রাজধানীর ৩ স্থান থেকে উদ্ধার লাশের ৩ খণ্ড, অতঃপর যেভাবে শনাক্ত ও রহস্য উদঘাটন
NewsDesk
উদঘাটন হল রাজধানীর দক্ষিণখানে ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে (২৬) তিন খণ্ড করে নৃশংসভাবে হত্যার রহস্য। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার তারা মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তারা বিচারকের কাছে হেলাল উদ্দিনকে হত্যার কথা স্বীকার করে রোমহর্ষক বর্ণনা দেয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মনি সরকার ও তার মা রাশিদা আক্তার। তারা আদালতকে জানায়, একটি ফটোস্ট্যাট মেশিন বিক্রির কথা বলে মনি সরকারের স্বামী চার্লস রুপম সরকার ১৪ জুন হেলালকে ডেকে তাদের দক্ষিণখান থানার তেঁতুলতলা, বেকারির মোড় মোল্লারটেকের বাসায় নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে তাকে চা খেতে দেওয়া হয়। চার্লস রুপম সরকার চায়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিলে হেলাল সেখানেই অচেতন হয়ে পড়েন।
এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে ডিশ এন্টেনার তার গলায় পেঁচিয়ে দুই পাশ থেকে টেনে হেলালকে হত্যা করে। লাশ গুম করার জন্য চার্লস রুপম সরকার লাশটি বাসার বাথরুমে নিয়ে যায়। সেখানেই ধারালো চাকু ও বঁটি দিয়ে প্রথমে মাথা কাটে।
তারপর সারা শরীর চেপে চেপে রক্ত বের করে। এরপর নাভি বরাবর আরেক খণ্ড করে। মাথাটিকে একটি ছোট ব্যাগে ভরে ডোবায় ফেলে দেয়। দেহের দুই খণ্ড বস্তা