মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোতে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল দেশমাতৃকার স্বাধীনতার সূত্রে। জাতীয় ঐক্যের অভূতপূর্ব নিদর্শন ছিল সেই দিনগুলো। ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-কৃষক-শ্রমিক-যুবক সকলেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অংশগ্রহণে সফল জনযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছি সুমহান বিজয়। আর এখানেই নিহিত আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের ঐতিহাসিক সাফল্য। স্বাধীনতার ডাক দিয়ে একটি নিরস্ত্র জাতিকে তিনি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। আমরা সেদিন স্লোগান দিয়েছি- ‘জাগো জাগো, বাঙালি জাগো’; ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’; ‘জয়-বাংলা’ ইত্যাদি। সেদিন কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান এসব প্রশ্ন ছিল অবান্তর। আমাদের মূল স্লোগান ছিল ‘তুমি কে? আমি কে? বাঙালি, বাঙালি।’ আমাদের পরিচয় ছিল ‘আমরা সবাই বাঙালি’। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন। নির্বচনে আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুশ বিজয়, পকিস্তানিদের ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা অবশেষে ৭১’র ২৫ মার্চ রাতে নিরহ ও নিরস্ত্র ঘুমন্ত দেশবাসীর ওপর পাকবাহিনীর পৈশাচিক হামলা, এরপর বাঙ্গালির প্রতিরোধ ও স্বশস্ত্র মুক্তিসংগ্রাম, স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন, যুদ্ধ পরিচলনা করা, অবশেষে পাকবাহিনীর নাটকীয় পরাজয় বিজয়ী বঙালী জাতির অহংকারের ও গর্বের ইতিহাস। এই ঐতিহাসিক নাটকের শেষ দৃশ্যটি যে ভাবে ঘটেছিল- দৃশ্যপট বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ১৫ অক্টোবর (১৯৭১) এক চিঠিতে বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। ৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইন্দিরা গান্ধীকে প্রশ্ন করা হয়, এখনো কি রাজনৈতিক সমঝোতার পথ খোলা আছে, নাকি গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনই একমাত্র পথ? জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘পূর্ব বাংলার জনগণ যা চাইবে, তা-ই হবে। তারা কোন পথে যাবে, তা নির্ধারণ করার অধিকার আমাদের নেই। এটা তাদের দেশ, এটা তাদের লড়াই এবং তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ এ সময়ে ইয়াহিয়া নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটা চাল চাললেন। তিনি নূরুল আমীনকে প্রধানমন্ত্রী এবং ভুট্টোকে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করে একধরনের অন্তবর্তী সরকার গঠন করলেন। নরুল আমীন ছিলেন নামমাত্র প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জনগণ থেকে তখন তিনি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছিল। ইয়াহিয়া চীনা সমর্থন আদায়ের জন্য তাঁর বিশেষ দূত হিসেবে ভুট্টোকে চীনে পাঠালেন। তাঁর সঙ্গে পাঠালেন এয়ার মার্শাল রহিম খান এবং জেনারেল স্টাফ প্রধান গুল হাসানকে। নভেম্বরের মাঝামাঝি তাঁরা পিকিংয়ে চীনা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। চীনা আলোচকদের মধ্যে উঁচু পর্যায়ের নেতারা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেন ই। তাঁরা পাকিস্তানকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থনের আশ্বাস দিলেও সামরিক সমর্থনের ব্যাপারে কোনো অঙ্গীকার করেননি। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে শীত ক্রমেই জেঁকে বসছে। সিকিম সীমান্তে হিমালয়ে চীনা সৈন্য সমাবেশ করা এ সময় প্রায় অসম্ভব। সুতরাং চীনা সেনাবাহিনী এই মুহূর্তে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। চৌ এন লাই ‘পূর্ব পাকিস্তানের আন্দোলন’ রাজনৈতিকভাবে মীমাংসার ওপর জোর দেন এবং শক্তিপ্রয়োগ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাবে বলে মন্তব্য করেন। ২ ডিসেম্বর পূর্বাঞ্চলের পাকিস্তানি সামরিক কমান্ডার লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি ইয়াহিয়ার কাছে একটা দুঃসংবাদ পাঠান, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী যশোর দখল করে নিয়েছে।’ ইয়াহিয়া সিদ্ধান্ত নেন, পাকিস্তান বিমানবাহিনী একযোগে ভারতের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর শক্তি এত বেশি যে তারা আঘাত হানার আগেই পাকিস্তানকে তার কাজটি করে ফেলতে হবে। ৩ ডিসেম্বর যুদ্ধ খোলামেলাভাবে শুরু হয়ে গেল। রাত ১২টা ২০ মিনিটে এক বেতার ভাষণে ইন্দিরা গান্ধী সারা ভারতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের সমুচিত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বাংলাদেশকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আরেকটি চিঠি দেন। ৬ ডিসেম্বর লোকসভায় একটি বিবৃতি দিয়ে ইন্দিরা গান্ধী জানান, বাংলাদেশকে ভারত আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ সরকারের বারবার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, সতর্কতার সঙ্গে সবকিছু বিবেচনা করে ভারত গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ ইতিমধ্যে ভারতের পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার অধীন সামরিক বাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনী গঠন করা হয় এবং জেনারেল অরোরাকে মিত্রবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা ওঠে। যুদ্ধবিরতির সব প্রস্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রয়োগ করে। নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম সদস্য পোল্যান্ড একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। প্রস্তাবটি ছিল: তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, সেনাবাহিনী পরস্পরের সীমান্তে ফিরিয়ে আনা এবং পূর্ব পাকিস্তান সমস্যার রাজনৈতিক মীমাংসা করা। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এই প্রস্তাবের কথা জানতে পারেন সংবাদপত্রের মাধ্যমে। ওই সময় জাতিসংঘে পাকিস্তানি প্রতিনিধিদের একটি ডেলিগেশনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ভুট্টো। তাঁকে খবর পাঠানো হলো, পোল্যান্ডের প্রস্তাব যেন গ্রহণ করা হয়। ইয়াহিয়া নিজে ভুট্টোর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেক যোগাযোগ করেও ভুট্টোকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইয়াহিয়ার সঙ্গে তিনি আর যোগাযোগ করেননি। ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দুইটার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন ইয়াহিয়াকে টেলিফোন করেন। নিক্সন ইয়াহিয়াকে আশ্বস্ত করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে অত্যন্ত গুরুত্ব¡পূর্ণ একজন বন্ধু মনে করে। তিনি আরও বলেন, ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সপ্তম নৌবহরকে অবিলম্বে বঙ্গোপসাগরের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই প্রয়োজনের সময় পাকিস্তানের পাশে থাকবে। এটা শুনেই ইয়াহিয়া জেনারেল হামিদকে বলেন, ‘কাজ হয়ে গেছে, আমেরিকানরা রওনা হয়েছে।’ পরবর্তী দিনগুলোতে পাকিস্তানিরা সপ্তম নৌবহরের আশায় দিন গুনছিল। কিন্তু তা আর কখনো আসেনি। ১৪ ডিসেম্বর ভারতের বিমানবাহিনী ঢাকার গভর্নর হাউসে বোমা ফেলে। ভীতসন্ত্রস্তÍ গভর্র্নর আবদুল মোতালেব মালেক তাঁর মন্ত্রীদের নিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আশ্রয় নেন। এর আগেই এই হোটেলটিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুটি ভারতীয় বিমান থেকে ঢাকায় প্রচারপত্র ছাড়া হয়। প্রচারপত্রে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের সামরিক কমান্ডকে উদ্দেশ করে নিঃশর্ত আতœসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছিল। আতœসমর্পণের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল নিয়াজির সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। তিনি আতœসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৬ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জেনারেল অরোরা একটি হেলিকপ্টারে করে সস্ত্রীক ঢাকা আসেন। তাঁর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটায় আতœসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলেছিলেন। অনুষ্ঠান শুরু হয় ২৫ মিনিট দেরিতে। ভারতীয় সময় বিকেল চারটা ৫৫ মিনিটে নিয়াজি আতœসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন। মুক্তিবাহিনীর প্রধান কর্নেল ওসমানী আতœসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। এ নিয়ে পরে জল অনেক ঘোলা হয়েছে। ১৯৭১ সালে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ ছিলেন আবদুল খালেক (পরে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্রসচিব)। তিনি মুজিবনগর সরকারে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর বর্ণনায় জানা যায়: বিজয় যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট, তখন আতœসমর্পণ উৎসবে আমাদের যোগদান সম্পর্কে যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, তাতে স্থির করা হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর কর্নেল ওসমানী, রুহুল কুদ্দুস ও আমি হেলিকপ্টারে ভারতীয় কমান্ডারকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাব। দমদম এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর জন্য আমাদের যে সময় দেওয়া হয়েছিল, তার ঘণ্টা খানেক আগে আমাদের প্রশাসনে কী যেন একটা হায় হায় পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। আমি তার কিছুই আঁচ করতে পারিনি। রুহুল কুদ্দুস শুধু জানালেন যে কর্নেল ওসমানীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কাজেই ডেপুটি কমান্ডার ইন-চিফ এ কে খন্দকারকে খুঁজে বের করা হয়েছে। শুধু তিনি ঢাকায় যাবেন। আমরা দুজন যাব না। কর্নেল ওসমানীর সঙ্গে কার কী মতভেদ ঘটেছিল, তা আর জানতে পারিনি। যুদ্ধে পাকিস্তানের শোচনীয় পরাজয়ের পর ইয়াহিয়ার পক্ষে আর ক্ষমতায় থাকা সম্ভব ছিল না। সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য বিদ্রোহের মুখে তিনি অসামরিক কর্তৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। ২০ ডিসেম্বর তিনি ভুট্টোকে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেন। ভুট্টো তখন রোমে ছিলেন। তাঁকে আনার জন্য একটা বিশেষ বিমান পাঠানো হয়। ভুট্টো ক্ষমতা গ্রহণ করেই ইয়াহিয়াকে অন্তরীণ ও সাতজন জেনারেলকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন।
সম্পর্কিত সংবাদ
ফটোগ্যালারী
বিগ ডাটা কি এবং কেন! ( What is Big Data and Why? )
অর্থ-বাণিজ্য
শাহজাদপুরে গরু লালন পালন করে স্বাবলম্বী জোবেদা খাতুন
শাহজাদপুরে পোতাজিয়া গ্রামে ব্যবসায়ী আব্দুস সালামের শতাধিক গরু দেখাশোনা করেন তারই সহধর্মিণী জোবেদা খাতুন। মৌসুমী, বৃষ্টি,...
অপরাধ
শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য আটক
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে ছিনতাই হয়ে যাওয়া দুটি অটোবাইক উদ্ধারসহ অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার...
জানা-অজানা
কবিগুরুর ভাষ্কর্য ভালে পাকুড় বৃক্ষ জন্মেছে!
শামছুর রহমান শিশির: ঊনবিংশ শতাব্দিতে বাংলার সাহিত্য গগণে ও বিশ্ব জ্ঞান পরিমন্ডলে 'ভারস্যাটাইল জিনিয়াস' খ্যাত কবিগুরু রবী...
শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে ১৬ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা! আটক ২
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পৌর এলাকার নলুয়া বটতলার মুদি দোকানী রইচ উদ্দিনের নিখোঁজের ১৫ দিন পর প্রতিবেশি শফিকুলের বাড়ির পাশের...
শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ! নিহত ২
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাটি পরিবহনের ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির চালকসহ ২ জন...