সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর পোরজনা ইউনিয়নের বাচরা গ্রামে এলজিএসপির রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে অত্র ইউনিয়নের ৭নং ইউপি সদস্য আবুল হাসেম এর বিরুদ্ধে। উক্ত কাজের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা না দিয়ে স্বয়ং প্রকল্পের সভাপতিই করছেন কাজ।
নিন্ম মানের কাজের অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বিষয়টি দেখার জন্য দ্বায়িত্ব দেন পোরজনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবুর কাছে। এ যেন শিয়ালের কাছে মুরগী বাগি দেওয়ার মত। কারন স্বয়ং ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু উক্ত স্থানে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের সাধারন কাবিটা প্রকল্প দেখিয়ে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্দে।
জানা যায়, পোরজনা ইউনিয়নের বাচরা গ্রামে এফআরসি রোড হতে নুর মাস্টারের বাড়ী পর্যন্ত ৪৭৫ মিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য ৫ লক্ষ ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ পায় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) থেকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪৭৫ মিটার কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করেছে মাত্র ৩৪৪ মিটার। ১৩১ মিটার ফাঁকি দিয়েও নিন্ম মানের ইট, খোয়া ও সুরকি দিয়ে করছে নির্মান কাজ। ঢালাইয়ে জন্য এক নং ইটের খোয়ার পরিবর্তে নিন্মমানের গুড়া সুরকি ফেলে রাখা হয়েছে উক্ত কাজের জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, হাসেম মেম্বার প্রভাবশালী হওয়ায় একের পর এক অনিয়ম করে গেলেও তার বিরুদ্ধে কেউ কতা বলার সাহস পায় না। নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ সম্পন্ন করলে এ রাস্তা কয়েকদিনেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই দ্রুত এসব নিন্মমানের ইট ও খোয়া বাতিল করে এক নং ইট দিয়ে কাজ করার দাবি জানিয়েছে অত্র এলাকাবাসী।
এব্যাপারে, উক্ত রাস্তার কাজের মিস্ত্রি বাবলু প্রথমে দুই নাম্বার ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বললেও পরে ক্যামেরার সামনে বলেন, ১নং ও ২ নং ইট মিশিয়ে কাজ করা হচ্ছে। অপরদিকে, এ রাস্তার কাজের প্রধান মিস্ত্রি হারুন বলেন, সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা কমবেশি হয়েছে, ভালোমন্দ মিশ্রন করে কাজ করা হচ্ছে। আপনারা হাসেম মেম্বরের সাথে কথা বলেন।
অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আবুল হাসেম জানান, ইটের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমন হচ্ছে। নিয়ম মাফিকই কাজ করা হচ্ছে। ৪৭৫ মিটারের কাছে ৩৪৪ মিটার কেন কাজ করা হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দেন নি।
এ ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু’র কাছে কাবিটা প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ করা হয়েছে। গ্রামবাসী বলছে তাদের নিজ টাকায় উক্ত স্থানে মাটি ভরাট করেছে আপনি কোন কাজ করেনি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন অনেক আগের কথাতো।
এ বিষয়ে প্রকল্প ব্যস্তবায়ন কর্মকর্তার রাশেদুল ইসলাম জানান, এটা আমার সময়কার কাজ নয়। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে উদ্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পর্কিত সংবাদ
অর্থ-বাণিজ্য
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা
এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন,...
বাংলাদেশ
১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদে...
রাজনীতি
মন্ডল গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আবদুল মজিদ মন্ডল আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল মজিদ মন্ডল (৭২) আর ন...
শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে দুই মেয়েকে বিষ পান করিয়ে মায়ের আত্মহত্যা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ইসলামপুর ডায়া নতুনপাড়া গ্রামে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বিষপান করে ম...