মামুন বিশ্বাস, শাহজাদপুরঃ সবাই হৈ হুল্লোড় করে তখন প্রতিবন্ধী নাসিমা (১২) নির্বাক চোখে তাকিয়ে দেখে বন্ধুদের স্কুলে যাওয়া। স্কুলে যাওয়া তো দুরের কথা নিজের কাজগুলো করতেই নির্ভর করতে অন্যের ওপর। জন্মগতভাবেই নাসিমা শারীরিক প্রতিবন্ধী। নাসিমা সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর নতুন পাড়া গ্রামের মোঃ শামচুল হকের মেয়ে। একটি হুইল চেয়ারের জন্যে তার কত না আকুতি। নাসিমার বাবা শামচুল হক বলেন, আমার এই মেয়েটি জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। আমার কোন ছেলে নাই শুধু ২ টি মেয়ে । সবার বড় মেয়ে সাবিনা (২৫) বিয়ে দিয়েছি আর ছোট মেয়ে প্রতিবন্ধী নাসিমা কে নিয়ে আমাদের বসবাস । শামচুল হক একজন সামান্য তাঁত শ্রমিক। সারা দিনে যেটুকু রোজগার করে তা দিয়ে স্ত্রী ও নাসিমা কে নিয়ে কোনমতে ডালভাত খেয়ে জীবন ধারণ করেন। ২ শতাংশ জায়গায় উপর একটা ছাপড়া ঘরে অনেক কষ্ট করে তিনি তার পরিবার নিয়ে থাকে। যেখানে অভাবের তারনায় সংসার চালাতেই হিমশিম খাই সেখানে আমার মেয়ের জন্য হুইল চেয়ার কেনা তো দুঃস্বপ্ন মাত্র। সমস্যার কথা জানতে চাইলে নাসিমা জানান, আমি দাঁড়াতে পারি না, হাঁটতেও পারি না, হাত-পা হামাগুড়ি দিয়ে আমাকে চলাফেরা করতে হয়। যদি আমার ১টি হুইল চেয়ার হতো তাহলে হয়তো নিজে নিজে অনেকটা চলতে পারতাম। যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি আমাকে একটি হুইল চেয়ার দিত তাহলে আমি চলাফেরা করতে পারতাম । নাসিমার বাবা আরো জানান ,প্রতিবন্ধি কার্ড পেয়েছি তাছাড়া আর কোন সহযোগিতা কেউ করে নাই । নাসিমার এর বাবা শামচুল হক বুক ভরা আশা নিয়ে বলেন, আমি আমার এই প্রতিবন্ধী মেয়ের জন্য সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের কাছে অন্য কিছু চাই না, আমার এই প্রতিবন্ধি মেয়ে চলাচল করার জন্য একটি হুইল চেয়ার চাই । তিনি সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে এই সাহায্যের আবেদন জানান।