শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, শামছুর রহমান শিশির, বুধবার, ২২ আগস্ট ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ : সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার প্রবলা, প্রমত্তা, প্রগলভা, সমুদ্রের যোগ্য সহচারী, আগ্রাসী ও রাক্ষুসী নদী যমুনার ভয়াল আগ্রাসনে একবার, দুইবার, তিনবার, চারবার, পাঁচবার এমনকি তার চাইতেও বেশী বার জমি-জমা, ঘর-বাড়ি, সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়া গ্রামীণ সড়কের দুইপাশে কুঁেড় ঘরের মতো তৈরি করা ছোট ছোট ছাপড়ায় বসবাসরত হাজার হাজার উদ্বাস্তুদের ঘরে ঈদের নেই আমেজ। বরাবরের মতো এবারেও তারা পরিবার পরিজনের জন্য নতুন জামা কাপড় কেনা তো দুরের কথা, একটু ফিরনি, একটু সেমাই, পোলাও, কোরমা এগুলো রান্না করতেও পারেনি। সহায় সম্বলহীন ওইসব অশীতিপর বৃদ্ধা, স্বামী পরিত্যাক্তা অভাগিনীদের প্রতিটি মুহুর্ত প্রতিটি দিন যেভাবে কাটে, ঈদের দিনও তাদের তেমনই কাটছে যা নিজে চোঁখে না দেখলে বিশ্বাস করার উপায় নেই। পরিবারের সদস্য সংখ্য বেশ কয়েকজন হলেও উপার্জনক্ষম একজন আবার এমন অনেক মহিলাপ্রধান পরিবার রয়েছেন যাদের একজনও উপার্জনক্ষম নয়। তার পরেও ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’-এর মতো ওদের যারা একবেলা মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে তাদের মজুরি দেওয়া হয় মাত্র ৬০ টাকা। ফলে বছরের একটি হাঁসি খুশির দিন ঈদের দিন উপলক্ষেও ভাল জামা কাপড় পরিধান,ভালো খাবার খাওয়া ওদের কাছে নিছক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। বরাবরের মতো এবারের পবিত্র ঈদুল আজহা’তেও ওইসব ভাগ্যবিড়ম্বিত চির অবহেলিত, চির পতিত, চির অপাঙ্ক্তেয় উদ্বাস্তু হৎদরিদ্র জনসাধারনের বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদছে। সহায় সম্বলহীন উদ্বাস্তু ওইসব হৎভাগাদের অনেকে অসুস্থ, অনেকের স্বামী পালিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছে, অনেকে বয়সের ভারে নুব্জ,আবার অনেকে উপার্জনক্ষম হলেও পরিবারের সদস্য সংখ্য অনেক বেশী হওয়ায় প্রতিনিয়তই তাদের খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্টে মানবেতর দিনাতিপাত করতে হয়। হতভাগা ওইসব উদ্বাস্তুরা আক্ষেপ আর দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলেন, ‘গরীবের জন্য ঈদ নয়। তিনব্যালা প্যাট ভইর‌্যা খাইবারই দিব্যার পারি না ঈদের জামাকাপুর কেনবো ক্যাবা কইর‌্যা। কার না ইচ্ছ্যা হয় পোলাপানগরে মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য বছরে অন্তত ঈদের দিন নতুন জামা কাপুর দিব্যার। আমাদের ইচ্ছ্যা থাকলিও ট্যাকার অভাবে ঈদের নতুন নতুন জামা কাপুর, ফিরনি সেমাই পায়েশ এগুল্যো বড়লোকদের জন্য।’ সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার নগরডালা-কৈজুরী সড়কের চর কৈজুরী গ্রাম পরিদর্শনকালে দেখা যায় নগরডালা-কৈজুরী সড়কের উল্টাডাব থেকে সড়কের দুই পাশে ছোট ছোট সংখ্য কুঁড়েঘরের মতো ছাপড়া ঘর। ওইসব ঘরেই যমুনার ভাঙ্গনে পথে বসে যাওয়া উদ্বাস্তুদের বসবাস। রাক্ষুসী যমুনা বাড়িঘর গ্রাস করতে করতে তাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। একেবারে সব সহায় সম্বল যমুনায় জলাঞ্জলি দিয়ে নিঃস্ব হয়ে তারা রাস্তার পাশে ছাপড়া ঘরে (স্থানীয় ভাষায়) অতিকষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেছে। ওইসব উদ্বাস্তুদের অনেকেই ২০ বছর আগে,অনেকে ১০ বছর আগে আবার অনেকে তার চেয়েও কম বছর আগে তাদের বাড়িঘর একবার, দুইবার, তিনবার, চারবার, পাঁচবার, ছয়বার এমনকি তার চাইতেও বেশী বার যমুনার ভয়াল আগ্রাসনে সবকিছু হারিয়ে পথের ভিখারীতে পরিনত হয়েছে। উপজেলার উল্টাডাব ও চরকৈজুরী গ্রাম পরিদর্শনকালে আলাপ হয় অসংখ্য উদ্বাস্তুদের সাথে। উদ্বাস্তু মৃত আদু মোল¬ার ছেলে রহম আলী(৮০)র স্ত্রী,সন্তান, নাতী-নাতনীসহ সর্বমোট ১৩ জনের ভরণপোষন করতে হয়। স্বল্প আয়ের রহম বিষন্ন মনে বলেন, পরিবারের সদস্যদের তিনবেলা আহার জোটাতে হিমশিম খাওয়ায় ঈদে কারও জন্য কিছু কিনতে পারেননি। অতীতে তার বাড়ী ছিল সাহেবপাড়ায় যা যমুনায় বিলীন হয়েছে। আমছের আলীর স্ত্রী শেফালী (৫০)কে ৫জনের ভরনপোষন করাতে হচ্ছে। মাটি কাটার কাজ করে শেফালী দিনে আয় করেন ৭০-৮০ টাকা যা দিয়ে পেটপুরে তিনবেলা আহার সম্ভব নয়। আবার যে দিন বৃষ্টিপাত হয় সেদিন তিনি কাজেও যেতে পারেন না। ধীতপুর এলাকায় তার বাড়িটি রাক্ষুসী যমুনা গিলে খেয়েছে। আজ তিনি পথের ভিক্ষারী। আল্লাহপাক দিন চালান আজকের ঈদের দিনও সেভাবেই চলছে। যেখানে খেয়ে না খেয়ে পরিবারকে নিয়ে তাকে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে সেখানে ঈদের কোন কেনাকাটা আর ভালোমন্দ খাওয়ার চিন্তুা করা তার পক্ষে অসম্ভব। সোনাতুনীর আনছের মিয়ার স্ত্রী বুলি (৪০)র বাড়িঘর যমুনার কড়াল গ্রাসে চলে যাওয়ায় ৬ জনের সংসার বুলিকেই চালাতে হচ্ছে।অভাবে জর্জরিত বুলি এখনো কারো জন্য পোশাক বা ভালো খাবার কিনতে পারেননি। উল্টাডাব গ্রামের মেনহাজ শেখের স্ত্রী খোদেজা (৫৫)কে ১২ জনের সংসার চালাতে হচ্ছে। তার কাছে বছরের সকল দিনই সমান। যমুনায় দুইবার বাড়িঘর বিলীন হওয়া সাহেবপাড়ার মৃত সুলতান মোল¬ার স্ত্রী মমতা (৫০) মহিলা হয়েও ৯ জনের সংসার চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। খাবারের অর্থই যোগান দেওয়া কতটা যে কষ্টকর তা বাস্তবে না দেখলে বোঝার কোন উপায় নেই। মৃত ময়দান ব্যপারীর ছেলে দুলাল (৪৫) ৮ জনের সংসার একাই চালাচ্ছেন অতিকষ্টে, দামুয়াপাড়ার মৃত কেতু মন্ডলের ছেলে বাবলু (২৮)র পরিবারের সদস্য ৪ জন, মৃত তফিজ শেখের পুত্র ফয়জাল (৩৮) একই উপার্জনক্ষম হলেও তাকে ৬ জনের সংসারের ঘানি টানতে হচ্ছে। নমৃত আকছেদ আলীর ছেলে আব্দুল আউয়াল (২৫) কে ৬ জনের সংসার চালাতে হচ্ছে। রাবেয়া(৬০)র স্বামী খালেক অসুস্থ ও কর্মহীন। এজন্য ৩ জনের সংসার চালনার জন্য তাকে একাই কাজ করতে হয়। কখনো চরকায় সূতা কাটা আবার কখনো মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে তিনি দিনে আয় করেন ৭০/৮০ টাকা যা চাউল কিনতেই ফুরিয়ে যায়। মৃত মুইচ্যার স্ত্রী লুবজান (৫০) বারে বারে যমুনায় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। দিনে যা আয় হয় তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে তার পরিবারের দিন কাটে। কোনদিন কাজ বন্ধ থাকলে বাধ্য হয়ে খাওয়া দাওয়াও বন্ধ থাকে। আনোয়ারের স্ত্রী আনোয়ারা (৫০) আগে মাকড়া গ্রামে বেশ স্বচ্ছলভাবে দিন কাটিয়েছেন। রাক্ষুসী যমুনা তার সব স্বপ্ন ধুলিষ্মাত করে দিয়েছে। ৫ বার যমুনা তার বাড়ি গ্রাস করেছে। ইনসাফ আলীর স্ত্রী বেলা খাতুন (৩০) অতিকষ্টে পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন।৪ বার তার বাড়ী যমুনায় ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমানে তিনি নিঃস্ব ও স্বর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।আনোয়ারের স্ত্রী সেলিনা(২০)কে যমুনায় ভাঙ্গনজনিত কারনে কোমড়ে টুপরি তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি আর মেহনত করে আয় করছেন ৬০-৭০ টাকা। এ টাকা দিয়ে খাওয়া দাওয়া করাই অতি কষ্টকর। শাহানার স্বামী শুকুর আলী শ্রমিকের কাজ করে যে মজুরি পান তা দিয়ে তাদের তিনবেলা ঠিকমতো আহারই জোটেনা। সালমা (২৫) স্বামী বুদ্দু শেখ ৭ জনের খাবারের যোগান দিতে চোখে মুখে সর্ষের ফুল দেখছেন। রেখা(২০) স্বামী আলমগীর তাঁত শ্রমিকের কাজ করে ৪ জনের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। মৃত আরশেদ আলীর স্ত্রী বানু(৭৫) মহিলা হয়েও ৬ জনের সংসার খুব কষ্টে চালিয়ে আসছেন। আগ্রাসী যমুনা ৪ বার তার বাড়িঘর গ্রাস করেছে। বর্তমানে তিনি নিঃস্ব ও সর্বশান্ত। সেলিনা (৪৫)র স্বামী শাহজাহান ৭ জনের তিনবেলা আহার যোগান দিতে পারছেন না। তিনবার যমুনা তাদের বাড়ি গ্রাস করেছে। ৩ বার সাহেবপাড়া এলাকায় মৃত কুরানের স্ত্রী আয়শা (৫৫)র বাড়ি যমুনায় বিলীন হওয়ায় তিনি পথের ভিখারীতে পরিনত হয়েছেন। মৃত ঈমান আলীর স্ত্রী তারা বানু (৬০)র দুঃখের শেষ নেই। তিনিও কাজ করতে না পারায় চেয়েচিন্তে কোন রকমে প্রতিটি দিন অতিবাহিত করছেন। মৃত ইনতাজ আলীর স্ত্রী কদবান ু(৮০) বয়সের ভারে নুব্জ হলেও তাকে ভাত-কাপর দেবার কেউ নেই। মাঝে মধ্যে চরকায় সূতা কেটে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন। হোড়দিঘুলিয়া এলাকায় তার স্বচ্ছল সংসার ছিল,যা যমুনা ৫ বার গ্রাস করে তাকে একেবারে পথে নামিয়ে ছেড়েছে। জয়ফলের (৫৫) স্বামী ইউসুফ ৬ জনের তিনবেলা আহার যোগাতে অক্ষম। মৃত হানিফের স্ত্রী সুফিয়া (৬০),যমুনায় বিলীন হয়ে যাওয়া আলমগীরের স্ত্রী তাছলিমা (২০),খোশাল শেখের স্ত্রী সরবানু (৮০)র সোনার সংসার প্রবলা যমুনা ৬ বার ভেঙ্গে দিয়েছে। সোরহাব আলীর স্ত্রী শাহীনুর (৬০)-এর বাড়ি দাদপুরে থাকলেও ২বার যমুনা তা গ্রাস করেছে। রমজানের মেয়ে আনজিরা(৪৮),ইয়াছিনের স্ত্রী রিজিয়া (৭০),মৃত মোসলেমের স্ত্রী মনোয়ারা(৪০), বাবলুর স্ত্রী মনোয়ারা (২৫)সহ নাছিমা, আসমা, আলো, আলেয়া, আছিয়া, জহুরা, সোনেকা, জয়তুন বেওয়া, কোহিনূর, ছালেহাসহ এ এলাকার ৩’শতাধিক পরিবারের প্রায় হাজার হাজার উদ্বাস্তু বার বার যমুনার কড়াল গ্রাসে সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসে গেছেন। ওইসব হাজার হাজার উদ্বাস্তুরা যমুনায় ঘরবাড়ি বিসর্জন দিয়ে পথের পাশে ছোট ছোট ঘর তুলে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর দিনযাপন করছে। ফলে তাদের আহারের যোগানের চিন্তা ছাড়া অন্য কোন ভাবনা ভাববার কোন সময় তাদের নেই। আর এ জন্য রাক্ষুসী যমুনার করাল গ্রাসের শিকার হাজার হাজার উদ্বাস্তু হৎদরিদ্র এলাকাবাসীর হাতে অর্থ না থাকায় ঈদে নতুন জামা কাপড় কেনা হয়নি বা ভালো কোন খাবার ভাগ্যে জোটেনি। এ প্রতিবেদক উদ্বাস্তু ওইসব অসহায় জনমানুষের ঈদ ভাবনার ব্যাপারে বাক্যালাপকালে মুহুর্তেই তাদের ভীড় জমে যায়। তারা নানা ভাবে কাকুতি মিনতি করতে করতে বলেন ‘স্যার, কোরবানির মাংস দিব্যান?, স্যার আমাগো নাম লেখেন, স্যার আমাগো কিছু দ্যান, পোলাপানগরে কিছুই কিন্যা দিব্যার পারি নাই। পোলাপান লিয়্যা আর পারি ন্যা, ঘরনাই, বাড়ি নাই, দিন যে আর চলতে চায়না স্যার, যা কামাই করি তাই দিয়্যা ডাইল ভাতই তিনব্যালা প্যাট ভইর‌্যা খাইব্যার পারিনা, ঈদে কাকুক জামা কিন্যা দিব্যার পারি নাই। এত ট্যাকা কৈ পামু, কে দিবে, কারে জিগাবো, মোগো দেখার কেউ নাই। আল্লাহ চালায় তাই খেয়ে না খেয়ে চলি। আশা আছিলো, ঈদের দিন একটু সেমাই রাইদব্যার । তাও পারিন্যাই।’ প্রবলা যমুনা সবকিছু কেড়ে নেওয়ায় ওদের ঘরনেই, বাড়ি নেই। কোনমতে রাস্তার দুইপাশে সোলার(পাটখড়ি) ছাপড়া (ছোট্ট কুঁেড়ঘরের মতো) তৈরি করে কোন মতে দিনাতিপাত করছে। যেখানে নেই তাদের নূন্যতম নিরাপত্বা। অসহায় ওইসব উদ্বাস্তুদের বাড়ীঘরের দিকে তাকালে মনে হয় যেন তারা এক বিরাণ ভূমিতে বাস করছে। মাটির কোলা, রান্নার জন্য ভাঙ্গাচোর হাড়ি-পাতিল ছাড়া তাদের নেই অন্য কোন সম্পদ বা অবলম্বন। কাজ করলে একবেলা আধবেলা পেটের ভাত জোটে ,আর কাজ না করতে পারলে তাদের না খেয়ে থাকতে হয়। ফলে ঈদের আনন্দ ওদের জন্য অলীক কল্পনা বলেই মনে হয়। সহায় সম্বলহীন ওইসব হাজার হাজার উদ্বাস্তু হৎদরিদ্রদের খোঁজখবর কখনো নেয়না কেউ । তাদের জীবনজীবীকার চিন্তা ছাড়া নেই অন্য কোন ভাবনা। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারেনা, পেটপুরে পুষ্টিকর খাবার খেতে না পেয়ে তারা প্রতিনিয়ত পুষ্টিহীনতায় ভূগছে। অর্থাভাবে তাদের সুচিকিৎসাও হয়না । নেই তাদের কোন ভবিষ্যত। শুধুই নেই নেই আর নেই। অনেকেরই সম্ভান্ত মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হলেও প্রবলা, প্রমত্তা, প্রগলভা, সমুদ্রের যোগ্য সহচারী, রাক্ষুসী, ভয়াল যমুনার আগ্রাসনের শিকার হয়ে তারা বিগত দিলগুলোর মতো ঈদের দিনেও খেয়ে না খেয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন। চরম অর্থসংকটজনিত কারণে হাজার হাজার উদ্বাস্তুদের পরিবারে বর্তমানে অভাব অনটন, হতাশা, নিরাশা, দুঃখ, কষ্ট বিরাজমান । কিন্তু নেই নূন্যতম ঈদের কোন আমেজ আর মুভভরা হাঁসি খুশি।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে গরু লালন পালন করে স্বাবলম্বী জোবেদা খাতুন

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরে গরু লালন পালন করে স্বাবলম্বী জোবেদা খাতুন

শাহজাদপুরে পোতাজিয়া গ্রামে ব্যবসায়ী আব্দুস সালামের শতাধিক গরু দেখাশোনা করেন তারই সহধর্মিণী জোবেদা খাতুন। মৌসুমী, বৃষ্টি,...

শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য আটক

অপরাধ

শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য আটক

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে ছিনতাই হয়ে যাওয়া দুটি অটোবাইক উদ্ধারসহ অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার...

মহান ওস্তাদজী শাহ্ সামসুদ্দীন তাবরেজি (রহ.)'র দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু

ধর্ম

মহান ওস্তাদজী শাহ্ সামসুদ্দীন তাবরেজি (রহ.)'র দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ (বুধবার) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর পৌরসদরের দরগাহপাড়া মহল্লাস্থ করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত মখদুমিয়া...

কবিগুরুর ভাষ্কর্য ভালে পাকুড় বৃক্ষ জন্মেছে!

জানা-অজানা

কবিগুরুর ভাষ্কর্য ভালে পাকুড় বৃক্ষ জন্মেছে!

শামছুর রহমান শিশির: ঊনবিংশ শতাব্দিতে বাংলার সাহিত্য গগণে ও বিশ্ব জ্ঞান পরিমন্ডলে 'ভারস্যাটাইল জিনিয়াস' খ্যাত কবিগুরু রবী...