অভিযোগ পত্রে জানা যায়, যমুনার ভাঙন কবলিত চৌহালীতে এডিপি (বিশেষ ও অতিরিক্ত কিস্তি) প্রকল্পের কাজ না করেই চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল-মামুনের টাকা উত্তোলন করা, সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার ও ঢাকায় রেন্ট-এ-কার ব্যবসা এবং গ্রাম পুলিশদের ঈদ-উল-ফিতরের পুর্বে বেতন বোনাসের চেকে সাক্ষর না দেয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির তদন্ত পূর্বক শাস্তি দাবি করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জহুরা পারভীন জোসনা সহ ৭ ইউপি চেয়ারম্যান সাক্ষরিত অভিযোগ পত্র রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও এনায়েতপুর-চৌহালী প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন দফতরে গতকাল অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পত্র প্রেরণের সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী।
অন্যদিকে উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম গণি মোল্লা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারী গাড়ি ঢাকায় নিজস্ব কাজে ব্যবহার করেন, ভাঙন কবলিত এ উপজেলায় জরুরী মুহুর্তে তাকে পাওয়া যায়না, তিনি মাসের অধিকাংশ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন। রোজার ঈদের আগে গ্রাম পুলিশদের বেতন-ভাতার বিলে সাক্ষর না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত তিনি। এছাড়া তিনি এডিপি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করেই ইচ্ছে মত বিল উত্তোলন করেন। এ বিষয়টি তদন্ত করতে উর্ধ্বতন মহলে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, চেয়ারম্যানরা তাদের এডিপি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনে আমাকে চাপ সৃষ্টি করে, তাদের কাজ দেখে বিলে সই দেয়া হবে জানালে তারা জোট বদ্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে উদ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবে এ অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। সুষ্ঠ তদন্ত হলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
