শাহজাদপুরে ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির সংবাদ সম্মেলন

PHOTO- 07শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ চলতি মৌসুমে ধানের ন্যায্য মূল্য প্রদানসহ ১০ দফা দাবিতে আজ শাহজাদপুরে জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এ ১০ দফার অন্যান্য দাবি গুলো হল, ধান সহ সকল ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, বিক্রয় যোগ্য সব ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা, পর্যাপ্ত খাদ্য গুদাম ও উন্নত হিমাগার গড়ে তোলা, বিনামূল্যে সেচ ও সুদ মুক্ত কৃষি ঋণ চালু করা। এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় রায়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সঞ্জয় রায় বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে এদেশের কৃষক। অথচ কৃষি ও কৃষক আজ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে অবহেলি

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ চলতি মৌসুমে ধানের ন্যায্য মূল্য প্রদানসহ ১০ দফা দাবিতে আজ শাহজাদপুরে জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এ ১০ দফার অন্যান্য দাবি গুলো হল, ধান সহ সকল ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, বিক্রয় যোগ্য সব ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা, পর্যাপ্ত খাদ্য গুদাম ও উন্নত হিমাগার গড়ে তোলা, বিনামূল্যে সেচ ও সুদ মুক্ত কৃষি ঋণ চালু করা। এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় রায়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সঞ্জয় রায় বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে এদেশের কৃষক। অথচ কৃষি ও কৃষক আজ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে অবহেলিত থাকা কৃষকের স্বার্থে আজ পর্যন্ত কৃষিনীতি ও ভূমিনীতি প্রনয়ণ করা হয়নি। প্রকৃত কৃষকের হাতে জমি নেই, অধিকাংশ জমির মালিক অকৃষক। বিগত কয়েক বছরে গরীব কৃষকরা উৎপাদনের খরচ ও ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় ক্রমাগত লোকসান গুনছেন। তিনি বলেন, চলতি বছর অঞ্চল ভেদে কৃষকদের বোরো ধান উৎপাদনে মণ প্রতি খরচ হয়েছে সাড়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। অথচ বাজারে মণ প্রতি ধানের দাম ৬শ’ থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকা। সরকারিভাবে প্রতি মণ ধানের দাম ৮শ’ ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও প্রকৃত কৃষক সরাসরি সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে পারছে না। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণির মধ্যসত্ত্ব ফরিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এর সুফল ভোগ করছে। ন্যায্য মূলে ধান বিক্রয় করতে না পারলে কৃষকের কষ্টার্জিত উৎপাদিত ধানের উৎসব বেদনার অশ্রুতে ভেসে যাবে। তাই কৃষকের প্রধান প্রধান সমস্যাগুলো নিরসনের লক্ষে ধান সহ সকল ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, সরকারি রেটে সরাসরি খোত কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা সহ ১০ দফা দাবি পূরণের আহবান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদ আলী, কাজী শওকত, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা রাজীব আহমেদ ও সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্র নেতা সাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।