শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ টানা অবরোধের ১৭ দিনে শাহজাদপুর উপজেলাসহ সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার ১৬ উপজেলার তাঁত শিল্প হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে। এ অবরোধে তাঁতের শাড়ী কাপড় ও লুঙ্গী বেচাবিক্রি শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। গতকাল বুধবার উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ শাহজাদপুর উপজেলার তাঁতের শাড়ী কাপড়ের হাট ঘুরে দেখা গেছে, তাঁতীরা দোকান সাজিয়ে বসে আছে কিন্তু ক্রেতার অভাবে বেচাবিক্রি নেই। তাঁতের কাপড় ব্যবসায়ী হযরত আলী, আব্দুর রউফ, ওয়ারেছ আলী, জুলহাস আলী, আব্দুল আজিজ ও বাচ্চু মিয়া জানান, ১৭ দিনে ৭ টি কাপড়ের হাটে তারা তাদের উৎপাদিত তাঁতের শাড়ী ও লুঙ্গী বেচাবিক্রি করতে না পারায় তাঁত শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে অধিকাংশ তাঁত বন্ধ করে দিয়েছেন। শাহজাদপুর ইয়ার্ন মার্চেন্ট এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আলহাজ মোঃ রমজান আলী জানান, অবরোধের
শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ টানা অবরোধের ১৭ দিনে শাহজাদপুর উপজেলাসহ সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার ১৬ উপজেলার তাঁত শিল্প হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে। এ অবরোধে তাঁতের শাড়ী কাপড় ও লুঙ্গী বেচাবিক্রি শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। গতকাল বুধবার উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ শাহজাদপুর উপজেলার তাঁতের শাড়ী কাপড়ের হাট ঘুরে দেখা গেছে, তাঁতীরা দোকান সাজিয়ে বসে আছে কিন্তু ক্রেতার অভাবে বেচাবিক্রি নেই। তাঁতের কাপড় ব্যবসায়ী হযরত আলী, আব্দুর রউফ, ওয়ারেছ আলী, জুলহাস আলী, আব্দুল আজিজ ও বাচ্চু মিয়া জানান, ১৭ দিনে ৭ টি কাপড়ের হাটে তারা তাদের উৎপাদিত তাঁতের শাড়ী ও লুঙ্গী বেচাবিক্রি করতে না পারায় তাঁত শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে অধিকাংশ তাঁত বন্ধ করে দিয়েছেন। শাহজাদপুর ইয়ার্ন মার্চেন্ট এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আলহাজ মোঃ রমজান আলী জানান, অবরোধের ১৭ দিনে তাঁত ও সুতা ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। শুধুমাত্র সুতা ব্যবসায়ীদের ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার প্রসেস সুতা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া তাঁতীদের তাঁদের ত্যানা পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পুঁজি সংকটে অনেক তাঁতী তাঁতে নতুন করে ত্যানা দিতে পারছে না। এর উপর ব্যাংক ও এনজিও থেকে উত্তোলিত ঋণ পরিশোধের চাপে তাঁত ও সুতা ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে অনেকেই বাড়ী থেকে পালিয়ে ফিরছে। ফলে শাহজাদপুর, উল্লাপাড়াসহ পাবনা-সিরাজগঞ্জ জেলার ১৬ জেলার তাঁতীরা অস্তিত্ব সংকটে পরেছে। অন্যান্য উপজেলা গুলি হলো উল্লাপাড়া, বেলকুচি, কাজিপুর, কামারখন্দ, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জসদর, পাবনা সদর, বেড়া, সুজানগর, সাঁথিয়া, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর ও ঈশ্বরদী। তাঁতীরা জানায়, অবরোধের কারনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা হাটে আসতে পারছে না। ফলে তাঁতের শাড়ী ও লুঙ্গীর বেচাবিক্রি কমে গেছে। তারা তাঁত শিল্প রক্ষার্থে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে এ অবস্থার তাঁতের শাড়ী কাপড়ের হাটগামী যানবাহন চলাচল অবরোধের আওতামুক্ত রাখার জোর দাবী জানিয়েছে এবং সরকারের কাছে তারা দ্রুত প্রতিকারের আবেদন জানিয়েছে।