।। আমি যে ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলাম।।
আমি দীর্ঘদিনের হৃদরোগী। ১০ বছর আগে হৃদপিন্ডে রিং পরানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ডায়েবেটিক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছিলাম। এ দুই মহারোগে আক্রান্ত থাকলেও নিয়মিত চেকআপ এবং ঔষধ সেবনে ভালভাবেই দিন কাটছিলো। গত বছর ২০১৭ খ্রীষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে "একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা" নামক একটি সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পরি। কেন্দ্রীয় সংগঠনের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া ঔষধ সেবন অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পরে। শারিরিক চেকআপ, ডাক্তারের কাছে যাওয়ার বিষয়টির অনিয়ম ঘটে। এর মাঝে সংগঠনের নানা কর্মসূচী পালন নিয়ে সংগঠনের জনৈক নেতার সাথে আমার মতবিরোধ ঘটে। এবিষয়ে সংগঠনের ঐ নেতার অহংবোধ এবং অশালীন আঁচরণ ও লেখনি আমাকে নানা ভাবে বিব্রত করে। আমি মানষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই। এরপরে সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে বড় রকমের প্রতারণা ঘটে। এ নিয়ে মনটা আরও ভেঙ্গে পরে। শরীরটাও ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি ল্যাবএইডে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোহাম্মদ আলীর স্মরণাপন্ন হই। তিনি রক্ত, ডায়বেটিক্সসহ শরীরের বিভিন্ন টেষ্ট সম্পন্ন করেন। আমাকে দেখার পর অনেকটা রাগত স্বরে বলেন, জীবনের প্রতি নূন্যতম মায়া থাকলে এতো রোগ নিয়ে অনিয়মের মাঝে জীবন যাপন করতেন না। এখনও সাবধান হন। আপনার প্রেসার ডায়বেটিক্স কোনটাই কন্ট্রোলে নেই। রক্তের বিভিন্ন রিপোর্ট শরীর উপযোগী নয়। তিনি পূর্বের সব ঔষধ পরিবর্তন করে নতুন অনেকগুলো ঔষধ লিখে দিলেন। ঔষধের পাশাপাশি ইনসুলিন ইঞ্জেকশন ডোজ লিখে দিলেন। এ ভাবেই চলাকালীন পাতলা পায়খানা শুরু হলো। শরীর ক্রমশই দূর্বল হচ্ছে। ভাবছি ডায়বেটিক্স রোগী এমনিতেই কোষ্টকাঠিন্ন হয়। পাতলা পায়খানা হচ্ছে তা হোক। পেটটা পরিস্কার হয়ে যাক। এ ছাড়াও মুখে অরুচি ছিল দীর্ঘ দিন। খাবার কোনটাই ভালো লাগেনা। এভাবে চলা অবস্থায় টেনশন মুক্ত হবার জন্য ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে সংগঠনের সাথে আপাততঃ সম্পর্ক (পদত্যাগ নয়) ছিন্ন করলাম। গত ২২ শে আগষ্ট ঈদের দিন হঠাৎ করে জ্বরে আক্রান্ত হলাম। সেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন একবার জ্বর হয়েছিল। এর পরে কখনও জ্বর হয়েছিল তেমনটা মনে পরেনা। তাই স্ত্রীকে জোক করে বললাম “আমার দাদা কিন্তু একদিনের জ্বরেই মৃত্যু বরণ করেছিলেন, আমার ক্ষেত্রে তেমনটা না হয়”। কয়েকদিন ধরে স্ত্রী সহ বাসার সবাই জ্বরে আক্রান্ত ছিল। খাওয়া দাওয়ার চরম অনিয়ম চলছিলো। কাজের মেয়ে নির্ভর সবকিছু চলেছে । যা হোক নাপা খেয়ে জ্বরটা থেমে গেল। পরেরদিনটা গেছে ঐ রাতেই আমি ঘুমের মাঝেই বিকলাঙ্গ হয়ে গেলাম। ঘাতক জি বি এস ভাইরাস কখন যে আমার শরীরে ঢুকে আমার শরীরের এন্টিবডি তৈরীর কলকব্জাগুলোকে ধ্বংস করে নিজে পজিশন নিয়ে আমার শরীরের পেশীশক্তি ও টিসুসেলগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এটি আমার মস্তিস্ক যেমন অনুধাবন করতে পারেনি, পারিনি আমি নিজেও। তবে শরীরের দূর্লতাটাকেই প্রাধান্য দিয়ে যদি ডাক্তারের পরামর্শে অন্যান্য ঔষধ এর পাশাপাশি হায়ার এন্টিবাইটিক ঔষধ সেবন করতাম তাহলে হয়তো এমনভাবে আক্রান্ত হতাম না বলে ধারনা পোষণ করছি। বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার প্রধান সম্পাদক শাহজাদপুর সংবাদ ডট কম তাং- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দ, ১০ আশ্বিন ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে আসার গল্প (পর্ব-১) জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে আসার গল্প (পর্ব-২) জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে আসার গল্প (পর্ব-৩) জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে আসার গল্প (পর্ব-৪) জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে আসার গল্প (পর্ব-৫)সম্পর্কিত সংবাদ
অর্থ-বাণিজ্য
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা
এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন,...
বাংলাদেশ
১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদে...
রাজনীতি
মন্ডল গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আবদুল মজিদ মন্ডল আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল মজিদ মন্ডল (৭২) আর ন...
শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে দুই মেয়েকে বিষ পান করিয়ে মায়ের আত্মহত্যা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ইসলামপুর ডায়া নতুনপাড়া গ্রামে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বিষপান করে ম...