ডেস্ক নিউজ:: শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কে,এম নাসির উদ্দিন গ্রুপের সাথে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু গ্রুপের করতোয়া নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গত দুইদিন ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে এ দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী হামলা সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। এনিয়ে শাহজাদপুর পৌর শহরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপরদিকে সংঘর্ষের আশংকায় এলাকাবাসীর মধ্যেও চরম আতংক বিরাজ করছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার সকালে এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহুর নেতৃত্বে পুকুরপাড় গ্রামবাসী একটি বিক্ষোভ মিছিল করে শহর প্রদক্ষীন শেষে এমপি হাসিবুর রহমান স্বপনের দারিয়াপুরের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে তার কাছে প্রতিকার দ্বাবি করেন। তিনি এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা মিছিল শেষ করে বাড়ী ফিরে যান। এর কিছুক্ষন পর শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কে,এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ছয়আনীপাড়া গ্রামবাসী তাদের গ্রাম থেকে এক বিশল বিক্ষোভ মিছিল বের করে মনিরামপুরও দ্বারিয়াপুর বাজারের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক ও মোড় প্রদক্ষীন করে শাহজাদপুর থানার প্রধান গেটে কিছুক্ষন অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এর পর মিছিলটি ছয়আনীপাড়া গ্রামে গিয়ে শেষ হয়। এ দুটি মিছিল চলাকালে শাহজাদপুর শহরে ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। এব্যপারে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু বলেন, ড্রেজার দিয়ে দরগারচর এলাকার করতোয়া নদী থেকে মাত্রাতিরিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে দরগারচর, বাজীয়ারপাড়া , চরনারুয়া,শান্তিপুর, নারুয়া ও পুকুড়পাড় গ্রামের আবাদী জমি ও বাড়ী ঘর গাছপালা নদী ভাঙ্গনের কবলে পরেছে। এতে শত শত লোকের চরম ক্ষতি হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। অপরদিকে আমিরুল ইসলাম শাহুর সকল অভিযোগ অস্বিকার করে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কে,এম নাসির উদ্দিন বলেন, করতোয়া- ফুলজোড় বালু মহলের শাহজাদপুর, রতনকান্দি, কুমিরগোয়ালিয়া ও ইশ্বরদিয়া মৌজার বালুমহল সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইজারা নিয়ে সকল প্রকার নিয়ম কানুন মেনে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ঐ এলাকার কোথাও ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়নি অথবা কারো কোন ক্ষতি সাধন হয়নি। এবছর দ্বিতীয় দফা বন্যায় পানির ব্যাপক চাপে করতোয়া নদীর পাড় ভেঙ্গে কিছু লোকের সামান্য ক্ষতি সাধন হয়েছে। তার পরেও আমি তাদের ক্ষতি পুরন দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করা সত্বেও আমিরুল ইসলাম শাহু অবৈধভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ দিকে এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক কর্মকর্তা ও শাহজাদপুর থানা পুলিশ সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর তারা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
সম্পর্কিত সংবাদ
খেলাধুলা
শাহজাদপুর পৌর গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০১৬ উদ্বোধনী খেলায় নাটোর পৌরসভাকে ২-১ গোলে হারিয়ে বেড়া পৌরসভা জয়ী
আজ শুক্রবার বিকেলে শাহজাদপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শাহজাদপুর পৌরসভা আয়োজিত পৌর...
মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা বাংলাদেশের ইতিহাসের পবিত্র স্থান//১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথগ্রহণ করে// স্থানটির নামকরণ হয় মুজিবনগর
আব্দুল মতিন ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার ধুবুলিয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।... ডেস্ক নিউজ: আওয়ামী লীগ-বিএনপি দলীয়ভাবে মনোনয়ন চূড়ান্তের পরই প্রার্থীর সমর্থক ও দলীয় কর্ম... পাবনা প্রতিনিধি :-নানা অব্যবস্থাপণার মধ্যদিয়ে চালু রয়েছে পবনা সেচ প্রকল্প। অবহেলা ও অনিয়মের কারণে সেচ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ...জাতীয়
সিরাজগঞ্জের ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন স্মরণে
রাজনীতি
সিরাজগঞ্জে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই শুরু
নানা অব্যবস্থাপণায় চলছে পাবনা সেচ প্রকল্প
সম্পাদকীয়
এইডস আতঙ্কের ব্যাপ্তি, প্রতিরোধেই মিলবে মুক্তি
লাইট হাউস শাহজাদপুর ডিআইসি আয়েজিত প্রজেক্ট ফ্যসিলিটেশন টিমের ২০১৫ সালের ১ম সভায় উপস্থাপি...