শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
করোনার ক্রান্তিকাল ও বন্যায় গবাদীপশুর রাজধানী খ্যাত শাহজাদপুরের হাজার গো-খামারিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে। এলাকায় প্রতিদিন উৎপন্ন লাখ লাখ লিটার দুধ ও পালিত গবাদী পশুকে নিয়ে তারা উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় পড়েছেন। করোনার প্রকোপে তরল দুধের চাহিদা কমে যাওয়ায় মিল্কভিটাসহ শাহজাদপুরের ১৪টি বেসরকারি ডেইরি প্রজেক্টে দুধ সংগ্রহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। গত কোরবানির ঈদে গো-খামারি, চাষি ও মওসুমি ব্যবসায়ীদের লালিত গবাদীপশুর চাহিদা, বেচাবিক্রি কম হওয়ায় এবং ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এলাকার গো-খামারি, চাষি ও ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছেন। অন্যদিকে, বন্যায় কাঁচা ঘাসের তীব্র সংকটে দানাদার গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে শাহজাদপুরের অনেক গো-খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। ফলে শাহজাদপুরের লাখ লাখ গবাদীপশু নিয়ে খামারিরা মহাবিপাকে পড়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বাঘাবাড়ী মিল্কশেড এরিয়ায় দৈনিক প্রায় ৪ লাখ লিটার দুধ উৎপন্ন হয়। এর সিংগভাগই বাঘাবাড়ির মিল্কভিটা কারখানায় ও অবশিষ্টাংশ বিভিন্ন বেসরকারি ডেইরি প্রজেক্টের কুলিং সেন্টারে এবং ঘোষেরা সংগ্রহ করে থাকে। শাহজাদপুরের ভরপুর গো-সম্পদের ওপর নির্ভর করে শাহজাদপুরসহ আশপাশে মিল্কভিটা ছাড়াও প্রাণ, আকিজ, আফতাব, ব্র্যাক ফুড (আড়ং), অ্যামোফ্রেস মিল্ক, আড়ং দুধ (ব্র্যাক), ফার্মফ্রেস, রংপুর ডেইরি, ইছামতি ডেইরি, সেফ মিল্ক কোয়ালিটি, বিক্রমপুরসহ ১৪টি বেসরকারি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান এ অঞ্চলে আঞ্চলিক ও শাখা দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে ঘিরে শাহজাদপুর ছাড়াও পাবনা ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবারের জীবীকার পথ হিসেবে গরু পালন ও দুধের ব্যবসা হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। গো-শিল্পটি লাভজনক হওয়ায় অঞ্চলে গড়ে ওঠা গো-খামারের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এ অঞ্চল থেকে সংগৃহিত দুধ নানা প্রক্রিয়ায় দুগ্ধজাত খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে সারাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু করোনার ক্রান্তিকালে তরল দুধের চাহিদা কমে যাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুধ সংগ্রহের পরিমান কমিয়ে দিয়েছেন। মিষ্টি ও চায়ের দোকানিরাও বর্তমানে আগের মতো দুধ কিনছেন না। ফলে উৎপন্ন দুধ নিয়ে খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। বন্যার মধ্যে অনেক খামারি নৌকাযোগে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে কম দামে দুধ বিক্রি করছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠাগুলো দুধ সংগ্রহ কমিয়ে দেয়ায় এ অঞ্চলের দুগ্ধশিল্পে নেমে আসে বিপর্যয়। খামারি জানান, ঈদুল ফিতরের পর দুধের দাম কমতে থাকলেও গো-খাদ্যের দাম উল্টো বেড়ে চলেছে। বন্যায় সেই বর্ধিত দামে ফের নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ১ হাজার ২৫০ টাকা দামের ৩৭ কেজি ওজনের ভুসির বস্তার দাম ঈদুল ফিতরের পরে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪২০ টাকা। ৩০০ টাকা মণের খড়ের দাম হয়েছে ৫০০ টাকা। খৈল, চিটাগুড়সহ সব ধরনের গো-খাদ্যের দামই লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা চোখেমুখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন। খামারিরা এ দুঃখ দুর্দশার কথা বলতেও পারছেন না আবার সইতেও পারছেন না।

সম্পর্কিত সংবাদ

গাজা  প্রশ্নে ব্রিটিশ মন্ত্রী ওয়ার্সির পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক

গাজা প্রশ্নে ব্রিটিশ মন্ত্রী ওয়ার্সির পদত্যাগ

সিরাজগঞ্জের শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার ফাহমিদা হক শেলী

ফটোগ্যালারী

সিরাজগঞ্জের শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার ফাহমিদা হক শেলী

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, বিশেষ প্রতিবেদক, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ : সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় সন্মেলন ক...

শাহজাদপুরে ভূমি সপ্তাহ শুরু

শাহজাদপুরে ভূমি সপ্তাহ শুরু

ভূমি সংক্রান্ত নাগরিক সেবা আরও জনমুখী, তথ্য প্রযুক্তি নীর্ভর ও গ্রাহক বান্ধব করে তোলার লক্ষে গতকাল শনিবার উপজেলা ভূমি অফ...

শাহজাদপুরে ছেলেকে অপহরণ ও ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী ৩ অপহরণকারী আটক

আইন-আদালত

শাহজাদপুরে ছেলেকে অপহরণ ও ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী ৩ অপহরণকারী আটক

আজ রোববার শাহজাদপুরে চাঁদাবাজও অপহরণকারী চক্রের ৩ সদস্যকে পুলিশ আটক করে। এরা হল, উপজেলার...

মন্ডল গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আবদুল মজিদ মন্ডল আর নেই

রাজনীতি

মন্ডল গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আবদুল মজিদ মন্ডল আর নেই

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল মজিদ মন্ডল (৭২) আর ন...