শাহজাদপুরে মুলার বাম্পার ফলনঃ ক্রেতার অভাবে চাষিরা বিপাকে

mula
মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান: শাহজাদপুরের হাট বাজারে মুলার দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। গতকাল রবিবার তালগাছি হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক মুলা চাষি তাদের উৎপাদিত শত শত মন মুলা নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছে। ক্রেতার অভাবে মুলা বিক্রি করতে না পেরে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে। চাষিরা জানায়, এবছর শাহজাদপুর উপজেলার সবখানে মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথমদিকে এর দাম ভাল পাওয়া গেলেও বাজারে মুলার ব্যাপক আমদানি হওয়ায় বাজার প্রায় ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়েছে। বেচাবিক্রি না থাকায় মুলা চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনেকেই অবিক্রিত মুলা গরু ছাগলকে খাওয়াচ্ছে। জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি, পুরানটেপরি, বারোইটেপরি, চরনরিনা,গাড়াদহ, চরনবীপুর, নবীপুর, মশিপুর, কায়েমপুর, মাকড়কোলা, পাড়কোলা, যুগ্নীদহ, চিথুলিয়া, হরিরামপুর, ব্রজবালাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে মুলা চাষ হয়ে

মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান: শাহজাদপুরের হাট বাজারে মুলার দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। গতকাল রবিবার তালগাছি হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক মুলা চাষি তাদের উৎপাদিত শত শত মন মুলা নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছে। ক্রেতার অভাবে মুলা বিক্রি করতে না পেরে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে। চাষিরা জানায়, এবছর শাহজাদপুর উপজেলার সবখানে মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথমদিকে এর দাম ভাল পাওয়া গেলেও বাজারে মুলার ব্যাপক আমদানি হওয়ায় বাজার প্রায় ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়েছে। বেচাবিক্রি না থাকায় মুলা চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনেকেই অবিক্রিত মুলা গরু ছাগলকে খাওয়াচ্ছে। জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি, পুরানটেপরি, বারোইটেপরি, চরনরিনা,গাড়াদহ, চরনবীপুর, নবীপুর, মশিপুর, কায়েমপুর, মাকড়কোলা, পাড়কোলা, যুগ্নীদহ, চিথুলিয়া, হরিরামপুর, ব্রজবালাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে মুলা চাষ হয়ে থাকে। কৃষকরা এবছরেও তাদের জমিতে ব্যাপক হারে মুলা চাষ করে। এতে বাজারে মুলার আমদানি বেশী হওয়ায় ক্রেতার অভাবে কৃষকরা মুলা বিক্রি করতে পারছেনা। ফলে মুলা চাষিরা আর্থিক ভাবে লোকশানের মুখে পড়েছে। মুলা চাষি চিথুলিয়ার আসান সরকার, পুরানটেপরির দুলাল সরকার, মজিদ খা, ভাষা মিয়া, হেলাল উদ্দিন চরনবীপুরের নুর ইসলাম জানান, তারা সবাই ২৫ শতক থেকে আড়াই ডেসিমাল জমিতে মুলা চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এপর্যন্ত তারা ১০ হাজার টাকারও মুলা বিক্রি করতে পারেননি। ফলে তাদের উৎপাদিত মুলা জমিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে চাষিরা এখন মুলা গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। গত কয়েকদিন ধরে তালগাছিসহ এ অঞ্চলের হাট বাজারে প্রতি কেজি মুলা ৪ থেকে ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দুসপ্তাহ আগেও যার দাম ছিল কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, বাজারে শীতকালিন অন্যান্য সবজি উঠতে থাকায় ক্রেতাদের মাঝে মুলার চাহিদা কমে গেছে। ফলে কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী দাম পাচ্ছে না। তাই কৃষকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। আশা করছি অন্যান্য সবজি বিক্রি করে তাদের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে।