ভাদ্র মাসের কথা মনে হলেই মাথায় আসে পাকা তালের কথা।এখন চলছে জৈষ্ঠ্যমাস মাস। এই জৈষ্ঠ্যমাসে শাহজাদপুরের বাজারে আসতে শুরু করেছে কচি তাল। এই গরমে দেদারসে কচি তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। স্বল্পমূল্যের অত্যান্ত সুস্বাদু ও হাতের নাগালে পাওয়ায় সব বয়সী লোক এই তালের শাঁস খায়। গাছের মালিকরা ভাল দাম পাওয়ায় পাঁকার আগেই গাছ থেকে তাল বিক্রি করে দিচ্ছেন।
ফলে পাকা তালের অভাবে বীজ সংকটে পড়ে তাল গাছের বংশ বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন বৃক্ষপ্রেমীরা।
শাহজাদপুর শহরের মনিরামপুর বাজার বিসিক ও দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান তালের দোকান নিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা। পৌর শহর ছারাও বিভিন্ন শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকাগুলোতেও এই মৌসুমের তাল শাঁস বিক্রির হিড়িক পরেছে।উপজেলার নগড়ডালা,ডায়া জামিরতা,পোরজনা,তালগাছি, পোতাজিয়া রতনকান্দি, খুকনীর বিভিন্ন বাজার ও জনসমাগম হয় মোড়গুলোতে চলছে তালের শাস বিক্রির মহোৎসব। মৌসুম ভিত্তিক ব্যবসয়ীরা সাধারন তাল শাঁস বিক্রি করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করছে।শাহজাদপুর দিলরুবা বাসস্ট্যান্ডে তালের শাঁস ব্যবসায়ী আঃ আলিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান এর আগে তরমুজ বিক্রি করতাম এখন তালের শাঁস বিক্রি করি। শাহজাদপুর ছারা ও পাবনা নাটোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল এনে শাঁস বিক্রি করি। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টাকার তাল শাস বিক্রি হয় বলে জানান এই ব্যবসায়ী।আরেক ব্যবসায়ী জানান প্রতিটি তাল পনের টাকায় বিক্রি হচ্ছে।প্রতি তালে তিনটি করে শাঁস থাকে, সে হিসেবে প্রতি তাল শাঁসের মুল্য ৫টাকা।প্রতিদিন তিন হাজার টাকার তাল শাস বিক্রি করে থাকি।এছারাও শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাগেছে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকার তাল শাঁস বিক্রি হয়।
পাকা তাল অত্যান্ত পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এছাড়া এ গাছ প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহনশীল।কিন্তু অধিকহারে তালের শাঁস বিক্রির জোয়ারে পাকা তালের অভাব দেখা দিচ্ছে তালের বিজ সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে তালের বংশ বিস্তার।একসময় শাহজাদপুরের সর্বত্রই বড় বড় তাল গাছ ছিল। এসব গাছে বাস করতো , চিল, বাজ, বাবুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এ গাছ না থাকায় পাখিগুলি হারিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে তালগাছ কাটা হলেও বীজের অভাবে রোপন করা হচ্ছে না। গ্রামঞ্চলের মানুষ তালগাছের গুরুত্ব না বুঝে তালগাছ কেটে ফেলছে। এ গাছে বছরে একবার ফলন হয়, লাভ কম হয়। ফলে এ গাছ কেটে অন্য ফল বা অন্যকিছুর আবাদ করছেন অনেকে। তালগাছে লাভ কম হলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগ বিশেষ করে বজ্রপাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আঃসালাম বলেন তালগাছ সংরক্ষনে সরকারি কোন উদ্যোগ না থাকলেও প্রতি বছর আমরা বিভিন্ন এলাকায় তাল বিজ এনে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার ধারে রোপন করে থাকি।কৃষকেরা তালের শাঁস অথবা তাল পাকিয়ে যে কোন উপায়ে বিক্রি করতে পারে।এখন একাকালিন নগদ টাকা পাওয়ার জন্য হয়তো কৃষক তালের শাঁস বিক্রি করছে।আমরা সবসময় অধিক লাভের জন্য কৃষককে পাকা তাল বিক্রির পরামর্শ দিয়ে থাকি।এতে তালের বিজ থেকে তাল গাছের বংশ বিস্তার হবে।
সচেতন মহলের ধারনা যে হারে তালের শাঁস সারাদেশব্যাপী বিক্রি হচ্ছে তাতে একটা সময় তালের বীজের অভাবে তালগাছের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিতে পারে। তালগাছের বংশবৃদ্ধিতে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহন জরুরী।
সম্পর্কিত সংবাদ
অর্থ-বাণিজ্য
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা
এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন,...
বাংলাদেশ
১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদে...
শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে দুই মেয়েকে বিষ পান করিয়ে মায়ের আত্মহত্যা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ইসলামপুর ডায়া নতুনপাড়া গ্রামে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বিষপান করে ম...
জাতীয়
শাহজাদপুরে বিশাল আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ ১৪২২ বঙ্গাব্দ/স্থিরচিত্র, (ভিডিও সহ)
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম জানান, 'ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত... সোমবার (৯মে) দুপুরে শাহজাদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিমল কুন্ডুর সভাপতিত্বে ও শফিকুজ্জামান শফির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত।অপরাধ
শাহজাদপুরের বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা
শাহজাদপুর
সভাপতি বিমল কুন্ডু সাধারন সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ