শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের কোনো আইনজীবীকে হাতকড়া পড়ানোর ব্যাপারে কোন কোন ক্ষেত্রে নিয়ম মানছে না পুলিশ । বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট বারসহ অন্যান্য যে কোন বারের যে কোন আইনজীবিকে গুরুতর অপরাধ ব্যতীত অন্য যে কোন কারনে গ্রেপ্তার করার সময়ে হাত কড়া না পরানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক রেজুলেশন করার ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, মাননীয় ভাইস-চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে কথা বলেছেন। হাতকড়া পরানোর বিষয়টি নিয়ে সারাদেশের বিজ্ঞ আইনজীবীগনসহ বিভিন্ন মহল পূর্ব থেকেই সমালোচনা করে আসছেন।পুলিশের পিআরবিতে (পুলিশ প্রবিধান) আইনে ব্যক্তির অবস্থা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এটি পড়ানোর নিয়ম থাকলেও তা তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। অনেক সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অসুস্থ আসামি, কিশোর, নারী ও বৃদ্ধদের হাতকড়া পরিয়ে আদালতে ও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে , দেশের সম্মানির ব্যক্তিদের মধ্যে আইনজীবীদের অবস্থান সবার উপরে সেক্ষেত্রে বিশেষ কোন ক্ষেত্র অথবা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ব্যাতিত সুপ্রীম কোর্ট বারসহ অন্যান্য যে কোন বারের যে কোন আইনজীবিকে গুরুতর অপরাধ ব্যতীত অন্য যে কোন কারনে গ্রেপ্তার করার সময়ে হাত কড়া না পরানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক রেজুলেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। পুলিশের হাতকড়া পড়ানোর নিয়ম না মানার বিষয়টিকে সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে বলে আখ্যায়িত করেছেন মানবাধিকার কমিশন। এ বিষয়টির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাকে তাকে হাতকড়া পরানো সভ্য দেশের আলামত নয়। এটি পরানোর নিয়ম আছে বটে। কিন্তু, এটি পুলিশের মানার প্রবণতায় ঘাটতি রয়েছে। যা ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘটনায় লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক না পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু সেটি নিয়ম মেনে করতে হবে। হাতকড়ার ব্যবহার নিয়ে আইন আছে পুলিশ প্রবিধান বা পিআরবিতে। ওই বিধির ৩৩০ ধারায় বলা হয়েছে,‘বিচারাধীন বন্দিকে তাহাদের পলায়ন বন্ধ করিবার জন্য যাহা প্রয়োজন তাহার চাইতে বেশি কড়াকড়ি করা উচিত নহে। হাতকড়া বা দড়ির ব্যবহার প্রায় ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় এবং অমর্যাদাকর। বয়স, সম্মান ও পেশা বিবেচনা করতে হবে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ইতি পূর্বেই বলেছেন, ‘নিয়ম ভঙ্গ করে যাকে তাকে হাতকড়া পরানো হচ্ছে। এতে ব্যক্তির ভাব মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ থেকে উত্তরণের পথ হিসাবে তিনি কর্তৃপক্ষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিকে হাত কড়া পড়ানোর ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। সূত্রঃ বিডি ল’ নিউজ ডট কম

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন,...

১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু

বাংলাদেশ

১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদে...

মন্ডল গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আবদুল মজিদ মন্ডল আর নেই

রাজনীতি

মন্ডল গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আবদুল মজিদ মন্ডল আর নেই

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল মজিদ মন্ডল (৭২) আর ন...

শাহজাদপুরে দুই মেয়েকে বিষ পান করিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে দুই মেয়েকে বিষ পান করিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ইসলামপুর ডায়া নতুনপাড়া গ্রামে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বিষপান করে ম...