পাবনায় স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহরে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিকসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-চাটমোহর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে ও রেজাউল করিমের স্ত্রী খাদিজা খাতুন (২৮), তার কথিত প্রেমিক সাঁথিয়া উপজেলার সেলন্দা ছোনপাড়া গ্রামের মৃত লস্কর সরদারের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে রবিউল ইসলাম (৩০) ও আটঘরিয়া উপজেলার রোকনপুর গ্রামের আজিম মোল্লার ছেলে রেজাউল করিম (৩০)।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, পাবনার চাটমোহর উপজেলার ভাদড়া গ্রামে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে ২০১১ সালের ২৪ আগষ্ট রাতের কোনো এক সময় স্ত্রী খাদিজা খাতুন তার প্রেমিক রুহুল আমিন ওরফে রবিউল ইসলাম দুইজনের সহায়তায় তার স্বামী ভাদড়া গ্রামের আহাম্মদ আলী মৃধার ছেলে রেজাউল করিম (৩০) কে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বাড়ির সামনে ফেলে রাখে। পরদিন সকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত রেজাউল করিমের ছোট ভাই ওমর আলী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে চাটমোহর থা

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহরে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিকসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-চাটমোহর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে ও রেজাউল করিমের স্ত্রী খাদিজা খাতুন (২৮), তার কথিত প্রেমিক সাঁথিয়া উপজেলার সেলন্দা ছোনপাড়া গ্রামের মৃত লস্কর সরদারের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে রবিউল ইসলাম (৩০) ও আটঘরিয়া উপজেলার রোকনপুর গ্রামের আজিম মোল্লার ছেলে রেজাউল করিম (৩০)। মামলা সুত্রে জানা গেছে, পাবনার চাটমোহর উপজেলার ভাদড়া গ্রামে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে ২০১১ সালের ২৪ আগষ্ট রাতের কোনো এক সময় স্ত্রী খাদিজা খাতুন তার প্রেমিক রুহুল আমিন ওরফে রবিউল ইসলাম দুইজনের সহায়তায় তার স্বামী ভাদড়া গ্রামের আহাম্মদ আলী মৃধার ছেলে রেজাউল করিম (৩০) কে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বাড়ির সামনে ফেলে রাখে। পরদিন সকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত রেজাউল করিমের ছোট ভাই ওমর আলী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। পরে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন নিহত রেজাউল করিমের স্ত্রী খাদিজা খাতুন। এরপর দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন বিচারক। এ সময় তিন আসামীই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষনার পর আসামীদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলায় মোট ১৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট শাজাহান আলী খান ও অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান মুক্তা এবং আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তোরাব আলী সরদার।