কাজীপুরে পল্লীবিদ্যুত সংযোগ পেতে গ্রাহকদের হয়রানী

নিজস্ব প্রতিনিধি:  কাজীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ পেতে গ্রাহকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ, উক্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অফিসের গেলে কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী বেশী টাকা পাওয়ার লক্ষ্যে নির্ধারিত লোকজন দিয়ে ওয়ারিং করানোর নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এতে কাজের গুনগতমান ভালো হচ্ছে না এবং কোন গ্রাহক মিটারের জন্য দরখাস্ত করলে সমিতির নির্ধারিত মূল্য ৫ হাজারের স্থলে ৪/৫ গুন বেশী মূল্য গুনতে হচ্ছে তাদের।

গ্রাহকরা মিটারের জন্য দরখাস্ত করলে ট্রানফরমার ওভার লোড রয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে আবার সংযোগ দেয়াও হচ্ছে। সোনামূখী ইউনিয়নের পারলকান্দি গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন সংযোগ পেয়েছেন অথচ একই বাড়ির একই ট্রানফরমারের আওতায় পূর্বের আবেদনকারী অনেকেই মোজম্মেলের আগে দরখাস্ত করেও সংযোগ পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

ট্রানমিটার আফগ্রেডিং এর কথা বলে বোরই তলা গ্রামের আমির হোসেন নামের এক দালাল উদগাড়ি গ্রামের জেসমিন, মোমিনসহ বেশ কয়েক জনের নিকট থেকে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছে।

দুবলাই গ্রামের নজরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিনিধি:  কাজীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ পেতে গ্রাহকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ, উক্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অফিসের গেলে কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী বেশী টাকা পাওয়ার লক্ষ্যে নির্ধারিত লোকজন দিয়ে ওয়ারিং করানোর নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এতে কাজের গুনগতমান ভালো হচ্ছে না এবং কোন গ্রাহক মিটারের জন্য দরখাস্ত করলে সমিতির নির্ধারিত মূল্য ৫ হাজারের স্থলে ৪/৫ গুন বেশী মূল্য গুনতে হচ্ছে তাদের। গ্রাহকরা মিটারের জন্য দরখাস্ত করলে ট্রানফরমার ওভার লোড রয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে আবার সংযোগ দেয়াও হচ্ছে। সোনামূখী ইউনিয়নের পারলকান্দি গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন সংযোগ পেয়েছেন অথচ একই বাড়ির একই ট্রানফরমারের আওতায় পূর্বের আবেদনকারী অনেকেই মোজম্মেলের আগে দরখাস্ত করেও সংযোগ পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্রানমিটার আফগ্রেডিং এর কথা বলে বোরই তলা গ্রামের আমির হোসেন নামের এক দালাল উদগাড়ি গ্রামের জেসমিন, মোমিনসহ বেশ কয়েক জনের নিকট থেকে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছে। দুবলাই গ্রামের নজরুল ইসলাম অনেক আগে দরখাস্ত করলেও তাকে মিটার না দিয়ে সিএমও গোপন করে একই বাড়ির কালাম, সাত্তার, হালিমাসহ বেশ কয়েকজনকে মিটার সংযোগ দিয়েছে। নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, ওই ব্যক্তিরা নির্ধারিত ফি থেকে ২/৩গুন টাকা বেশী দিয়ে দালালদের সহযোগিতায় বিদ্যুতের সংযোগ পেয়েছে। গান্ধাইল গ্রামের সোবাহান আলী, সোলায়মান হোসেন, জাবেল হোসেন ২০১১ সালে দরখাস্ত করলেও নানা টালবাহানা করে সংযোগ আটকে রাখা হয়েছে। স¤প্রতি তারা বাবু নামের এক দালালের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা করে দিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ পেয়েছে বলে জানা যায়। অভিযোগে প্রকাশ, স্থানীয় কয়েকজন দালাল অসাধু কয়েকজন বিদ্যুৎ কর্মীর যোগসাজসে গ্রাহকদের হয়রানীসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। এ বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কাজীপুর এলাকার ডিরেক্টর আ: ছালাম বলেন, কাজীপুর অফিস একেবারেই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এর প্রতিকার হওয়া আশু প্রয়োজন। এ সম্পর্কে পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম নাসিমুল গনি জানান, অনিয়ম হচ্ছে না তবে মন্ত্রী এমপি’র সুপারিশে কিছু সংযোগ হয়ে থাকতে পারে। বিদ্যুত সংযোগ পেতে ৫ থেকে সাড়ে ৫হাজার টাকা খরচ হয় বলে উল্লেখ করলেও অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ তিনি অস্কীকার করেন।