হত্যা মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার কৌশল শাহজাদপুরে এসিড দগ্ধর ঘটনা সাজানো নাটক

শাহজাদপুর সংবাদদাতাঃ শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বড় বাচড়া গ্রামের আজাহার ব্যাপারীর ছেলে উজ্জল হোসেন (৩২) এসিড দগ্ধর ঘটনা সাজানো নাটক বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রমান মিলেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের এএসপি আবুল হাসনাত, অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হক ও ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মনির সরেজমিন বাচড়া গ্রামের এসিড দগ্ধস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা এসিড নিক্ষেপে ব্যবহৃত ১টি গামছা, ১টি স্টীলের গ্লাস ও এসিড দগ্ধ উজ্জলের ব্যবহৃত ১টি শার্ট ও লুঙ্গি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনা স্থলের আশপাশের লোকজন ও উদ্ধারকারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ জানায় মামলার এজাহারে উল্লেখিত বর্ণনার সাথে প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকারীদের জবানবন্দির কোন মিল পাওয়া যায়নি। এছাড়া শার্টের পিঠের অংশে এসিডে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন থাকলেও উজ্জলের পিঠে এসিড দগ্ধর বড় কোন ক্ষত নেই। তার বুকে ও পেটে এসিড দগ্ধও ক্ষত থাকলেও শার্টের এ অংশে ব্যাপক কোন পোড়া চিহ্ন নেই। এসিডে লুঙ্গিটি ব্যাপক পুড়লেও উরুর অংশে কোন ক্ষত নেই। উজ্জলের বাবা আজাহার ব্যাপারী উজ্জলের শার্ট দেখিয়ে পিঠে এসিড দগ

শাহজাদপুর সংবাদদাতাঃ শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বড় বাচড়া গ্রামের আজাহার ব্যাপারীর ছেলে উজ্জল হোসেন (৩২) এসিড দগ্ধর ঘটনা সাজানো নাটক বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রমান মিলেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের এএসপি আবুল হাসনাত, অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হক ও ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মনির সরেজমিন বাচড়া গ্রামের এসিড দগ্ধস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা এসিড নিক্ষেপে ব্যবহৃত ১টি গামছা, ১টি স্টীলের গ্লাস ও এসিড দগ্ধ উজ্জলের ব্যবহৃত ১টি শার্ট ও লুঙ্গি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনা স্থলের আশপাশের লোকজন ও উদ্ধারকারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ জানায় মামলার এজাহারে উল্লেখিত বর্ণনার সাথে প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকারীদের জবানবন্দির কোন মিল পাওয়া যায়নি। এছাড়া শার্টের পিঠের অংশে এসিডে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন থাকলেও উজ্জলের পিঠে এসিড দগ্ধর বড় কোন ক্ষত নেই। তার বুকে ও পেটে এসিড দগ্ধও ক্ষত থাকলেও শার্টের এ অংশে ব্যাপক কোন পোড়া চিহ্ন নেই। এসিডে লুঙ্গিটি ব্যাপক পুড়লেও উরুর অংশে কোন ক্ষত নেই। উজ্জলের বাবা আজাহার ব্যাপারী উজ্জলের শার্ট দেখিয়ে পিঠে এসিড দগ্ধের দাবী করলেও পিঠে এসিড দগ্ধের কোন ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। এছাড়া এ মামলার প্রদান সাক্ষী উদ্ধারকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রশিদের ঘটনার বর্ননার সাথে এজাহারের কোন মিল খুজে পাওয়া যায়নি। ফলে, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন এসিড দগ্ধের এঘটনাটি সাজানো নাটক। এই এসিড দগ্ধ মামলার বাদী উজ্জলের বড় ভাই আলাউদ্দিন, উজ্জল সহ তার আরও দুই ভাই, আপন চাচা শাজাহান (৬২) হত্যা মামলার আসামী। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শাজাহানের ঘরে ঢুকে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়। এ সংক্রান্ত মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত সোমবার সকালে আপোষ মীমাংসার উদ্দেশ্যে এক শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সালিশ বৈঠকের রায় ঘোষনা করা না হলেও আসামীদের বিপক্ষে যাওয়ার আশংকায় এবং শাজাহান হত্যা মামলার বাদী পক্ষকে ফাসাতে এ এসিড নিক্ষেপের নাটক সাজানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত সোমবার রাতে এই এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি হয়।