পিনাক- ৬ ট্রাজেডি দায়ীদের আড়ালের অপচেষ্টা চলছে

1-Pinak-6-Tragedy

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম ঢাকা: ধারণক্ষমতার চারগুন বেশি যাত্রী বহন ও আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা লঙ্ঘন করে পিনাক-৬ লঞ্চটিকে চলাচলের সুযোগ দেয়ার কারণেই পদ্মার মাওয়ায় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের (ডস) চার কর্মকর্তা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে চরম দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনায় দায়ীদের এখন আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবার রাজধানীর পুরান পল্টনে মুক্তিভবনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী ও লঞ্চমালিক নেতাসহ বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর), যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট যৌথভাবে “পদ্মায় পিনাক-৬ ট্রাজেডি: সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব-জ্ঞানহীন অবহেলায় সংঘটিত এই হত্যাযজ্ঞের আদৌ বিচার

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম ঢাকা: ধারণক্ষমতার চারগুন বেশি যাত্রী বহন ও আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা লঙ্ঘন করে পিনাক-৬ লঞ্চটিকে চলাচলের সুযোগ দেয়ার কারণেই পদ্মার মাওয়ায় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের (ডস) চার কর্মকর্তা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে চরম দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনায় দায়ীদের এখন আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবার রাজধানীর পুরান পল্টনে মুক্তিভবনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী ও লঞ্চমালিক নেতাসহ বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর), যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট যৌথভাবে “পদ্মায় পিনাক-৬ ট্রাজেডি: সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব-জ্ঞানহীন অবহেলায় সংঘটিত এই হত্যাযজ্ঞের আদৌ বিচার হবে কী?” শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। পিনাক-৬ ট্রাজেডিকে দুর্ঘটনা না বলে মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয় উল্লেখ করে ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী কর্মকর্তাদের প্রাইজ পোস্টিং না দিয়ে অবিলম্বে বরখাস্তের দাবি জানান তারা। এছাড়া বক্তারা নৌ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং ঈদে মাওয়া অঞ্চলে সমন্বয়ক ও নিয়ন্ত্রণকারীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ডস কর্মকর্তাকে সদরঘাট কার্যালয়ে দেয়া পদায়ন আদেশ বাতিল দাবি করেন। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানায় বিআইডব্লিউটিএর এক অভিযুক্ত কর্মকর্তার করা মামলায় গ্রেপ্তার লঞ্চমালিক ও তার ছেলের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করে মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার অপচেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। লিখিত বক্তব্যে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক আশীষ কুমার দে জানান, ঈদ উপলক্ষে মাওয়া অঞ্চলে নৌযান চলাচল তদারকির জন্য ডসের ‘প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক’ মো. মুঈনউদ্দিন জুলফিকারকে ডসের পক্ষে ‘সমন্বয়ক ও নিয়ন্ত্রণকারী’ হিসেবে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হলেও তিনি অতিরিক্ত যাত্রী বহনকারী ও আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত উপেক্ষাকারী ছোট লঞ্চগুলোর চলাচল বন্ধ করেননি। আবহাওয়ার ২ নং সতর্ক সংকেত থাকলে ৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘের নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ হলেও দুর্ঘটনার দিন মাওয়া নদীবন্দরে ২ নং সতর্ক সংকেত বলবত থাকা সত্ত্বেও মাওয়া নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ ৫২ ফুট দৈর্ঘের পিনাক-৬ লঞ্চটির চলাচল বন্ধ করেননি। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ (আইএসও)- ১৯৭৬ এর সংশ্লিষ্ট বিধি লঙ্ঘন করে সেদিন কাওড়াকান্দি ঘাটে দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) জাহাঙ্গীর ভুঁইয়া ৮৫ জন ধারণ ক্ষমতার পিনাক-৬ লঞ্চকে ৩০০ যাত্রী বহনের সুযোগ দিয়েছেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. ইনামুল হক, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ও সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান, অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল, সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট তাসনীম রানা, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফ, পরিবেশ সম্মত বাসযোগ্য ঢাকা বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব হাজী মোহাম্মদ শহীদ প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে মাওয়ায় আসার পথে ডুবে যায় লঞ্চ এমএল পিনাক-৬। ওইদিন বিকালেই নৌমন্ত্রণালয় ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।