শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের ৫৯৩ জন শ্রমিক কাজ করার কথা অথচ কাজ করছেন ৩২০ জন শ্রমিক এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের দাবী ৪৮০ জন শ্রমিকই কাজ করছেন। সরেজমিনে শ্রমিদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা এই ৪০ দিনের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে কাজ করছে ২৭ দিন যাবৎ কিন্তু ইউপি সচিব মোঃ আব্দুল আলীম বলছে কাগজ কলমে কাজ হয়েছে ৩৭ দিন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে এই অনিয়মের সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত দেখভাল কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলে । প্রকল্প এলাকায় প্রকল্পের তথ্য সংশ্লিষ্ট সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও ইউনিয়নের কোথাও প্রকল্পের কোন সাইনবোর্ড লক্ষ্য করা যায়নি। প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করতেই সেই সাইনবোর্ড সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ অনেকের। রবিবার (২৩মে) পোরজনা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামিরতা গ্রামে শ্রমিক কাজ করছেন ৬৬ জন, বাচড়া গ্রামে শ্রমিক কাজ করছেন ৮৬ জন ও জিগারবাড়ীয়া গ্রামে শ্রমিক কাজ করছেন ৬০ জন, বড় মহারাজপুর গ্রামে শ্রমিক কাজ করছেন ৩৬ জন, ছোট মহারাজপুর গ্রামে শ্রমিক কাজ করছেন ৩৮ জন ও পোরজনা গ্রামে শ্রমিক কাজ করছে ৩৪ জন। ৫৯৩ জন শ্রমিক কাজ করার থাকলেও সরেজমিনে পাওয়া যায় ৩২০ জন শ্রমিক বাদবাকি ২৬৯ জন শ্রমিক কোথায় কাজ করছে তার কোন সদুত্তর ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের পিআইসি কেউ দিতে পারেনি। বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রের ম্যাধমে জানা যায়, বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ করে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করতেই এভাবে খাতা কলমে শতভাগ শ্রমিক উপস্থিতি দেখিয়ে বাস্তবে কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। প্রকল্পে অনিয়ম ও শ্রমিকের উপস্থিতি কমের কথা বললে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন (বাবু) বলেন, ৩২০ জন শ্রমিকের বেশি কাজ করার কথা। কতজন কাজ করার কথা এমন প্রশ্ন করলে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন ৪৮০ জন। বাদবাকি ১১৩ জন শ্রমিক কোথায় কাজ করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন শাহজাদপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানেন। ৩৭ দিন কর্মদিবস হলেও শ্রমিক বলছে ২৭ দিন ধরে কাজ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে উঠে যান। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রশ্নের উত্তর দেননি। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, যদি শ্রমিক কম থাকে তাহলে শ্রমিক হিসাব করে এবং যদি কোন ইউনিয়ন ১০ দিন কাজ না করাই তাহলে ১০ দিনের কম বিল দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কোন রকম অনিয়ম দূর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচেতন মহলের দাবি, সরকার যে উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সেটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ ছোটবড় দুর্নীতি দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন,...

শাহজাদপুরে দুই মেয়েকে বিষ পান করিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে দুই মেয়েকে বিষ পান করিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ইসলামপুর ডায়া নতুনপাড়া গ্রামে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বিষপান করে ম...

শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ!

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ!

এম এ হান্নান শেখঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের পূর্ব পাশে অবস্থিত পিডিবির ৩টি ও বেসরকারি ১টি মিলে মো...