গুঁড়োদুধ আমদানির নামে অর্থ পাচারের অভিযোগে মেসার্স তানভীর ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয় থেকে রোববার তানভীর ফুডের এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদের এ নোটিশ করা হয়েছে। কমিশনের সিনিয়র উপপরিচালক মীর মো: জয়নুল আবেদীন শিবলী ওই নোটিশ করেছেন। নোটিশে তাকে আগামী ২৩ অক্টোবর বেলা ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মেসার্স তানভীর ফুড লিমিটেডকে ২০১০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দুই বছরে বিদেশ থেকে ফুলক্রিম গুঁড়োদুধ আমদানিসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাথে আনতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফুলক্রিম গ
গুঁড়োদুধ আমদানির নামে অর্থ পাচারের অভিযোগে মেসার্স তানভীর ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয় থেকে রোববার তানভীর ফুডের এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদের এ নোটিশ করা হয়েছে। কমিশনের সিনিয়র উপপরিচালক মীর মো: জয়নুল আবেদীন শিবলী ওই নোটিশ করেছেন। নোটিশে তাকে আগামী ২৩ অক্টোবর বেলা ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মেসার্স তানভীর ফুড লিমিটেডকে ২০১০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দুই বছরে বিদেশ থেকে ফুলক্রিম গুঁড়োদুধ আমদানিসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাথে আনতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফুলক্রিম গুঁড়োদুধ ব্রান্ডের নাম, রফতানিকারক দেশের নাম, প্রতি টনের মূল্য, প্রতি ইউনিট কী মূল্যে শুল্কায়ন করা হয়েছে, বিল অব এন্ট্রি নম্বর ও তারিখ, শুল্কায়ন কাস্টমস হাউজের নাম, পিএসআই সার্টিফিকেট প্রভৃতি।
সূত্রমতে, ফুলক্রিম গুঁড়োদুধ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে।
আমদানিকারক দুই-একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই মিথ্যা তথ্য দিয়ে কম মূল্য দেখিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়। এদের মধ্যে তানভীর ফুড লিমিটেডসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠান শুল্ক ফাঁকি দেয়ার কৌশল হিসেবে প্রতি টন গুঁড়োদুধের জন্য এক থেকে দেড় হাজার ডলার রফতানিকারক দেশগুলোতে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ১১ জুলাই ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট অনুসারে এক টন গুঁড়োদুধ আমদানি করতে স্বনামধন্য একটি ব্রান্ড ব্যয় করেছে চার হাজার ৪০০ ডলার। অথচ একই সময় তানভীর ফুড লিমিটেড ফ্রেস গুঁড়োদুধ আমদানি করতে ব্যয় করেছে দুই হাজার ৭০০ ডলার।
অস্ট্রেলিয়ার ইকোভাল ডেইরি ট্রেডের তথ্যানুসারে ২০১১ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি টন গুঁড়োদুধের দাম রাখা হয়েছে তিন হাজার ৭৯০ ডলার। অথচ একই সময় তানভীর ফুড লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি টন গুঁড়োদুধের দাম রাখা হয়েছে দুই হাজার ৪৮০ ডলার। এ ক্ষেত্রে প্রতি টনে আন্ডার ইনভয়েসিং হয়েছে এক হাজার ৩১০ ডলার। অর্থাৎ প্রতি ৫০ টনে ৬৫ হাজার ৫০০ ডলার পাচার হচ্ছে।
এভাবে বিগত ২০১০ ও ২০১১ সালে দেড় হাজার কোটি টাকার শুল্ক হারিয়েছে সরকার। ওই সময় বিশ্ববাজারে প্রতি টন গুঁড়োদুধের দাম ছিল তিন হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার। কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব অনিয়ম করা হয় বলে জানা গেছে।