বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
স্বাধীনভাবে নাগরিকদের অহিংস আন্দোলন সংগ্রাম করা ও স্বাধীন মতামত পেশ করার সুযোগ দানই হলো গণতান্ত্রিক রাজনীতির রীতিনীতি ও সাংবিধানিক অধিকার। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে সেটি হারিয়ে গেছে। এখন রাষ্ট্রের মাঝে দুটি পক্ষ বিদ্যমান। এক পক্ষ হচ্ছে- রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলারা। দ্বিতীয় পক্ষ হচ্ছ-দেশের সাধারণ নাগরিকগণ। রাষ্ট্র পক্ষ নাগরিক সাধারণকে অধিকার বঞ্চিত করলেও সে কথা প্রকাশ করবার যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি সেটিরও অবশিষ্ট বাংলদেশে আছে বলে মনে হয়না। নিরস্ত্র অহিংস আন্দোলনকারীদের ওপর রাষ্ট্রের বিশেষ অঙ্গগুলো যখন শসস্ত্র বল প্রয়োগ করে তখন রাষ্ট্র তার গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে ফেলে। ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় পাকিস্তানের ২২ পরিবারের শাসন ও শোষণ থেকে বাঙালির জাতীয়, সাংস্কৃতিক, অর্নৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্র কায়েমের জন্য শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হলেও মুক্তিযোদ্ধারা যেমন মূল্যায়িত, সম্মানীত হতে পারেননি, তেমনি গনতন্ত্রও আজ অন্ধাকার পথে যাত্রা শুরু করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চরিত্র, মুক্তিযুদ্ধের চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্খা, মুক্তিযুদ্ধর মুল চেতনা এখন উল্টো পথে, উল্টো রথে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কলঙ্কিত। বাংলাদেশের নাগরীক সাধারণেরা পাকিস্তানের ২২ পরিবারের শাসন ও শোষণ মুক্ত হয়ে এখন ২২ হাজার ধনিক বণিকের শাসন শোষণের বেড়াজ্বালে বন্দী। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ৫০ বছর পূর্তিতে এসে এটি জাতির জন্য এক ভয়ঙ্কর অশুভ বার্তা বহন করছে। এখন মুক্তির উপায় নিয়ে নতুন প্রজন্মকে নতুন করে ভাবতে হবে। তথাকথিত রাজনৈতিক দলের সাথে গা ভাসিয়ে দিয়ে দেশকে, দেশের জনগণকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়ার কো যৌক্তিকতা নেই। এমন অপরাজনীতে কারো মুক্তি মিলবেনা। রাষ্ট্রের মাঝে এধরনের অসাঞ্জস্যমুলক আঁচরণ ও অব্যবস্থাপনার মাঝ দিয়ে ধর্মান্ধ পাকিস্তান পন্থীরা এখন রাজধানী শহর নগর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত তাদের শিকড় বাকর গজিয়ে শিরদাঁড়া উচু করে দাঁড়িয়েছে। যা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রকে শুধু অন্ধকার পথেই ঠিলে নিবে না। রাষ্ট্রের মূল চরিত্র ও কাঠামোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। উপসংহারে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শুধু এটুকু বলতে চাই, আমরা এমন একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য যুদ্ধ করিনি। যেখানে শোষণ বঞ্চনা বৈষম্য চিরস্থায়ী হবে। নিপিড়ন বাড়বে। দেশ স্বাধীন করাও আমাদের ভুল কিম্বা অপরাধ ছিলনা। বাংলাদেশ স্বাধীন পরবর্তী সাধারণ মানুষের মুক্তির মাঝ দিয়ে আমার মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলাম। এখন মনের মাঝে প্রশ্ন জাগে তাহলে কি আমরা হেরে গেছি, হেরে যাচ্ছি? নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে বলিয়ান হবার আহ্বান জনাই। এখনই ঘুড়ে দাঁড়াবার উপযুক্ত সময়।   বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার প্রধান সম্পাদক, শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম ২২ এপ্রিল, ২০২১ খৃষ্টাব্দ, বৃহস্পতিবার।  

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য আটক

অপরাধ

শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য আটক

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে ছিনতাই হয়ে যাওয়া দুটি অটোবাইক উদ্ধারসহ অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার...

১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভূয়া এজেন্ট উধাও

১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভূয়া এজেন্ট উধাও

স্টাফ রিপোর্টারঃ শাহজাদপুর উপজেলাসহ পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ৩৯ জন হজ্জ যাত্রীর ১ কোটি ৫...

সাকিবভক্ত কোরিয়ান তরুণের সততা!

খেলাধুলা

সাকিবভক্ত কোরিয়ান তরুণের সততা!