রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
PHOTO- 05 শাহজাদপুর প্রতিনিধি: শাহজাদপুরে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর শেষ দিনে রবীন্দ্র মেলায় দর্শকদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। সেই সাথে দেশী বিদেশী রবীন্দ্র ভক্তদের পদচারণায় অনুষ্ঠান স্থল হয়ে উঠেছিল আবেক ঘন। অপরদিকে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছিলেন অনুষ্ঠান স্থালের দর্শকবৃন্দ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শাহজাদপুর পাইলট হাই স্কুল মাঠে  রোববার থেকে শুরু হয়েছে সাত দিন ব্যাপী রবীন্দ্র মেলা। মেলার প্রথম দিনে লোক সমাগমও হয়েছে প্রচুর। তবে শুধু মেলায় নয়, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাহজাদপুরসহ সিরাজগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকেই আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন এলাকাবাসী। সেই থেকে গোটা শাহজাদপুরই পরিণত হয়েছে রবীন্দ্র মেলায়। সকাল থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মেলা আর কবির স্মৃতি বিজড়িত কাচারিবাড়ি দেখতে পথে নেমেছে মানুষের ঢল। ঘোরাঘুরি আর এটা সেটা কিনে সময় পার করছেন উৎসুখমুখোর মানুষ। মেলার আয়োজন স্থল স্থানীয় হাইস্কুল মাঠ এবং রবীন্দ্র কাচারিবাড়িতে দলবেধে ছুটছেন রবীন্দ্র অনুরাগীসহ সব বয়সের মানুষ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দে ভাসছে হাজার হাজার মানুষ। কি নেই এই মেলায়, আম কাটার চাকু-কাসন্দি থেকে শুরু করে ঘর-গৃহস্থলী সজ্জার নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। পাশাপাশি ভাজাপোড়ার মুখোরচক সব খাবারের দোকানও বসেছে। অস্থায়ী নাগরদোলায় চড়ে আনন্দ করছে শিশুরা। প্রতি বছর রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর দিনে এ মেলা বসলেও এ বছর জন্মজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মেলার স্থলে হবার কারণে রোববার থেকে এ মেলা শুরু হয়েছে। মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় এমপি ও সাবেক শিল্প উপমন্ত্রী হাসিবুর রহমান স্বপন। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজাদ রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আহমেদ, শিক্ষাবিদ নাছিম উদ্দিন মালিথা, অধ্যক্ষ এমএ আজীজ, ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাক আহমেদ ও নিজাম উদ্দিন। উদ্বোধনী দিনে মেলা চত্বরে মানুষের ঢল নামে। কাঁচের চুরি, রঙ করা মাটির তৈরি নানা রকম পাত্র ও খেলনা, ঝিনুকের গহনা, কাঠের আসবাবপত্র, কাসার বাসন, ঢাক-ঢোল, পাঠজাতসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসেছে এ মেলায়। সঙ্গে বসেছে মিঠাইয়ের দোকান। শিশুরা কিনছে মুড়ি-মুড়কি, বিন্নিধানের খই, হাওয়াই মিঠাই আরও কতো কি। চিনি আর গুড়ের ছাঁচের হাতি-ঘোড়া-মাছ পেয়ে আনন্দে উৎফুল্ল শিশুরা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী এই মাঠে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে চলে যাবার পর থেকেই গোটা মাঠ জুড়ে মেলা বসেছে। তবে মেলায় কাঁচের চুরির দোকানগুলোতে তরুণীদের ভীড় দেখা যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আহমেদ জানান, এ মেলা আগামী ১ সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। এদিকে কলকাতা থেকেও ছুটে এসেছে রবীন্দ্র ভক্ত ও অনুরাগী প্রখ্যাত কবি ও লেখক শ্যামল সোম, তার অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন এখানে এসে যেন রবীন্দ্রনাথকেই খুঁজে পেয়েছি। কিছু সময়ের জন্য এসেছিলাম। এখন ভাবছি দু’দিন থেকে যাব। এখান থেকে কিছুতেই যেতে মন চাইছে না। তার মতো আরও শত শত রবীন্দ্র ভক্ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন। এখানে এসেই তারা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

সারাদিন ইয়ারফোনে গান শোনেন? অচিরেই সৃষ্টি হবে যেসব সমস্যা

জীবনজাপন

সারাদিন ইয়ারফোনে গান শোনেন? অচিরেই সৃষ্টি হবে যেসব সমস্যা

ইয়ারফোনে গান শোনার অভ্যাস কমবেশি সকলেরই আছে। তবে দীর্ঘক্ষণ এটি কানে লাগিয়ে গান বা কোনো মিউজিক শুনতে থাকলে দেখা দিতে পারে...

ডায়াবেটিস: কোন ধরনটার ঝুঁকিতে আছেন? লক্ষণ ও পরীক্ষার খুঁটিনাটি

জীবনজাপন

ডায়াবেটিস: কোন ধরনটার ঝুঁকিতে আছেন? লক্ষণ ও পরীক্ষার খুঁটিনাটি

চারদিকে অহরহ ডায়াবেটিসের কথা শোনা গেলেও এটা স্বাস্থ্যের জন্যে এক মারাত্মক অশনিসংকেত। যাদের ডায়াবেটিস হয়নি তাদের মাঝে মধ্...