শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিন দিনই বেড়েই চলেছে। নিজেদের কোম্পানির ঔষধ লেখা আছে কিনা তা দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। কেউ বা তাদের মুঠোফোন দিয়ে ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলে রাখেন। তাদের দৌরাত্ম্যে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। যদিও বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলছেন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোন ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির দেখা করা নিষেধ। এ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেনা কেউ? রোগীরা বের হলেই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে করা হচ্ছে টানাহেচড়া এতে রোগীরা অস্বস্তি ও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছেন। বিষয়টি পুরুষদের জন্য স্বাভাবিক হলেও নারীদের জন্য খুবই বিব্রতকর। ক্ষুণ্ন হচ্ছে রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা।
এমন দৃশ্য প্রায় দেখা যায় শাহজাদপুরের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চত্বরের ভিতরে। হাসপাতালে সেসব রোগীরা আসে তাদের মধ্যে অনেক গুরুত্বর রোগী থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতনরা।
উপজেলার একমাত্র ভরসারস্থল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। প্রতিদিন এই হাসপাতালে শত-শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। কিন্তু সেবা নিতে এসে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কারণে। এতে রোগী বিরক্ত বা রোগীর প্রাইভেসি নষ্ট হলেও তাদের কিছু আসে যায় না।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল চত্বরে টিকিট কাউন্টারের পাশে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পথে ব্যবস্থাপত্র দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। নাম না প্রকাশের শর্তে একজন মহিলা রুগী বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকের চেম্বার থেকে বের হওয়ার পর টিকিটি কাউন্টারের সামনে ৩/৪ জন পুরুষ মানুষ (মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ) তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর ব্যবস্থাপত্রটি নিয়ে কী কী ওষুধ লিখা আছে দেখা শুরু করে। অন্যদিকে একজন মোবাইল ফোনে বইটির ছবি তুলেন। এভাবে ঘিরে ধরায় আমার খুব অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। অন্য এক রুগী বলেন, ডাক্তারকে দেখানোর পর ফিরছিলাম ঠিক তখনই ঔষধ কাউন্টারের পাশে এক লোক কাগজটি (ব্যবস্থাপত্র) দেখতে চাইলো। না বুঝেই তাকে দিলাম। এরপর কাগজটির ছবি তুলে নিয়ে আবার দিয়ে দেয়।
বিক্রয় প্রতিনিধিরা দাম্ভিকতার সাথে জানান, আমরা ছবি তুলবই। আমাদের মানা করার কেউ নেই। তবে দু-একজন বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, রোগী বা স্বজনদের বিরক্ত করার কোনো উদ্দেশ্য নেই তাদের। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতেই তাদের এ প্রচেষ্টা। এটিই তাদের চাকরি। আপনারা আমাদের ছবি প্রকাশ করেন না বলে অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শারমিন আলম বলেন, ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের ভিজিট করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সময় লঙ্ঘন করে বিভিন্ন সময় রোগীদের হয়রানি করছে। আমি ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সম্পর্কিত সংবাদ
ফটোগ্যালারী
বিগ ডাটা কি এবং কেন! ( What is Big Data and Why? )
শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে ১৬ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা! আটক ২
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পৌর এলাকার নলুয়া বটতলার মুদি দোকানী রইচ উদ্দিনের নিখোঁজের ১৫ দিন পর প্রতিবেশি শফিকুলের বাড়ির পাশের...
অর্থ-বাণিজ্য
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা
এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন,...
ধর্ম
শাহজাদপুরে ইসলামী জালসা অনুষ্ঠিত
গতকাল রোববার রাতে উপজেলার শেলাচাপড়ী পশ্চিমপাড় গ্রামের পূর্ব উত্তরপাড়া মহল্লার ‘মাশয়ারিল হারাম’ জামে মসজিদের উন্নতিকল্পে...
শাহজাদপুর
শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ‘মামলা না হওয়ার কারণ’ খুঁজছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি
আওয়ামী লীগ–সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, না হ...
খেলাধুলা
আবার জোড়া গোল মেসির, মায়ামির পর এবার শীর্ষে তুললেন নিজেকে
জিলেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইন্টার মায়ামির পক্ষে ছিল না। প্রায় ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড ম...