প্রথম পর্বে ছিল
পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে শাসকদের দুঃশাসন,শোষণ,বঞ্চনা, বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংগালি জাতীর ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম পরবর্তী গণতান্ত্রীক ও সায়ত্তশাসন ব্যাবস্থা কায়মের লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন এবং ঐ নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠ আসনে আওয়ামীলীগের বিজয় অর্জন পর্যন্ত।
দ্বিতীয় পর্ব ছিল
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে নির্বাচিত দল আওয়ামীলীগের হাতে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কারনে বাংগালি জাতির জন্য সাম্য,মানবিক মর্যাদা,সামাজিক ন্যায় বিচার ভিত্তিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যাবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে বাংগালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন ভুখন্ড ও লাল সবুজের পতাকা অর্জনের জন্য সশস্ত্র রক্তক্ষয়ি আত্মবলিদানের মুক্তিযুদ্ধ।
এই দুই পর্বের কোন পর্বে কার কোন অবস্থান ছিল?
স্বাধীন দেশ অর্জনের পর থেকে আমাদের দেশের রাজনৈতিক বিবর্তনের ধারাবাহিকতার অবস্থান বিবেচনায় আমরা কোন পর্বে রয়েছি?
স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র গঠনের ঐতিহাসিক মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে ১৯৭২ সালে আমাদের লিখিত জাতীয় সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় (Preamble) কি লেখা রয়েছে?
এই তিন প্রশ্নের সঠিক উত্তরের মাঝ দিয়েই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের রাজনীতিকে বুঝতে হবে।
কে মুক্তিযোদ্ধা কে মুক্তিযোদ্ধা নয় সেটি মুক্তিযুদ্ধের দুই পর্বকে এবং সংবিধানকে বিশ্লেষণ করলেই রাজনৈতিক অতিকথনের হিসেব মিলবে।
আমার ব্যক্তিগত মন্তব্যঃ
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান এবং ৫০ বছরের আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক,শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক লক্ষ্য অর্জনের ফলাফলে এটাই দৃশ্যমান হচ্ছে- আমরা প্রথম পর্বেই রয়ে গেছি। শধু মাঝখানে মিলেছে একটি স্বাধীন ভুখন্ড ও লাল সবুজের স্বতন্ত্র পতাকা।
সুতরাং দলীয় বিবেচনায় ভাতা খাওয়া অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সুবিধাভোগী কিছু মানুষকে মুক্তিযোদ্ধা বানানো ছারা "মুক্তিযুদ্ধ" ও "মুক্তিযোদ্ধা" শব্দ দু'টি নিয়ে গর্ব করার কিছুই নেই।
আমরা কৃষক শ্রমিকেরা মুক্তিযুদ্ধে হেরে গেছি। এখন রাজনীতিতে আমাদের কৃষক শ্রমিকের সন্তানেরাই নিজেদেরকে না চিনে, নিজের গোত্র স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে, বিভিন্ন দলে বিভক্ত ও দলান্ধ হয়ে, একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছি। আমরা মরছি, জেল খাটছি, রাজনদের পারিবারিক রাজতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার সহায়ক শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছি। এ লজ্জা আমাদের কাঁদায়। মেধাবী শিক্ষিত বলে দাবীদার আমলা ও বুদ্ধিজীবিদের শিক্ষার কর্মকৌশল ও প্রয়োগ আমাদেরকে কষ্টের হাসি হাসায়। আমরা লজ্জিত হই।
আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে তবুও একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছি। এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা সেই স্বাধীন দেশে গণতন্ত্রহীন রাজতন্ত্র পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষণে ক্ষণে জীবন দিচ্ছে। তারা কেন যেন অশুভ অন্ধ চোরা গলি পথের বাইরে আসতে ভুলে গেছে। জাতির জন্য এর চেয়ে খারাপ খবর আর কি হতে পারে?
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার
সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক
প্রধান সম্পাদক, শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খৃষ্টাব্দ।
সম্পর্কিত সংবাদ
শাহজাদপুর আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কার্যক্রমের উদ্বোধন
শাহজাদপুর প্রতিনিধি: শাহজাদপুর চৌকি আদালতের আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কর...
অপরাধ
শাহজাদপুরে ফসলী জমি রক্ষায় আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশ; বন্ধ হয়নি বালু ভরাট কাজ
শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২ আগস্ট ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ : শাহজাদপুর উপজেলার পাড়কোলা মৌজায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্...
জাতীয়
ভাড়াটিয়ারা ভাড়া দিতে না পেরে মালপত্র রেখে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন
কভিড-১৯ এর প্রভাবে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, নির্মাণসহ সব খাত স্থবির হয়ে পড়ায় গত কয়েক মাসে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন রাজধানীর লাখ...
জাতীয়
খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা চলছে: কৃষিমন্ত্রী
জাতীয়
করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি
বাংলাদেশ
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে: মাকে ঢামেকের গেটে ফেলে গেছেন ছেলে
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এক মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গেটের সামনে ফেলে রেখে গেছেন তার ছেলে। ঘটনা জানাজানি...
