লেজার ট্র্যাক্টর নামটি অনেকের কাছেই অচেনা লাগতে পারে, কিন্তু যারা সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখতে ভালোবাসেন তাদের কাছে এর ধারণাটি মোটেই অচেনা নয়। অনেক সময়ে দেখা যায় শুধুমাত্র একটি লেজার রশ্মির সাহায্যে বিশাল একটি মহাকাশযান টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অথবা এক জায়গায় স্থির করে রাখা হচ্ছে। এ ধরণের লেজার আসলেই বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি উদ্ভাবন করেছেন এমন লেজার ট্র্যাক্টর বিম যা অনেক দূর থেকে বস্তুকণা আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করতে পারে। Natural Photonics জার্নালে প্রকাশিত হয় অস্ট্রেলিয়ান ন্যশনাল ইউনিভার্সিটির ভ্লাদলেন শভেদভ এর এই গবেষণার তথ্য।
ট্র্যাক্টর রশ্মি বা বিম নিয়ে এর আগেও কিছু গবেষণা হয়েছে কিন্তু তাতে ব্যবহৃত হয়েছে শব্দতরঙ্গ বা পানি। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র একটি লেজার বিম দিয়ে ২০ সেন্টিমিটার দূর থেকে
লেজার ট্র্যাক্টর নামটি অনেকের কাছেই অচেনা লাগতে পারে, কিন্তু যারা সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখতে ভালোবাসেন তাদের কাছে এর ধারণাটি মোটেই অচেনা নয়। অনেক সময়ে দেখা যায় শুধুমাত্র একটি লেজার রশ্মির সাহায্যে বিশাল একটি মহাকাশযান টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অথবা এক জায়গায় স্থির করে রাখা হচ্ছে। এ ধরণের লেজার আসলেই বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি উদ্ভাবন করেছেন এমন লেজার ট্র্যাক্টর বিম যা অনেক দূর থেকে বস্তুকণা আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করতে পারে। Natural Photonics জার্নালে প্রকাশিত হয় অস্ট্রেলিয়ান ন্যশনাল ইউনিভার্সিটির ভ্লাদলেন শভেদভ এর এই গবেষণার তথ্য।
ট্র্যাক্টর রশ্মি বা বিম নিয়ে এর আগেও কিছু গবেষণা হয়েছে কিন্তু তাতে ব্যবহৃত হয়েছে শব্দতরঙ্গ বা পানি। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র একটি লেজার বিম দিয়ে ২০ সেন্টিমিটার দূর থেকে মোটামুটি ০.২ মিলিমিটার ব্যাসের কণিকা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। এযাবতকালের গবেষণাগুলো বিবেচনায় আনলে এই অগ্রগতি অসামান্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন আরও বৃহৎ পরিসরে এই কাজটি করা যাবে। মোটামুটি কয়েক মিটার পর্যন্ত এই লেজার ব্যবহার করা যাবে বলে তারা মনে করেন, কিন্তু তাদের ল্যাব ছোট হওয়ায় তা হাতে কলমে দেখা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এর পরেও পদার্থবিদেরা এমন একটি ডেমনস্ট্রেশনের স্বপ্ন দেখে থাকেন সারা জীবন।
এর আগে লেজার ট্র্যক্টর বিম ব্যবহার করে ফোটোন দিয়ে ধাক্কা দেওয়া হয় বস্তু কণিকাকে, যে ধাক্কার ফলে তারা সামনের দিকে চালিত হয়। কিন্তু এ পদ্ধতিটি যেমন অস্থিতিশীল, তেমনি এর সাফল্যের মাত্রাও ছিলো কম। কিন্তু ANU এর এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে ডোনাট আকৃতির একটি ফাঁপা লেজার বিম যা ওই কণিকাকে ঘিরে ফেলে এমন এই বিমের থেকে তৈরি উত্তাপ আশেপাশের বাতাসকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যাতে তাকে সামনে-পেছনে নেওয়া যায় এমনকি এক জায়গায় স্থির করেও রাখা যায়।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত কণিকাগুলো হলো ফাঁপা কাঁচের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বল যাদের ওপরে স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া ছিলো। এসব কণিকার সংস্পর্শে আসার পর লেজার বিমটি একটি “হটস্পট” তৈরি করে। বাতাস যখন এই হটস্পটের সাথে ধাক্কা খায়, তখন তা উত্তপ্ত হয়ে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহের শক্তিতে ওই কণিকাটি বিপরীত দিকে চালিত হয়। বের দূর পর্যন্ত এই লেজার বিমের নিয়ন্ত্রণ থাকার পাশাপাশি এর নিয়ন্ত্রণের মাত্রাও বেশ ভালো। লেজারের পোলারাইজেশন পরিবর্তনের মাধ্যমে হটস্পটের অবস্থান পরিবরতনা করা যায় এবং বাতাসের প্রবাহ কোনদিকে কণিকাটিকে নিয়ে যাবে তা নির্ধারণ করা যায়।
তবে এখনই এই লেজার বিম ব্যবহার করে বিশাল সব মহাকাশযান টানাটানির কথা কল্পনা করে লাভ নেই। প্রথমত তা ব্যবহৃত হবে পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন গবেষণায়, যেখানে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণিকা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন পড়ে। এর সাহায্যে বায়ু দূষণকারী পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করাও যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।