শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
FATOL স্বামীর বয়স স্ত্রীর বয়সের দ্বিগুণ হওয়াটা বেশ কিছুদিন আগেও ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার।সময়ের পরিবর্তনে শিক্ষিত মানুষের মধ্যে বয়সের কম ব্যবধানে বিয়ে করার প্রবণতা বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিয়ে মানে এখন আর শুধু প্রজননের সঙ্গীকে খোঁজা নয়। জীবনের সর্বাঙ্গীন সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, সফলতা-বিফলতায় সমান ভাগীদার খোঁজা। আর তাই সমবয়সীদের মাঝে বিয়ের ব্যাপারটা ইদানীং খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে পড়াশুনা বা চাকরি করতে গিয়ে কাছাকাছি আসা, মনের মিল খুঁজে পাওয়া এবং শেষে ঘর বাঁধা। সমবয়সী স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর মতো সব কিছু শেয়ার করা যায়। নিজের ভালোলাগার বিষয়গুলো তার সঙ্গে মিলে যায় সহজেই। বিষয়গুলো আবার সব সময় একই রকম থাকে না। কখনো পড়তে হয় দারুণ বিপাকে। আর তাইতো অনেক অভিভাবকই মেনে নিতে পারেন না ব্যাপারটা।সমবয়সী বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু কমন সমস্যা আমরা প্রায়ই দেখতে পায়। যা বিষিয়ে তুলতে পারে দাম্পত্য জীবনের পুরোটায়। অনেক সময় দেখা যায় সমবয়সী পুরুষ নারীর কাছে মানসিক দিক থেকে ভ্রাতৃতুল্য হয়। কিন্তু পুরুষটির আচরণে এসে পড়ে কর্তৃত্ব। যেহেতু নারীটি ওই পুরুষের থেকে পরিণতমনস্ক, সেই কারণে তার থাকে দিদিগিরি। অচিরেই শুরু হয়ে যায় ব্যক্তিত্বের সংঘাত। আবার এমন হয়, যুক্তি বুদ্ধি নিয়ে গড়ে ওঠা মেয়েটির নিজস্ব চিন্তা ভাবনাকে সম্মান দেখানোর মানসিকতা থাকে না পুরুষটির। মেয়েদের যেহেতু পারিপার্শ্বিকতা বোঝার ক্ষমতা একটু বেশি। ছেলেটির তুলনায় মেয়েটি যখন বেশি সচেতন তখন তা হয় দাম্পত্যজীবনে মতভেদ, জটিলতা ইত্যাদির কারণ হয়। একে অপরকে যথাযথ সম্মান দিতে নারাজ। আবেগের ভাটা পড়লে সম্পর্কের পরণতি হয় ডিভোর্সে। এ তো গেল যৌবনের সংঘাত। এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে কেউ যদি টিকে গেলে আসে আরেক ঝামেলা। দুজনেরই বয়স যখন ৪০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। নারীটির মেনোপজ শুরু হয়ে গেছে। নারীদের জীবনে এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। নানা স্বাভাবিক সঙ্কট তৈরি হয় এই সময়। পিরিয়ড বন্ধ হয়, প্রজনন ক্ষমতা হারায়, যৌনমিলনে অনিচ্ছা, ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটে। একই সঙ্গে চলে মানসিক সমস্যা। আর তখন তা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তারা ভাবতে শুরু করে তার আর দেয়ার কিছু নেই। মনে চলে আসে বিষণ্ণতা। প্রাকৃতিক কারণে আগে পরিণত হওয়ায় নারীকে আগেই বার্ধক্য গ্রাস করে ফেলে। একই বয়সে পুরুষটি তখন টাট্টু ঘোড়া। এই মধ্য-দুপুরে পুরুষটি তখন নিদারুণ অসহায়। কামযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে দিশেহারা সে। তার প্রভাব দাম্পত্যজীবনে এসে পড়বেই। অশান্তিতে শুরু হয় ডিভোর্সের সম্ভাবনা। অর্থাৎ সমবয়সে বিয়ে করা মানে অশান্তিকে দাওয়াত দেয়া। পাত্রীর চেয়ে পাত্রের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর এবং বেশি হলে ১০ বছরের মধ্যে থাকা উচিৎ। ব্যতিক্রম ঘটনা থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা আলোচনার মধ্যে আসতে পারে না। ব্যতিক্রম সবসময়ই ব্যতিক্রম। আর তাই কিছু সমবয়সী দম্পতিও হতে পারেন দারুণ সুখী।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরের আদিবাসী বাগদী পরিবারগুলোর মানবেতর জীবন

জীবনজাপন

শাহজাদপুরের আদিবাসী বাগদী পরিবারগুলোর মানবেতর জীবন

শামছুর রহমান শিশির : বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী ছোট গল্প ‘পোষ্ট মাস্টার’-এর রতন চরিত্রটি শা...

ফেসবুকের কল্যাণে ঢাকা থেকে ১১ দিন পূর্বে হারিয়ে যাওয়া শাহজাদপুরের কিশোরী লিমা বাড়ি ফিরলো

তথ্য-প্রযুক্তি

ফেসবুকের কল্যাণে ঢাকা থেকে ১১ দিন পূর্বে হারিয়ে যাওয়া শাহজাদপুরের কিশোরী লিমা বাড়ি ফিরলো

শাহজাদপুর প্রতিনিধি : জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি সম্বলিত ‘হারানো বিজ্ঞপ্...

“বিশ্ব ভালবাসা দিবসের জয় হোক”

আন্তর্জাতিক

“বিশ্ব ভালবাসা দিবসের জয় হোক”

আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস। ভালবাসার জয় হোক, ভালবাসা দিবসের জয় হোক। ভালবাসার মহিমায় উদ্ভাসিত...

শাহজাদপুরের ভেকা ও হাটপাচিল গ্রাম বিলীন হওয়ার উপক্রম

শাহজাদপুরের ভেকা ও হাটপাচিল গ্রাম বিলীন হওয়ার উপক্রম

স্টাফ রিপোর্টারঃ দ্রুত বন্যার পানি কমতে থাকায় শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙ্গন...

শাহজাদপুরে হেরোইন সহ মাদক বিক্রেতা আটক

আইন-আদালত

শাহজাদপুরে হেরোইন সহ মাদক বিক্রেতা আটক

ফারুক হাসান কাহার শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এ হেরোইন সহ এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে ।...

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র জিপিএ–৫ না পেয়েও কেমব্রিজে

আন্তর্জাতিক

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র জিপিএ–৫ না পেয়েও কেমব্রিজে

জাহিদ হোসাইন খানঃ ২০১৬ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র সাজিদ আখতার পেয়েছিলেন জিপিএ-৪.৫০। আর এ...