চন্দন কুমার আচার্য, শাহজাদপুর সংবাদ ডটকমঃ শরতের অমাবস্যা তিথিতে শংখ, বাদ্যযন্ত্র উলুধ্বনি ও শ্রীশ্রী চন্ডিপাঠের মাধ্যমে দেবীর আজ মর্তধামে আগমন ঘটবে। স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালে আজ হবে আনন্দে মুখরিত। ত্রেতা যুগে রামচন্দ্রের অকাল বোধনের মাধ্যমেই এই শারদীয় শ্রীশ্রী দূর্গা পূজা শুরু হয়েছে মানবের মধ্যে। দূষ্টের ধ্বংসকারীনি ও সৃষ্টের পালনকারীনি মা দূর্গা মানবের কামনা, বাসনা ও প্রার্থনা ও চরণে পূষ্পাঞ্জলী গ্রহণ করবে মহালয়া থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত। নারীকে অসম্মানকারীনি ও স্বর্গ থেকে দেবতা দিগকে যখন বিতারিত করে ছিল মহিষাসূর। যার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল ধাম। তখন দেবতারা নিরূপায় ভেবে ধ্যানে মগ্ন হন পরম পিতার নির্দেশে। দেবতাদের ঘামে সমূদ্রে পরিনত হয়। তখন পূর্ব দিগন্তে লাল সূর্যের মতো এক দেবীর হয়। দেবতাদের উদ্যেশে দেবী প্রশ্ন করে তোমরা আমার কাছে বড় চাও। তখন দেবতাগণ মায়ের কাছে করোজোরে প্রার্থনা মা আমরা অসুরদের অত্যাচারে স্বর্গধাম থেকে বিতারিত হয়েছি। আমাদিগকে মা তুমি স্বর্গ ধামে প্রতিষ্ঠা কর। দেবী বলেন তথাস্তু। তোমাদের কামনা আমি অবশ্যই পূর্ণ করব। ভগবান বিষ্ণুর নির্দেশে দেবাদী দেব মহাদেব দেবতাদিগকে বলেন তোমার দেবীতে অস্ত্রদান কর। ভগবান বিষ্ণু চক্র, পরম পিতা ব্রহ্মা কুমন্ডল, দেবাদীদেব মহাদেব ত্রিশুল সহ অন্যান্য দেবতারা দেবীকে অস্ত্রদান করে। দেবী যুদ্ধ শুরু অসুর বংশের সাথে সাথে। দেবী এক একটি অসুরকে যখন বলিদান করেন, তখন অসুরদের রক্ত থেকে আরোও হাজারও অসুরের জš§ হয়। দেবী তখন নিরূপায় দেখে দেবী চামুন্ডার স্মরনাপন্ন হন। দেবী চামুন্ডা অসুরদের বধ করার সাথে সাথে রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই রক্ত পান শুরু করে। এই ভাবে শেষ হয় অসুর বংশ। সর্বশেষ দেবী মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ শুরু করেন। অসুর তখন দেবীর সাথে যুদ্ধ করার সময় পাঁচটি রূপ ধারণ করে। একটি রূপ মহিষ রূপ। দেবী তখন মহিষকে তার খর্গ দ্বারা মহিষকে বলিদান করে। মহিষের পেটের মধ্যে থেকে বের হয়ে এসে দেবীর সাথে যুদ্ধ শুরু করলে দেবী মহাদেবীর ত্রিশুল দ্বারা মহিষাসুরকে বধ করে এবং বুকের ভিতর চরণ ধারন করে। মহিষাসুর দেবীর নিকট করজোড়ে প্রার্থনা করে। মা আমি আজ অত্যাচারি তবুও তোমার চরণে আমি যেন স্থান পাই। মানবকুল যখন তোমাকে পূজা করবে আমি যেন তোমার সাথে থাকতে পারি। মহিষাসুরকে বধ করার পর সমস্ত দেবতাগন দেবীর চরণে প্রার্থনা শুরু এবং মায়ের নামে জয়ধ্বনি শুরু করে। মা তোমার জয় হোক, তুমি দুর্গতি নাশিনী, বিপদ নাশিনী, বিশ্ব জননী মা দশভূজা। তোমার চরণে যেন আমরা স্থান পাই। সমস্ত কুল যেন সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি নিয়ে বসবাস করতে পারে। তুমি দুষ্টের দমন কারীনি ও সৃষ্টের পালন কারীনি দেবী মহামায়া মা দূর্গা।
সম্পর্কিত সংবাদ
শাহজাদপুর আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কার্যক্রমের উদ্বোধন
শাহজাদপুর প্রতিনিধি: শাহজাদপুর চৌকি আদালতের আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কর...
সিরাজগঞ্জ জেলার সংবাদ
সাংবাদিক চকর মালিথা পরিচয়ে চাঁদা আদায়, বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ফোনে তিনি নিজেকে চ্যানেল আই এর সাংবাদিক চকর মালিথা বলে পরিচয় দিতে থাকেন। সে ইউএনওদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাক...
রাজনীতি
শাহজাদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান
আবহমান গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় এক ফলের নাম চালতা! চালতা একটি বিষ্ময়কর ফল, যা তার অনন্য পুষ্টিগুণ এবং ঔষুধি গুণের জন্য রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: রায়গঞ্জ উপজেলার সিমলা গ্রামে সাবেক এক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।... স্থানীয় সংবাদদাতাঃ আজ সোমবার সন্ধায় শাহজাদপুর পৌর মেয়র নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শ...
দিনের বিশেষ নিউজ
বিষ্ময়কর এক ফল 'চালতা'
অপরাধ
রায়গঞ্জে শিক্ষকের বাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা
অপরাধ
শাহজাদপুর পৌর মেয়র নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্যানেল মেয়রের স্ত্রীকে ধষর্ণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের
