শামছুর রহমান শিশির,যশোর থেকে ফিরেঃ শাহজাদপুর-পাবনা-কুষ্টিয়া-যশোর সড়ক-মহাসড়কের প্রায় ১০৮টি বাঁক যাত্রীদের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ সড়ক-মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত শত শত পার্শ্ব সড়কগুলোতে নেই কোন গতিরোধক! আবার অনেক স্থানে সড়ক-মহাসড়কের দুইপাশে ও মাঝখানে সাদা বর্ডার উঠে যাওয়ায় রাতের বেলায় যানবাহন পরিচালনায় চালকদের পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। প্রেক্ষিতে অদক্ষ চালকেরা রাতের বেলায় দ্রুতগতিতে যানবাহন চালনায় সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।ফলে ওই সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী উত্তরাঞ্চলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক যাত্রীর প্রাণ অকালে ঝড়ে পড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর দিনযাপন করছেন অনেকেই।এছাড়া এ মহাসড়কে সগর্বে অহরহ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত ফিটনেসবিহীন নছিমন-করিমন। দেখার কেউ নেই।ফলে প্রতিদিন এ সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী লাখ লাখ যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ও মালামাল আনানেওয়া করতে হচ্ছে।ওই সড়ক-মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে চলছে মাছবাজার,খড়,ইটসহ বিভিন্ন পন্যের রমরমা ব্যাবসা। দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চল ও বিশেষত উত্তরাঞ্চলের সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন পরিচালনায় কিছুকিছু স্থানে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার নির্ধারন করে দেওয়া হলেও বাস্তবে ৬০,৬৫,৭০,৮০কিলোমিটার এমনকি ১১০ কিলোমিটারের চাইতেও বেশী গতিতে যানবাহন পরিচালনা করায় নিত্যদিন ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে , শাহজাদপুর-পাবনা-কুষ্টিয়া-যশোর সড়ক-মহাসড়কের ১০৮ টি বাঁকের আগে ব্যাপক সতর্কবাণীর ব্যবস্থা, সড়ক-মহাসড়কে ওঠার আগে স্পীডবেকার বা গতিরোধক ব্যাবস্থা বাধ্যতামূলক করা,যেসব স্থানে সাদা ডিভাইডার(বর্ডার) নেই অবিলম্বে সেসব স্থানে ডিভাইডার দেওয়া,ফিটনেস বিহীন অবৈধ নসিমন-করিমন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি, ও যানবাহন চলাচলের গতিবিধির ওপর নিয়মিত তদারকি এবং সংশ্লিষ্ট স্থানের আগেই সাংকেতিক চিহ্ন দেওয়া হলে সড়ক দুর্ঘটনার হার রেকর্ড পরিমানে হৃাস পাবে,কমে যাবে প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা।
সরেজমিন শাহজাদপুর-যশোর সড়ক-মহাসড়ক পরিদর্শনকালে ওই সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ জোড়া বীজ পার হবার পর ১টি,গাড়াদহ পুরান বাজার পাবার আগে পরে ২টি,আলিফ সিএনজি ষ্টেশান সংলগ্ন কালিমন্দিরের সামনে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি, বিসিক বাসষ্ট্যান্ড ও পাড়কোলা বাজারের মাঝামাঝি এলাকায় ১টি, বিসিক বাসষ্ট্যান্ড পাবার একটু পরে ১টি বাঁক রয়েছে।নুকালী ব্রীজটি মহাসড়কের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অনেক উচু ও সরু হওয়ায় এখানে মাঝে মাঝেই ঘটে নানা দুর্ঘটনা। সাঁথিয়া উপজেলার সরিষা সেতু পাবার একটু আগে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি, বেড়া থেকে প্রায় ৫’শ মিটার পরে ১টি , চাকলা নামক স্থানে বড় সেতুর আগে ও পরে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ২টি, বেঙ্গলমিট পার হবার ৫’শ মিটার সামনে ১টি, পাবনার কাশিনাথপুর পাবার একটু আগে ও পরে ২টি, কাশিনাথপুর সেতু পার হবার পরে ১টি, এর আরেকটু সামনে রয়েছে ১টি তীব্র ও ২টি মাঝারি ধরনের বাঁক, চব্বিশ মাইল পাবার আগে আঁকাবাঁকা ২টি ও পরে রয়েছে তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক।চরগোবিন্দ বাজার পাবার আগে তীব্র ১টি ও পরে রয়েছে তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ ২টি বাঁক।হাজী আবুল কালাম পার্শ্ব সড়ক সংলগ্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ১টি,ইএম কলেজ পার হবার পর ১টি, চিনাখরা বাজার পার হবার পর তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১টি, ‘রাজশাহী ১৩৬কিঃমি ফলক’ পাবার আগে ও পরে রয়েছে ২টি, বনগ্রাম বাজার এলাকায় রয়েছে ২টি, হাটখোলা বাজার পাবার আগে ও পরে তীব্র ২টি, ‘পাবনা ২৫কিঃমি ফলক’ পাবার আগে ও পরে ২টি, মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ১টি মাধপুর বাজার পার হবার পর রয়েছে আরও ১টি বাঁক।এ স্থানে সড়ক-মহাসড়কের মাঝখানে সাদা ডিভাইডার মুছে গেছে।তেলকুপি এলাকার আগে ও পরে রয়েছে ২টি বাঁক। সিংগা বাজার জামে মসজিদ এলাকায় রয়েছে ১টি বাঁক।এর ৭/৮’শ মিটার সামনে আঁকাবাঁকা ২টি বাঁক রয়েছে।কাছারপুর এলাকায় ১টি,‘চাপাইনবাবগঞ্জ ১৭২ কিঃমি ফলক’ সংলগ্ন এলাকায় ২টি,আরেকটু সামনে ব্রাক সিরিজ এন্টারপ্রাইজের সামনে আরও ১টি পুষ্পপাড়া বাজার এলাকার পরে পরপর ২টি,পাবনার জালালপুর এলাকা পাবার আগে ১টি, রাজাপুর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ১টি,।পাবনা পৌরসভা এলাকায় প্রবেশ স্থানের একটু পরে রয়েছে ১টি বাঁক।পাবনা টারমিনাল এলাকায় নেই কোন গতিরোধক।এখানে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব সড়ক ও যত্রতত্র যানবাহন সড়ক-মহাসড়কের ওপর দাড় করিয়ে যাত্রী ও মালামাল উঠা নামা করানোয় যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।‘চাপাই ১৫৮কিঃমিঃ ফলক’ পাবার আগে রয়েছে আরও ১টি বাঁক।সিংগা বাজার জামে মসজিদ এলাকায় রয়েছে আরও ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক।গাছপাড়া এলাকার অনেক স্থানে সাদা ডিভাইডার মুছে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে ঝূঁকি ক্রমশঃ বাড়ছে।এ এলাকায় রয়েছে বেশ কটি পার্শ্ব সড়ক।এ স্থান দিয়ে চলছে ইজিবাইক।মাঝে মধ্যে মুছে গেছে ওই সড়ক-মহাসড়কের সাদা ডিভইডার চিহ্ন।‘নাটোর ৫৫ কিঃমিঃ’ মিটার ফলক পাবার আগে ও পড়ে রয়েছে ২টি বাঁক।মালিগাছা বাজার এলাকায় ১টি ও মজিদপুর দাখিল মাদরাসা পাবার আগে রয়েছে ১টি বাঁক।টেবুনিয়া বাজার এলাকায় যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। টেবুনিয়া হাটিকালচার সেন্টার পাড় হয়ে আঁকাবাঁকা ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি বাঁক রয়েছে।ইছামতী ফিলিং ষ্টেশান পাবার আগে ১টি ও ফিসারিজ প্রজেক্ট পাবার আগে ঝুঁকিপূর্ণ ১টি ও ‘নাটোর ৫১ কিঃমিঃফলক’ পাবার আগে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১টি মৃত্যুফাঁদ নামের বাঁক রয়েছে।ঈশ্বরদী কাইলক্যাপুর এলাকায় ১টি,মেসার্স আনোয়ারা স’মিল এলাকায় ১টি, গ্রামীন শক্তি দাশুরিয়া পাবার আগে রয়েছে বিপদজনক ৩টি বাঁক।দাশুরিয়া মোড়ে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নাটোরগামী সড়ক।‘যশোর ১২৬ কিঃমিঃফলক’ পাবার আগে ও পরে রয়েছে ২টি বাঁক।পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত লালন শাহ সেতু পার হয়ে ‘কুষ্টিয়া ২৩ মিটারফলক’ পাড় হবার পর ১টি,ভেড়ামাড়া পাওয়ার হাউজ স্ট্যান্ড পাবার আগে দীর্ঘ ১টি,বারোমাইল এলাকায় ১টি, ‘কুষ্টিয়া ১৫ কিঃমিঃফলক’ পাবার আগে রয়েছে আরও ১টি বাঁক।ওই এলাকায় নির্মিত সড়কটি নির্মাণের ১ বছর পরই অসংখ্য খানাখন্দ ও পিচপাথর উঠে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ১৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়ে লাগছে ৩০-৪০ মিনিট! ‘কুষ্টিয়া ১৪ কিঃমিঃ ফলক’ পাবার আগে রয়েছে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১টি বাঁক। বোয়ালমারী সেন্টার এলাকায় ১টি, কদমতলা পাবার আগে একটি ফিলিং স্টেশান এলাকায় ১টি,‘যশোর ৯৯ কিঃমিঃ ফলক’ এলাকায় অত্যন্ত বিপদজনক ১টি বাঁক রয়েছে। এসব বাঁকে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি অনেক বেশী রয়েছে। এসব স্থানে সর্বোচ্চো গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিঃমিঃ সতর্কবাণী দেওয়া থাকলেও চালকেরা তাদের ইচ্ছেমতো গতিতে যানবাহন চালনা করছে। ।চৌড়হাস মোড় থেকে রাজবাড়ী অভিমূখে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে। এখানে প্রয়শই যানজটের কবলে পড়ছে যাত্রীসাধারণ। বটতৈল বাজার এলাকায় ১টি,অরচার্ড কোচিং সেন্টারের সামনে রয়েছে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ ১টি বাঁক। এ স্থান থেকে ভাদালিয়া বাজার পাবার আগে ৩টি ও পরে রয়েছে ১টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ফটক সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১টি সরু সেতু। ওই ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের একটু পরে রয়েছে ১টি বাঁক,মধুপুর এলাকায় ১টি,শেখপাড়া এলাকায় ১টি তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক,‘ঝিনাইদহ ২১ কিঃমিঃ ফলক’ এলাকায় সড়কের দুই পাশে গাছেড় গুঁড়ি রাখায় অন্য যানবাহনকে সাইড দিতে না পারায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।এর কিছুদুর পর রয়েছে ১টি বাঁক,গাড়াগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুতের সাব-স্টেশান পাবার আগে রয়েছে ১টি ঝুঁকিপূর্ণ সরু সেতু।‘ঝিনাইদহ ২ কিঃমিঃ ফলক’ এলাকায় রয়েছে ১টি সরু সেতু। আরাপপুর এলাকা পার হয়ে ভূটিয়ারগাতী এলাকায় রয়েছে ১টি,হামদাহ এলাকার পর রয়েছে ২টি বিপদজনক বাঁক,বিষয়খালী বাজার পাবার আগে ২টি,একতা রাইস মিল এলাকায় রয়েছে ১টি, ‘যশোর ৩৫ কিঃমিঃ ফলক’ এলাকায় ১টি,কালিগঞ্জ বাজার পাবার প্রায় তিন কিলোমিটার আগে ১টি,কিছুদুর পর আরও ১টি এবং ভাইভাই চিড়ামিল পাবার আগে রয়েছে ১টি তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। কালীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে ১টি বাঁক। কালীগঞ্জ থেকে যশোর সেনানিবাস স্টেশান এলাকা পর্যন্ত সড়কটি অপেক্ষাকৃত বেশ চাপা। সড়কের দুইপার্শ্বে পুরাতন বহু বড় বড় গাছ থাকায় সড়ক-মহাসড়কের এ অংশ বর্ধিত করা সম্ভবপর হচ্ছে না। ফলে ওই স্থান দিয়ে দ্রুতগামী যানবাহন দ্রুত গতিতে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পতিত হচ্ছে। আলহাজ্ব আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশান পাবার আগে রয়েছে ১টি,বারোবাজার পার হয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার পর ১টি,বারীনগর বাজার পাবার আগে রয়েছে ১টি, চুড়ামনকাঠি বাজার পাবার আগে ও পরে রয়েছে ২টি, সানতলা এলাকায় ১টি এবং যশোর ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশানের সামনে রয়েছে আরও ১টি তীব্র ঝুঁকিপূর্ন বাঁক। শাহজাদপুর-পাবনা-কুষ্টিয়া-যশোর সড়ক-মহাসড়কের ১০৮টি বাঁক যাত্রীদের জন্য মৃত্যুফাঁদ-এ পরিণত হবার পাশাপাশি ওই সড়ক-মহসড়কের বড়বড় বাসষ্ট্যান্ড ছাড়াও মিনি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যেখানে সেখানে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যাত্রীবাহী বাস,মিনিবাস,ট্রাক,কাটা মাইক্রো,সিএনজি টেম্পু,অবৈধ ফিটনেস বিহীন নছিমন-করিমন দাড় করিয়ে রাখা হয়।এছাড়া এসব বাসষ্ট্যান্ড ছাড়াও যেখানে সেখানে হঠাৎ করেই মহাসড়কের সাথে সংযোগ সড়ক থেকে মহাসড়কে দ্রুতগতিতে যানবাহন ওঠানামা করায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা আশংকাজন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দ্রুতগামী কোচসহ সকল বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ওইসব বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় সকল সময়ই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যত্রতত্র যানবাহন দাড় করিয়ে রাখায় প্রায় বেশিরভাগ সময় যানযট লেগেই থাকে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী সাধারনকে। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চালকদের নিয়ন্ত্রনে থাকলেও অবৈধ নছিমন করিমনের অদক্ষ চালকরা অনেক সময় তাদের ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রনে ব্যার্থ হয়। তখনই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জানা গেছে,প্রতিদিন এ মহাসড়কের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। শাহজাদপুর-পাবনা-কুষ্টিয়া-যশোর সড়ক-মহাসড়কের চলাচলকারী শত শত অবৈধ লছিমন-করিমন,ভটভটি,হিউম্যান হলার,কাটা-মাইক্রো,ব্যাটারীচালিত ইজিবাইকের কোনরূপ বিআরটিএ’র রেজিষ্ট্রেশান,ফিটনেস সার্টিফিকেট,ইনস্যুরেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই নিয়মিত চলাচল করছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধে সড়ক-মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন সগর্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওইসব যানবাহনের সংখ্যা দিনদিন বদ্ধি পাওয়ায় শাহজাদপুর-পাবনা-কুষ্টিয়া-যশোর সড়ক-মহাসড়কে সকল যানবাহন চলাচলে মারাত্বকভাবে বিঘœ ঘটার পাশাপাশি আশংকাজনক হারে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে নামে মাত্র অভিযান চালালেও পরদিন থেকেই আবার ওইসব ফিটনেসবিহীন যানবাহন মহাসড়ক সগর্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ নছিমন করিমনের দাপটে দুরপাল্লার যানবাহনের স্বাভাবিক গতিতে চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাছাড়া এ সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গায়ের জোরে ইচ্ছেমতো যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখায় ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিন লাখ লাখ যাত্রীদের চলাচল ও মালামাল পরিবহন করতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, শাহজাদপুর-পাবনা-কুষ্টিয়া-যশোর সড়ক-মহাসড়কের প্রায় ১০৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের অনেক স্থানেই দিক নির্দেশনামূলক সাংকেতিক চিহ্ন না থাকায়,নির্ধারিত গতিবেগের চেয়ে অধিক গতিতে যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়মিত নজরদারীর অভাব এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাহজাদপুর-পাবনা-কুষ্টিয়া-যশোর সড়ক-মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত শত শত পার্শ্ব সড়কগুলোতে স্পীডবেকার বা গতিরোধক তৈরি করে দেওয়া ও এ সড়ক-মহাসড়কের যেসব স্থানে সাদা বর্ডার মুছে গেছে বা নেই ওইসব স্থানে সড়ক-মহাসড়কের দুইপাশে এবং মাঝখানে সাদা বর্ডার দেওয়া হলে একদিকে যেমন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার হার রেকর্ড পরিমান হ্রাস পাবে,অন্যদিকে এ জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চরের লাখ লাখ লোকের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বহুলাংশে কমে যাবে। ফলে অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় শাহজাদপুর-পাবনা-কুষ্টিয়া-যশোর সড়ক-মহাসড়কের বহুমূখী ওইসব সমস্যাগুলোর আশু সমাধান করতে পারলে উত্তরাঞ্চলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী সাধারনের জীবনের ও অর্থিক ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যাবে ।
সম্পর্কিত সংবাদ
অপরাধ
রাজশাহীতে সন্ত্রাসী হামলায় মুক্তিযোদ্ধা আহত
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি ভিপি আইনুল হক (৪৮)-কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা প... রায়গঞ্জ প্রতিনিধিঃ রায়গঞ্জে সরকারী ভাবে ধান সংগ্রহ শুরু না করায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ক্ষ...
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাদল্যাপুরে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে রূপম মিয়া (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছ... শামছুর রহমান শিশির : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এক পল্লী রাউতারা গ্রামের সফল ও দেশের এক...
রায়গঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার
রায়গঞ্জ
রায়গঞ্জে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ
জাতীয়
রাষ্ট্রপতি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন
অপরাধ
সাদুল্যাপুর এক যুবকের লাশ উদ্ধার-আটক ১
অর্থ-বাণিজ্য
গোবরে পদ্মফুল-শেষ : এলিজা খানের গো-খামারের মডেল ছড়িয়ে দিলে পাল্টে যাবে দেশের গ্রামীন অর্থনীতির চিত্র