সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শান্তিনিকেতনের আদলে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। শিল্পকলাভিত্তিক এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি ও সৃজনশীল শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য ৫১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। তবে, সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের পরিবর্তে শিল্পকলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় আলোচনার সময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে না থেকে, বরং একটি সাংস্কৃতিক ও পর্যটনকেন্দ্র হিসেবেও গড়ে ওঠে—এমনভাবে পরিকল্পনা করতে হবে।
বর্তমানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শাহজাদপুরের স্থানীয় তিনটি কলেজের ক্যাম্পাস থেকে সীমিত পরিসরে পরিচালিত হচ্ছে। তবে এসব কলেজের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষ ব্যবহারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায়, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।
উপদেষ্টা আরও জানান, শাহজাদপুরের ঐতিহাসিক কুটিবাড়ির জমিদারি এলাকায় ১০০ একর জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হবে। এতে চারুকলা, সংগীত, নৃত্য, সাহিত্যসহ বিভিন্ন শাখার শিল্পচর্চার সুযোগ থাকবে। একই সঙ্গে এটি পর্যটকদের জন্যও একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, একদিকে যেমন রবীন্দ্র ভাবনার অনুরণন ছড়িয়ে পড়বে, তেমনি শাহজাদপুর অঞ্চলও দেশের সাংস্কৃতিক মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করবে।