ভোলায় জমি নিয়ে বিরোধে মসজিদের মধ্যেই মারামারি

Bhola Clash


ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মসজিদের মধ্যেই এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষের আঘাতে প্রবীণ ঐ শিক্ষককের বাম চোখে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। হামলার প্রতিবাদ করায় হামলাকারীরা শিক্ষকের দুই ছেলেকেও মারধর করে।


ভোলার বোরহাউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামে রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।


গুরুতর আহত প্রবীণ শিক্ষককে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লীরা জানান, হাজী ফজলুল করীম ও তার ভাই নজির আহমেদ ১৯৬৭ সালে চর আলগী সরকারী প্রাথমিক বিদ

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মসজিদের মধ্যেই এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষের আঘাতে প্রবীণ ঐ শিক্ষককের বাম চোখে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। হামলার প্রতিবাদ করায় হামলাকারীরা শিক্ষকের দুই ছেলেকেও মারধর করে।

ভোলার বোরহাউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামে রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত প্রবীণ শিক্ষককে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লীরা জানান, হাজী ফজলুল করীম ও তার ভাই নজির আহমেদ ১৯৬৭ সালে চর আলগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর আলগী ফজলুল করীম জামে মসজিদ ও ঈদগাহ, চর আলগী নুরানী কুরআন মাদ্রাসা ও এলাকার পাণীয় জলের পুকুর খননে প্রায় ৭ একর জমি ওয়াকফ করে দেন। এবং মসজিদের মোতায়ালি করেন চর আলগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিককে। সম্প্রতি ওই সকল জমি ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দাবি করেন স্থানীয় প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম খাঁ ও বাবুল খাঁ। এ নিয়ে গ্রামের মুসল্লিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ঈদের ও জুম্মার নামাজ আদায় করে। বিষয়টি মিমাংসার জন্য চর আলগী মসজিদে সালিশ বসে। সালিসের এক পর্যায়ে মোতাওয়ালি আবু বকর সিদ্দিক তাকে বৈধ হিসেবে দাবী করেন।

এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ এরশাদ খাঁ, সোহাগ খাঁ, হাসান খাঁ ও সজিব খাঁ মোতাওয়ালি আবু বকর সিদ্দিকের উপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তাকে এলোপাথারি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলে শহিদ উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিনকেও মারধর করে প্রতিপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি; আহত পরিবারের এক ছেলে আমাকে ঘটনাটি জানালে আমি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’