পাবনার ঈশ্বরদীতে গত ২০ বছরে আর্সেনিকে আক্রান্ত ৬০ জনের মৃত্যু

image_66983_0

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে গত ২০ বছরে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে এ গ্রামে ব্যাপক হারে আর্সেনিকের প্রভাব বিস্তার ঘটেছে। অথচ সরকারী বেসরকারী পর্যায় আর্সেনিক প্রতিরোধে কার্যকর কোন পদক্ষেণ গ্রহণ করা হয়নি আজও। ২০০০ সালে একটি বেসরকারি সংস্থা এলাকায় বেশ কিছু পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার), ফিল্টার স্থাপন করে। প্রথম দিকে সেগুলো কিছুটা কাজে লাগলেও সুষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে সেগুলোর সবই কার্যকারিতা হারিয়েছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাবে গ্রামের অনেক মানুষই বাধ্য হয়েই রেডমার্কযুক্ত টিউবওয়েলের পানি পান করছে।

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে গত ২০ বছরে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে এ গ্রামে ব্যাপক হারে আর্সেনিকের প্রভাব বিস্তার ঘটেছে। অথচ সরকারী বেসরকারী পর্যায় আর্সেনিক প্রতিরোধে কার্যকর কোন পদক্ষেণ গ্রহণ করা হয়নি আজও। ২০০০ সালে একটি বেসরকারি সংস্থা এলাকায় বেশ কিছু পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার), ফিল্টার স্থাপন করে। প্রথম দিকে সেগুলো কিছুটা কাজে লাগলেও সুষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে সেগুলোর সবই কার্যকারিতা হারিয়েছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাবে গ্রামের অনেক মানুষই বাধ্য হয়েই রেডমার্কযুক্ত টিউবওয়েলের পানি পান করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে গ্রামটি আর্সেনিক গ্রাম বলে পরিচিত লাভ করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশির দশক থেকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর ও চররূপপুর গ্রামে আর্সেনিকে আক্রান্তের আলামত পাওয়া যায়। গ্রাম গুলো এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে আর্সেনিকে আক্রান্ত এলাকা। গ্রামবাসীদের মতে এই গ্রামে গত ২০ বছরে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এদের মধ্যে একই পরিবারে মারা গেছে ১১ জন।

চররূপপুর গ্রামের আলিম জানালেন, আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে তার দাদা, দাদী চাচা, চাচী, ভাই মারা গেছে। বর্তমানে তার ভাই মাসহ পরিবারের অনেকেই আর্সেনিকে আক্রান্ত রয়েছে। বিভিন্ন বে-সরকারী সংস্থা মাঝে মধ্যে তাদের ঔষধ দিলেও সেগুলো কোন কাজে আসেনা। সরকারী ভাবে কোন সময় কোন লোক আসেনা।

খোঁজ নিয়ে আরো জানাযায়, ২০০০ সালে ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় একটি বেসরকারি সংস্থা এলাকায় বেশ কিছু পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার), ফিল্টার স্থাপন করে। প্রথম দিকে সেগুলো কিছুটা কাজে লাগলেও সুষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে সেগুলোর সবই কার্যকারিতা হারিয়েছে। বর্তমানে গ্রাম গুলোতে এখন আর দেখাও পাওয়া যায়না বে-সরকারী সংস্থার লোকদেরকে। ফলে বাধ্য হয়েই গ্রামবাসীদের আর্সেনিকযুক্ত পানিই পান করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পাবনা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জামানুর রহমান বলেন, সরকারী ভাবে ওই গ্রাম গুলোতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করায় ২০০৫ সানের পর থেকে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে ওই গ্রাম গুলোতে কোন রোগী মারা যায়নি।