়েটস ফর কমিউনিটি অ্যান্ড পপুলেশন রিসার্চ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইসিএফ ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এ জরিপ করেছে। জরিপে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএসএআইডি। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের আগে এই ফল প্রকাশ করা হয়।জরিপে ১ হাজার ৫৪৮টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল ২৯৪টি, ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি ক্লিনিক ও সেবাকেন্দ্র ৫৯০টি, কমিউনিটি ক্লিনিক ৪২০টি, এনজিও ক্লিনিক ও হাসপাতাল ১৫৭টি এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল ৮৭টি। গত বছরের ২২ মে থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান ও সেবাকেন্দ্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা। জরিপে যে সকল তথ্র উঠে এসছে সেগুলো হলো, সব কমিউনিটি ক্লিনিকে ওজন মাপার যন্ত্র, থার্মোমিটার আছে। ৫০ শতাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকে বিদ্যুৎ আছে। কিন্তু এ জরিপে এর প্রতিফলন নেই। সহায়ক সুযোগ-সুবিধা: জরিপে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৭০ শতাংশ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকে। ৮১ শতাংশ এনজিও ক্লিনিক ও ৯৮ শতাংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতালে নিয়মিত বিদ্যুৎ আছে।৮৭ শতাংশ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন পানি সরবরাহ আছে। গ্রামীণ এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে খারাপ। জরিপে দেখা গেছে, সেবা নিতে আসা মানুষের জন্য ২৮ শতাংশ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে ল্যাট্রিন নেই। সরকারি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের ৮৬ শতাংশে রোগীদের জন্য ল্যাট্রিন আছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল ও এনজিও ক্লিনিকে এই হার আরও কিছু বেশি। তবে ১০ শতাংশ জেলা হাসপাতালে, ১৭ শতাংশ উপজেলা হাসপাতালে এবং ৪২ শতাংশ মা ও শিশুসেবাকেন্দ্রে জরুরি যানবাহন সেবা নেই। সরকারের ইউনিয়ন পর্যায়ের কোনো প্রতিষ্ঠানে এবং কোনো কমিউনিটি ক্লিনিকেই জরুরি যানবাহন সেবার ব্যবস্থা নেই। নবজাতক ও প্রসূতি মৃত্যুর অন্যতম কারণ জরুরি প্রয়োজনে যানবাহনের অভাবে রোগীকে হাসপাতালে নিতে না পারা।অনেকে অভিযোগ করেন, সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে রোগীর গোপনীয়তা রক্ষা হয় না। জরিপে দেখা গেছে, ৬১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে রোগীর গোপনীয়তা রক্ষা হয় না। এ কারণে রোগী খোলামেলাভাবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না। ৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার আছে। এই পাঁচ ধরনের সহায়ক সুযোগ আছে মাত্র ১১ শতাংশ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে।মৌলিক সরঞ্জাম: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (২০১২ সাল) নির্ধারিত মান অনুযায়ী প্রতিটি চিকিৎসাকেন্দ্রে ছয়টি চিকিৎসা-সরঞ্জাম থাকা আবশ্যক। এগুলো হচ্ছে বয়স্কদের ওজন পরিমাপ যন্ত্র, শিশুদের ওজন পরিমাপ যন্ত্র, থার্মোমিটার, স্টেথিসকোপ, রক্তচাপ পরিমাপ যন্ত্র এবং বাতি।জরিপে দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই এসব সরঞ্জামের অভাব আছে। ২৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে এই ছয় ধরনের সরঞ্জামের সবগুলোই আছে। জরিপকারীরা ৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে স্টেথিসকোপ, ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে থার্মোমিটার, ১৩ শতাংশে রক্তচাপ মাপা যন্ত্র, ১৮ শতাংশে বয়স্কদের ওজন পরিমাপ যন্ত্র এবং ৪৩ শতাংশে শিশুদের ওজন পরিমাপ যন্ত্র পাননি। ৬০ শতাংশ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে আলো বা বাতির ব্যবস্থা নেই।সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ: নিয়ন্ত্রণ নির্দেশনা মেনে চললে এবং কড়া নজরদারি থাকলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। জীবাণুমুক্ত করা সরঞ্জাম, ইনসেনেটর যন্ত্রপাতি, ব্যবহৃত ধারালো ছুরি-কাঁচি রাখার পাত্র, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সিরিঞ্জ ও সুই ফেলার ব্যবস্থা, সাবান, প্রবহমান পানি, গ্লাভস, মুখোশ, গাউন—এসব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে।জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০টির মধ্যে দুটি চিকিৎসাকেন্দ্রে ধারালো ছুরি-কাঁচি, সিরিঞ্জ ও সুই ফেলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। অর্ধেক প্রতিষ্ঠানে প্রবহমান পানি ও সাবান নেই। ২৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে সেবাকর্মীদের মুখোশ পরার ব্যবস্থা আছে। ৮৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে জীবাণুমুক্ত করার সরঞ্জাম নেই। ১৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নির্দেশনা মানার কথা বলা হয়। আর ওপরে উল্লিখিত নয় ধরনের জিনিসই আছে মাত্র ৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে।রোগনির্ণয় ক্ষমতা: চিকিৎসা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার জন্য পাঁচটি পরীক্ষা (হিমোগ্লোবিন, রক্তে শর্করা, প্রস্রাবে প্রোটিন, প্রস্রাবে শর্করা এবং গর্ভাবস্থা) ও এক্স-রে দরকার হয়। এগুলো ন্যূনতম প্রয়োজন। জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ পরীক্ষা করা হয়—এমন প্রতিষ্ঠান ১০ শতাংশেরও কম। হিমোগ্লোবিন ও রক্তে শর্করা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে যথাক্রমে ১২ ও ৭ শতাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রে। গর্ভাবস্থা পরীক্ষা হয় ৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। প্রস্রাবে প্রোটিন ও শর্করা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে যথাক্রমে ৬ ও ৫ শতাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রে। এই পাঁচ ধরনের পরীক্ষাই করা হয় মাত্র ৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে।জরিপে দেখা গেছে, সরকারি পর্যায়ে জেলা ও উপজেলার নিচে কোনো প্রতিষ্ঠানে এক্স-রে যন্ত্র নেই। তার পরও ২৭ শতাংশ জেলা হাসপাতালে এক্স-রে যন্ত্র চালু পাওয়া যায়নি। তবে ৬২ শতাংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতালে এই যন্ত্র আছে। এনজিওগুলোর ২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে যন্ত্রটি দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্যদিবসের অনুষ্ঠানে জরিপ প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশ উপস্থাপন করেন ইউএসএআইডির গবেষণা উপদেষ্টা কান্তা জামিল, যুক্তরাষ্ট্রের আইসিএফের পরামর্শক আহমেদ আল-সাবির, সেভ দ্য চিলড্রেনের মা ও শিশুস্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রধান ইশতিয়াক মান্নান, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক শামস-এল-আরেফিন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ কারার জুনায়েত আহসান, নিপোর্টের মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আহসানুল আলম, একই প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী শাহীন সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন নিপোর্টের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ। বাংলাদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে এ জরিপ সেটা প্রমান করে না। এদিকে, খাদ্যে ভেজালরোধে সরকার নিতে যাচ্ছে কঠোর পদক্ষেপ। এ জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনার পাশাপাশি বিদেশ থেকে ফরমালিন আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, খাদ্যে ভেজালরোধে এরই মধ্যে কার্যকর করা হয়েছে ন্যাশনাল ফুড সেফটি আইন, ২০১৩। খাদ্য নিরাপত্তায় 'জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তানীতি' চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল ফুড সেফটি অথরিটি গঠিত হয়েছে এবং এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা খাতে ভেজাল রোধে এবং অসাধু চক্রকে উৎখাত করতে সরকারকে সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট গত তিন বছর খাদ্যপণ্যের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ শতাংশ খাদ্যে ভেজাল পেয়েছে। ২০১১ সালে পাঁচ হাজার ৮১২টি খাদ্যপণ্যের মধ্যে ৫৪ শতাংশেই ভেজাল পাওয়া গেছে। ২০১২ সালে ৫০টি খাদ্যপণ্যে পাঁচ হাজার ৩২২টি নমুনা পরীক্ষা করে দুই হাজার ৫৮৮টির মধ্যে ভেজাল পাওয়া গেছে, যা মোট খাদ্যপণ্যের ৪৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ২০১৩ সালে ৪২টি খাদ্যপণ্যের চার হাজার ৯৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে দুই হাজার ১৩৭টির মধ্যে ভেজাল পাওয়া গেছে, যা মোট খাদ্যপণ্যের ৪৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ২০১৪ সালের নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছে।এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খাদ্যে মনোসোডিয়াম, ইথোফেন, ক্যালসিয়াম, কার্বাইড, ফরমালিন, চকপাউডার, ইউরিয়া, মার্জারিন, পশুর চর্বি, খনিজ তেল, রেডরি গুঁড়া, ন্যাপথলিন, সুডান কালার, ইটের গুঁড়া, কাঠের গুঁড়া, ডিডিটি, রোডামিন সাইক্লোমেট নামে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হচ্ছে। বিশেষ করে কলা, আম, পেঁপে, টমেটো, আনারসসহ বিভিন্ন ফল পাকাতে ও দীর্ঘ সময় সেসব তাজা রাখতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও ইথোফেন ব্যবহার করা হয়। চিনিতে চকপাউডার ও ইউরিয়া, দুধে ফরমালিন, ঘি ও মাখনে মেশানো হচ্ছে মার্জারিন ও পশুর চর্বি। সরিষার তেলে দেওয়া হচ্ছে রেডরি তেল, মরিচের গুঁড়া ও খনিজ তেল। সয়াবিন তেলে মেশানো হচ্ছে পামঅয়েল ও ন্যাপথলিন। শুকনা মরিচের গুঁড়ায় বিষাক্ত সুডান কালার। চকোলেটে স্যাকারিন ও মনোসোডিয়াম, জুসে কৃত্রিম রঙ, শুঁটটি মাছে কীটনাশকের নামে মেশানো হচ্ছে ডিডিটি। সবুজ শাকসবজিতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম রঙ। কোমল পানীয়র সঙ্গে রোডামিন, মাছে ফরমালিন, খাবার সুস্বাদু করতে ব্যবহার করা হচ্ছে সাইক্লোমেট। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেছেন, খাবারে মেশানো প্রতিটি রাসায়নিক উপাদানই জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভেজাল খাদ্য খেয়ে চর্মরোগ, রক্তচাপ, ক্যান্সার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের কারণে মানবদেহে সৃষ্টি হতে পারে দুইশ'র বেশি রোগ। এসব রোগ মানুষকে ক্রমে অন্ধত্ব, পঙ্গুত্ব ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তা ছাড়া খাদ্যে ভেজালজনিত সৃষ্ট জটিল রোগের চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। তাই জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে খাদ্যে ভেজাল বন্ধে রাষ্ট্রকে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। তেমনি চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে সরকারকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে আরো কঠোর হতে হবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

বিগ ডাটা কি এবং কেন! ( What is Big Data and Why? )

ফটোগ্যালারী

বিগ ডাটা কি এবং কেন! ( What is Big Data and Why? )

একটা সময় ছিলো যখন আমরা আমাদের সবকিছুই কাগজে লিখে রাখতাম। কখন খেতে যাবো, কবে মিটিং, কখন শপিং এ যাবো এসব টু ডু লিস্টগ...

শাহজাদপুরে ১৬ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা! আটক ২

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ১৬ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা! আটক ২

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পৌর এলাকার নলুয়া বটতলার মুদি দোকানী রইচ উদ্দিনের নিখোঁজের ১৫ দিন পর প্রতিবেশি শফিকুলের বাড়ির পাশের...

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন,...

শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ‘মামলা না হওয়ার কারণ’ খুঁজছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি

শাহজাদপুর

শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ‘মামলা না হওয়ার কারণ’ খুঁজছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি

আওয়ামী লীগ–সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, না হ...

আবার জোড়া গোল মেসির, মায়ামির পর এবার শীর্ষে তুললেন নিজেকে

খেলাধুলা

আবার জোড়া গোল মেসির, মায়ামির পর এবার শীর্ষে তুললেন নিজেকে

জিলেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইন্টার মায়ামির পক্ষে ছিল না। প্রায় ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড ম...

কোন পেশাই ছোট নয়, সব পেশাকে সম্মান করুন

উপ-সম্পাদকীয়

কোন পেশাই ছোট নয়, সব পেশাকে সম্মান করুন

মানুষের প্রয়োজনে দুনিয়ায় কত শত পেশা যে তৈরি হয়েছে তার ইয়ত্তা নাই । দেখুন না, জুতা সেলাই থেকে জাহাজ তৈরি কিংবা টিকা তৈরি...