সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১৯৭১ সালে শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী দল আওয়ামীলীগের অনুপিস্থিতিতে সে সময় কালেও ভুট্টোসহ অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কুত্তা কামড়া কামড়ি শুরু করেছিল। 

অপরদিকে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাজউদ্দিন আহমেদ কে প্রধানমন্ত্রী করে বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। সেখানেও অনুরূপ দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছিল। শুরু হয় আওয়ামীলীগ নেতৃত্বের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। 

তখন আয়ামীলীগ ও যুব নেতৃত্বের ক্ষুদ্র একটি অংশ দাবী তোলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপুস্থিতিতে তারাই একমাত্র স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠনের উত্তরাধিকারী। শুরু হয় তাজউদ্দিন বিরোধী প্রচারণা। 

এক পর্যায়ে তাঁকে হত্যা করার জন্য এক সশস্ত্র যুবককে পাঠানো হয়। সে আত্মসমর্পণ করে। তাজউদ্দিন আহমেদ সরকারের সাহসী ও বলিষ্ট নেতৃত্ব মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে, ভারত সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায়, ভারত সেনাবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর যৌথ বাহনী গঠন করার মাঝ দিয়ে মিত্রবাহিনীর সাথে সম্মিলিত ভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর স্থল পথে আকাশ পথে উপর্যুপরি আক্রমণের ফলে বিশ্বশক্তিগুলোর পদক্ষেপের সুযোগ নেয়ার আগেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন দেশে আওয়ামীলের সেই অভ্যন্তরীণ কলহগুলো দানা বাঁধতে থাকে। 

বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ পর তাজউদ্দিন বিরোধী গ্রুপটির তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। বঙ্গবন্ধু নিজেও একপেশে হয়ে যান। এই দ্বন্দ্ব ও রাজনীতিতে নানা অন্ত বিরোধের সুযোগে রও এবং সিআইএ (RAW-CIA) এর অন্ধকারে তাদের গুটি চালবার সুযোগ সৃষ্টি হয়। ঘটে যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের ভয়াবহ নির্মম নৃশংস হত্যাকান্ড। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যাকরা হয় জাতীয় ৪ নেতাকে।  আওয়ামীলীগ রাজনীতির মূল মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়। রাখা হয় ছায়া আর কায়া। 

এখন চলছে ছায়া আর কায়ার রাজনীতি। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারিয়ে গেছে। কিন্তু থেমে নেই লুটের মালের ভাগের হিস্যা পেতে ক্ষমতার কামড়া কামড়ি। মুক্তিযোদ্ধারা ফাঁটা বাঁশের চিপায়। 

আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেইনা। প্রয়োজনও মনে করিনা। তাহলে মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কি? আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ফাঁটা বাঁশের চিপায়। প্রজন্মও অন্ধ চোরাগলিতে পথ হাটছে। এসো শোকের মাসে পেছনের ইতিহাসকে স্মরণ করি। শতর্ক হই। শত্রু কিন্তু আমাদের মাঝেই অবস্থান করছে। জয়বাংলা।


বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার

সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক প্রধান সম্পাদক

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে শতাধিক পুরিয়া হেরোইনসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

অপরাধ

শাহজাদপুরে শতাধিক পুরিয়া হেরোইনসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

শামছুর রহমান শিশির : গত শুক্রবার রাতে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খাজা গোলাম কিবরিয়া ও পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইস...

সিরাজগঞ্জের ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন স্মরণে

জাতীয়

সিরাজগঞ্জের ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন স্মরণে

আব্দুল মতিন ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার ধুবুলিয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।...

শাহজাদপুরে পাগলা ঘোড়ার আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু!

অপরাধ

শাহজাদপুরে পাগলা ঘোড়ার আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু!

শামছুর রহমান শিশির : বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসদরের বাড়াবিল মহল্লায় এক পাগলা ঘোড়ার আঘাতে ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্...

‘দেশ ও জাতির সেবায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে’-শাহজাদপুরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মিল্কভিটার ভাইস চেয়ারম্যান

পড়াশোনা

‘দেশ ও জাতির সেবায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে’-শাহজাদপুরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মিল্কভিটার ভাইস চেয়ারম্যান

শামছুর রহমান শিশির : “তোমরা লেখাপড়া শিখে বড় হয়ে সচিব হবে, পিপি হবে, ডাক্তার ও প্রকৌশলী হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ ক...

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু ও ঘোড়ার গাড়ি

ফটোগ্যালারী

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু ও ঘোড়ার গাড়ি

ফারুক হাসান কাহার শাহজাদপুর ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : আধুনিকতার যান্ত্রিক ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গর...

শাহজাদপুর থানা পুলিশের অভিযানে হেরোইন,গাঁজা,মদ ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৮

আইন-আদালত

শাহজাদপুর থানা পুলিশের অভিযানে হেরোইন,গাঁজা,মদ ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৮

শামছুর রহমান শিশির : গত ২৪ ঘন্টায় শাহজাদপুর থানা পুলিশের চলমান বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযানে ৭০ পুরিয়া হেরোইনসহ দুইজন হেরো...