গত শুক্রবার গ্রীন রোডে জাতীয় কমিটির আহ্বায়কের কার্যালয়ে জাতীয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন, রাগিব আহসান মুন্না, মোজাম্মেল হক তারা, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, এডভোকেট আবদুস সালাম, ফিরোজ আহমেদ, বেলাল চৌধুরী, ফখরুদ্দীন কবির আতিক, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, আকবর খান, মাসুদ খান, সুবল সরকার, আবু তাহের, মিজানুর রহমান প্রমুখ। সভায় বক্তারা, বঙ্গোপসাগরের খনিজ সম্পদ নিয়ে বহুজাতিক কোম্পানির এজেন্ডা অনুযায়ী সরকারকে অগ্রসর হওয়ার বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন। সভায় আরো বলা হয় বঙ্গোপসাগরের গ্যাস সম্পদের উপর শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করা হলে এবং জাতীয় সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে সেই গ্যাস সম্পদ দিয়ে দেশের বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নে ব্যবহার হলে বাংলাদেশে আগামি কয়েক দশকের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, কোন সংকটের অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু সরকার যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তাতে বঙ্গোপসাগরের সম্পদ যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারার বন্দোবস্ত হচ্ছে। নিজেদের সম্পদ বিদেশিদের দিয়ে বিদেশী কোম্পানি ও দেশি লুটেরাদের স্বার্থে সুন্দরবন ধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বড়পুকুরিয়ায় উন্মুক্ত কয়লা খনির চক্রান্ত করা হচ্ছে। সভায় জনগণকে সাথে নিয়ে এসব দেশবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। সভায় আগামি ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে এইসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও জাতীয় কমিটির আহবানে আগামি ২০-২১ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় ঢাকায় পথ নাটক ও প্রতিরোধের গান উৎসব এবং ২৪-২৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে সুন্দরবন সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
