শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ভাদ্র মাসের কথা মনে হলেই মাথায় আসে পাকা তালের কথা।এখন চলছে জৈষ্ঠ্যমাস মাস। এই জৈষ্ঠ্যমাসে শাহজাদপুরের বাজারে আসতে শুরু করেছে  কচি তাল। এই গরমে দেদারসে কচি  তালের শাঁস  বিক্রি হচ্ছে। স্বল্পমূল্যের  অত্যান্ত সুস্বাদু ও হাতের নাগালে পাওয়ায় সব বয়সী  লোক এই তালের শাঁস খায়। গাছের মালিকরা ভাল দাম পাওয়ায় পাঁকার আগেই গাছ থেকে তাল বিক্রি করে দিচ্ছেন।

ফলে পাকা তালের অভাবে বীজ সংকটে পড়ে তাল গাছের বংশ বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন বৃক্ষপ্রেমীরা।

শাহজাদপুর শহরের মনিরামপুর বাজার বিসিক ও দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ পৌর শহরের  বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান তালের দোকান নিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা। পৌর শহর ছারাও বিভিন্ন শাহজাদপুরের বিভিন্ন  এলাকাগুলোতেও এই মৌসুমের তাল  শাঁস  বিক্রির হিড়িক পরেছে।উপজেলার নগড়ডালা,ডায়া জামিরতা,পোরজনা,তালগাছি, পোতাজিয়া রতনকান্দি, খুকনীর বিভিন্ন বাজার ও জনসমাগম হয় মোড়গুলোতে চলছে তালের শাস বিক্রির মহোৎসব। মৌসুম ভিত্তিক ব্যবসয়ীরা সাধারন তাল  শাঁস বিক্রি করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করছে।শাহজাদপুর দিলরুবা বাসস্ট্যান্ডে তালের শাঁস ব্যবসায়ী আঃ আলিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান এর আগে তরমুজ বিক্রি করতাম এখন তালের শাঁস বিক্রি করি।  শাহজাদপুর ছারা ও পাবনা নাটোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল এনে  শাঁস বিক্রি করি। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ  হাজার টাকার তাল শাস বিক্রি হয় বলে জানান এই ব্যবসায়ী।আরেক ব্যবসায়ী জানান প্রতিটি তাল পনের টাকায় বিক্রি হচ্ছে।প্রতি তালে তিনটি করে শাঁস থাকে, সে হিসেবে প্রতি তাল শাঁসের মুল্য ৫টাকা।প্রতিদিন তিন হাজার টাকার তাল শাস বিক্রি করে থাকি।এছারাও শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাগেছে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকার তাল শাঁস বিক্রি হয়।
পাকা তাল অত্যান্ত পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এছাড়া এ গাছ প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহনশীল।কিন্তু অধিকহারে তালের শাঁস বিক্রির জোয়ারে পাকা তালের অভাব দেখা দিচ্ছে তালের বিজ সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে তালের বংশ বিস্তার।একসময় শাহজাদপুরের সর্বত্রই বড় বড় তাল গাছ ছিল। এসব গাছে বাস করতো , চিল, বাজ, বাবুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এ গাছ না থাকায় পাখিগুলি হারিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে তালগাছ কাটা হলেও বীজের অভাবে রোপন করা হচ্ছে না। গ্রামঞ্চলের মানুষ তালগাছের গুরুত্ব না বুঝে তালগাছ কেটে ফেলছে। এ গাছে বছরে একবার ফলন হয়, লাভ কম হয়। ফলে এ গাছ কেটে অন্য ফল বা অন্যকিছুর আবাদ করছেন অনেকে। তালগাছে লাভ কম হলেও প্রাকৃতিক  দূর্যোগ বিশেষ করে বজ্রপাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আঃসালাম বলেন তালগাছ সংরক্ষনে সরকারি কোন উদ্যোগ না থাকলেও প্রতি বছর আমরা বিভিন্ন এলাকায় তাল বিজ এনে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার ধারে রোপন করে থাকি।কৃষকেরা তালের শাঁস অথবা তাল পাকিয়ে যে কোন উপায়ে বিক্রি করতে পারে।এখন একাকালিন নগদ টাকা পাওয়ার  জন্য হয়তো কৃষক তালের শাঁস বিক্রি করছে।আমরা সবসময় অধিক লাভের জন্য কৃষককে পাকা তাল বিক্রির পরামর্শ দিয়ে থাকি।এতে তালের বিজ থেকে তাল গাছের বংশ বিস্তার হবে।
সচেতন মহলের ধারনা যে হারে তালের শাঁস সারাদেশব্যাপী বিক্রি হচ্ছে তাতে একটা সময় তালের বীজের অভাবে তালগাছের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিতে পারে। তালগাছের বংশবৃদ্ধিতে  সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহন জরুরী।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে পৌরসভা ও অগ্নিবীণা সংসদে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

দিনের বিশেষ নিউজ

শাহজাদপুরে পৌরসভা ও অগ্নিবীণা সংসদে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : আজ শুক্রবার শাহজাদপুর পৌরসভা ও ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক সংগঠন অগ্নিবীণা সংসদের উদ্যোগে ইফত...

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

উল্লাপাড়া

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

তানিম তূর্যঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর পুকুর থেকে ইয়াম ইসলাম( ৮) নামের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে...

উপজেলা কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

অর্থ-বাণিজ্য

উপজেলা কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুর উপজেলা সংবাদদাতাঃ শাহজাদপুর উপজেলার কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির নব-নির্বাচিত ক...

নববর্ষ পহেলা বৈশাখ নিয়ে নানা কথা

উপ-সম্পাদকীয়

নববর্ষ পহেলা বৈশাখ নিয়ে নানা কথা