উল্লাপাড়ার ভেড়ামারা বিল সংযোগ খাল ভরাট করায় ৫শ একর জমিতে চাষাবাদ বন্ধ

Photo

আবিদা সুলতানা রিলা, (উল্লাপাড়া প্রতিনিধি): সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাটধারী ও চড়িয়াশিকা গ্রামের পাশে অবস্থিত ভেড়ামারা বিলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সরস্বতী নদীর সংযোগ খাল বেদখল ও ভরাট করে ফেলায় এই বিলের ৫শত একর জমিতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন  হচ্ছে ভেড়ামারা বিল সংলগ্ন ৫টি গ্রামের মানুষ। আর এ অবস্থা চলছে প্রায় ২৫ বছর ধরে।

ভেড়ামারা বিল পাড়ের চড়িয়াশিকা, পাটধারী, হাবিবপুর, রানীনগর ও মানিকদিয়ার গ্রামের লোকজন অভিযোগ করেছেন, ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এই বিলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী (সরস্বতী নদীর) সংযোগ খাল অটুট থাকার ফলে এখানে দু’বার ফসল উৎপাদন সম্ভব হত। বর্ষা মৌসুম শেষে বিলের পানি নদীতে চলে যেত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সংযোগ খালের দু’পাশের জমির মালিকেরা অবৈধভাবে আস্তে আস্তে খালটি দখল ও ভরাট করে তাদের জমির পরিধি বাড়িয়ে চাষবাদ করে যাচ্ছে।

আবিদা সুলতানা রিলা, (উল্লাপাড়া প্রতিনিধি): সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাটধারী ও চড়িয়াশিকা গ্রামের পাশে অবস্থিত ভেড়ামারা বিলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সরস্বতী নদীর সংযোগ খাল বেদখল ও ভরাট করে ফেলায় এই বিলের ৫শত একর জমিতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন  হচ্ছে ভেড়ামারা বিল সংলগ্ন ৫টি গ্রামের মানুষ। আর এ অবস্থা চলছে প্রায় ২৫ বছর ধরে। ভেড়ামারা বিল পাড়ের চড়িয়াশিকা, পাটধারী, হাবিবপুর, রানীনগর ও মানিকদিয়ার গ্রামের লোকজন অভিযোগ করেছেন, ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এই বিলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী (সরস্বতী নদীর) সংযোগ খাল অটুট থাকার ফলে এখানে দু’বার ফসল উৎপাদন সম্ভব হত। বর্ষা মৌসুম শেষে বিলের পানি নদীতে চলে যেত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সংযোগ খালের দু’পাশের জমির মালিকেরা অবৈধভাবে আস্তে আস্তে খালটি দখল ও ভরাট করে তাদের জমির পরিধি বাড়িয়ে চাষবাদ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ভেড়ামারা বিলে পানি জমে থাকায় এখানে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এই বিলে আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ৫শ একর। এতে জমির মালিকরা যেমন বিপুল পরিমাণ ফসল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নেও এই বিলটি অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখিত গ্রামবাসীর পক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পূর্ণবাসন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা এম এ হাসিবুল করিম জানান, তারা ইতোমধ্যে উক্ত বিলের সংযোগ খাল অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে উদ্ধার ও পুণঃ খননের দাবি জানিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আবেদনটি উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছেন উল্লাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এ ব্যাপারে উল্লাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকরাম আলী জানান, উল্লেখিত গ্রামবাসীদের আবেদনের বিষয়টি তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব শিগ্গিরই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।