পুলিশের এসআই সহ ৩০ জন আহত, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ, ৫ দোকান ভাংচুর
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুই চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। এরই জের ধরে এ দিন দুপুরে একটি মোবাইল ফোন, সীম ও টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের প্রায় ৩ শতাধিক ব্যক্তি লাঠি, ফালা, হলঙ্গা, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, টেটা নিয়ে উভয়পক্ষের উপরে ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট, পাটকেল নিক্ষেপ, দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে লতিফ চেয়ারম্যান গ্রুপের লাঠির আঘাতে শাহজাদপুর থানার এসআই রেজাউল করিম গুরুত্বর আহত হয়। এছাড়া উভয়পক্ষের আহতরা হলেন রফিকুল ইসলাম (৪৫), চুন্নু (৪৫), জুয়েল (২০), হায়দার আলী (৩২), আনোয়ার হোসেন (২২), জিয়া (৩৫), রানা (২০), জনি (৩০), রবিউল (২০), শাহরিয়ার (২৫), আরিফ (২৬), মোশাররফ (৩০), আব্দুল বাতেন (৪৮), বাদল (৩৩), আব্দুল বাতেন (২৫), মোতালেব হোসেন (৩৮), গণি প্রামানিক (৫৫), মিলন (১৪), সুমন (১৫), খলিল (৪৮), হবি (৩৭), আবু মুছা (৫৫), সিরাজুল (৪০), মুজাহিদ (৩৮) প্রমুখ। আহতদেরকে শাহজাদপুরের পোতাজিয়া, বেড়া, পাবনা ও বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাঘাবাড়ি দক্ষিণপাড় বাজারে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই জানান, তুচ্ছ ঘটনা, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলা চলাকালে লতিফ চেয়ারম্যান গ্র“পের লোকজন এসআই রেজাউল করিমকে পিটিয়ে আহত করেছে। আহত রেজাউল করিমকে পোতাজিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে নিজ বাসায় বিশ্রামে রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আশংকা মুক্ত রয়েছেন। এ ব্যাপারে পুলিশবাদী মামলা সহ উভয়পক্ষের মধ্যে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
