

ইসলামে বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষী থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় না। ইসলামী শরিয়তে বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য কমপক্ষে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে হয় এছাড়া বিয়ে ও সংসার জীবন বিশুদ্ধ হয় না। তাই বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে।
এর দলিল হিসেবে ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদেরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিস উল্লেখ করেন। আল্লাহর রাসুল বলেন,
لا نكاح إلا بوليّ وشاهدين
‘অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।’- (আহমাদ, বুলূগুল মারাম- হা/৯৭৬, বিয়ে অধ্যায়)
বিয়েতে সাক্ষীর সামনে বর ও কনের নাম উচ্চারণ করা হয়। তবে নাম উচ্চারণের সময় যদি ভুলে অন্য কোনো বর বা কনের নাম বলে তাহলে এতে বিয়ে শুদ্ধ হবে কিনা? নাকি ভুলে যার নাম বলা হয়েছে তার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাবে?
এ বিষয়ে ফেকাহবিদ আলেমরা বলেন, যার বিয়ে পড়ানো হচ্ছে তিনি যদি সামনেই উপস্থিত থাকেন, তাহলে নাম ভুল হলেও সে যেহেতু সামনেই উপস্থিত ছিল তাই তার বিয়ে হয়ে যাবে। কারণ, যার বিয়ে পড়ানো হয়েছে তিনি বিবাহের মজলিসে উপস্থিত ছিলেন, সেক্ষেত্রে নাম বলতে ভুল হয়ে গেলেও সমস্যা নেই। উপস্থিত বর বা কনের সাথেই বিবাহ সংঘঠিত হয়ে যায়।
প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষের বিয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইসলামে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, ‘হে যুবক সকল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম সে যেন বিয়ে করে। কারণ, বিয়ে করলে দৃষ্টিকে নিচু রাখা যায় এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করা যায়। আর যে ব্যক্তি বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না সে যেন রোজা রাখতে থাকে। কারণ রোজা তার খাহেশকে কমিয়ে দেবে (বুখারি, মুসলিম)।
বিয়েতে পাত্রী পছন্দের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে আত্মিক ও ঈমানের সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘নারীদের চারটি গুণ দেখে বিয়ে করো : তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী। তবে তুমি দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেবে। নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৯০)
রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের নিকট কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের যদি পছন্দ হয়, তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথা জমিনে বড় বিপদ দেখা দেবে এবং সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৮৪-৮৫)
হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বলেন, আমি জনৈক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব করলাম। রাসূল (সা.) আমাকে বললেন, ‘তুমি কি তাকে দেখেছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাকে দেখে নাও। কেননা এতে তোমাদের উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা জন্মাবে।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৩১০৭)
সম্পর্কিত সংবাদ

স্বাস্থ্য
শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কালাজ্বর নির্মুলের উদ্দেশ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শাহজাদপুর প্রতিনিধি : ‘এক দিনের চিকিৎসায় কালাজ্বর সেরে যায় ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গতকাল রোববার বাংলাদেশ সরকার...

বাংলাদেশ
ঈদে ৮ দিন শিথিল, পরে কঠোর বিধিনিষেধ
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। তবে ২৩ জুলাই থেকে...

অর্থ-বাণিজ্য
শাহজাদপুর উপজেলা বস্ত্র মালিক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন
শামছুর রহমান শিশির: শাহজাদপুর উপজেলা বস্ত্র মালিক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ...

শাহজাদপুরে বিয়ের দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর আমরণ অনশন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত দুইদিন ধরে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের পারকোলা গ্রামের শের আলীর কন্...
