সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল ইউনিয়নে কারেন্ট জালের আদলে তৈরী করা হচ্ছে বিক্রিয় নিষিদ্ধ অবৈধ চায়না জাল। গোপন সংবাদে নিষিদ্ধ এ চায়না জাল তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। হাটিকুমরুল ইউনিয়নে নবরতœ মন্দিরের প্রবেশ পথের পুকুর পাড়ে অবস্থিত এই কারখানায় করোনার মধ্যে প্রায় শতাধিক জনবল কাজ করতে দেখা গেছে।
যেখানে জেলা প্রশাসন, জেলা মৎস্য অফিস, পুলিশ ও নৌ-পুলিশ প্রতিনিয়ত অবৈধ এসব জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু এই কারখানার মালিক বিধান হলদার রাষ্ট্রের বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে সরকার কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে এই চায়না জাল তৈরী করে যাচ্ছে। দেশে প্রস্তুত করা হলেও বিভিন্ন চায়না মোড়গে তা বাজারজাত করা হচ্ছে। এতে করে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব।
সচেতন মহল বলছেন, অবৈধ চায়না জাল উৎপাদনরত ফ্যাক্টরির অনুমোদন কি ভাবে পায়। চায়না জাল উৎপাদন ও বিক্রি সরকারিভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু এ কাজে যারা জড়িত তারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছেন। এ এলাকায় নতুন নতুন কারখানা স্থাপন করে দেদারছে অবৈধ চায়না জাল উৎপাদন ও বিক্রি করছেন।
অপরদিকে এ অবৈধ চায়না জাল উৎপাদনকারী মালিকদের পেছনে যারা মদদ যোগাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে শান্তি এবং খুব দ্রæত কারখানাটি বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সচেতন মহল জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বায়েজিদ আলম জানান, অবৈধ এই চায়না জাল তৈরীর কারখানার বিষয়টি শুনেছি এবং বিষয়টা জেলা মৎস অফিসে জানানো হয়েছে ও উপজেলা নিবাহী কমকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। খুব দ্রæত এই অবৈধ চায়না জাল তৈরীর কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।