শাহজাদপুর সংবাদ ডটকমঃ বিশ্ববাজারে দেশের পণ্য রপ্তানি চলতি অর্থবছরের শুরুতে ধাক্কা খেলেও দ্বিতীয় মাসেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বেড়েছে পণ্য রপ্তানি, বেড়েছে আয়ও। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ২৯৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম ছিল। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য বলছে, অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২১৬ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসে আয় হয়েছিল ২০১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। রপ্তানি আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রাথমিক ধাক্কা সামলে রপ্তানি আবারও প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে।
তবে ইপিবি আগস্ট মাসের রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল, তা অবশ্য অর্জিত হয়নি। রপ্তানি কম হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬১ কোটি ৬১ লাখ ডলার।
শাহজাদপুর সংবাদ ডটকমঃ বিশ্ববাজারে দেশের পণ্য রপ্তানি চলতি অর্থবছরের শুরুতে ধাক্কা খেলেও দ্বিতীয় মাসেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বেড়েছে পণ্য রপ্তানি, বেড়েছে আয়ও। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ২৯৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম ছিল। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য বলছে, অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২১৬ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসে আয় হয়েছিল ২০১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। রপ্তানি আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রাথমিক ধাক্কা সামলে রপ্তানি আবারও প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে।
তবে ইপিবি আগস্ট মাসের রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল, তা অবশ্য অর্জিত হয়নি। রপ্তানি কম হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬১ কোটি ৬১ লাখ ডলার।
বছরের পর বছর দেশের রপ্তানি আয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছে তৈরি পোশাকশিল্প। এ ধারা অব্যাহত আছে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসেও। ইপিবির তথ্যে দেখা যাচ্ছে, জুলাই ও আগস্ট—এই দুই মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে যত আয় হয়েছে, তার ৮২ শতাংশই এসেছে পোশাক খাত থেকে।
ইপিবি বলছে, দুই মাসে মোট রপ্তানি আয় যেখানে ৫১৪ কোটি ২২ লাখ ডলার, সেখানে পোশাকই রপ্তানি হয়েছে ৪২৩ কোটি ১৪ লাখ ডলারের। এর মধ্যে নিট পোশাক ২২০ কোটি ৬৩ লাখ এবং ওভেন পোশাক ২০২ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের রপ্তানি হয়েছে।
নিট পোশাকের রপ্তানি আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। গত বছরের জুলাই-আগস্টে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ২১০ কোটি ১৯ লাখ ডলারের। তবে ওভেন পোশাকের রপ্তানি কমেছে দেড় শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ২০৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।
ওভেন পোশাকে রপ্তানি আয় কমে যাওয়া সম্পর্কে তৈরি পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছয় মাস আগে আমরা বলেছিলাম যে পোশাকের রপ্তানির কাজ কমে যাচ্ছে। তারই প্রভাব এখন রপ্তানির আয়ে পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের যে বাজার ছিল, তার কিছুটা ভিয়েতনামে চলে গেছে।’ পোশাক খাতে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে কারখানাগুলো নতুনভাবে গোছানো হচ্ছে। এর ওপর ভিত্তি করে শিগগিরই দেশের পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করেন বিজিএমইএর এই নেতা।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাই-আগস্ট সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, চিংড়ি, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক পণ্য এবং কার্পেট রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চামড়াজাত পণ্যে ৪৯ শতাংশ, পাদুকায় ৩২ শতাংশ, ওষুধে ২৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ৩৫ দশমিক ৮১ শতাংশ, চিংড়িতে ৬ শতাংশ, হিমায়িত খাদ্যে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সিরামিক পণ্যে ১৭ শতাংশ এবং কার্পেটে ৭৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অন্যদিকে এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য, কাঁচা ও প্রস্তুত চামড়া, বিশেষায়িত বস্ত্র (টেরিটাওয়েল, বিশেষ ওভেন কাপড়), প্রকৌশল পণ্য এবং আসবাবের রপ্তানি বেশ কমে গেছে। সার্বিকভাবে পাট ও পাটজাত পণ্যে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ, টেরিটাওয়েলে ৪৬ শতাংশ, আসবাবে ১৭ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।
শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম/পিএনএস/09/09/2014