রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
huge eggfish uttoranchal 04.04.15 মোঃ শফিকুল ইসলাম ফারুক : নাব্যতা সংকটে উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর বুকে বিরাজ করছে ধু-ধু বালুর চর। নদীগুলোর বক্ষে যে টুকু পানি আছে তা দখলদারদের করায়াত্বে । বাসযোগ্য পানির অভাবে উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমানে ডিমওয়ালা দেশীয় প্রজাতির মা মাছ। ফলে মিঠা পানির দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বৃদ্ধি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ‘মাছে ভাতে বাঙ্গালী’ কথাটি ধীরেধীরে কল্পবক্যে পরিনত হচ্ছে।উত্তরাঞ্চলের নদী,নালা,খাল-বীল শুকিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে দেখা দিয়েছে মাছের তীব্র আকাল। নাব্যতা হারিয়ে নয়তো শুকিয়ে যাওয়ায় এক সময়ের বিস্তৃত জলসীমা অবৈধ দখলদারদের করায়াত্ত। বর্তমানে যেটুকু দখলমুক্ত সেখানেও মাছের তীব্র আকাল। হাওর,বাওর,খাল-বীল এখন আর জেলেদের দখলে নেই। বিত্তশালীরা টাকা ও ক্ষমতার জোড়ে এগুলো লীজ নিয়ে নিয়েছে। ফলে জেলেরা হয়ে পড়ছে কর্মহীন। আর এখনো যারা এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছে তারা উত্তরাঞ্চলের মৃতপ্রায় নদনদী থেকে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা বড় মা মাছ নির্বিচারে নিধন করায় মাছের বংশবৃদ্ধি মারাত্বকভাবে বিঘ্ন হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন উদাসীন। এতে ভবিষতে দেশে মাছের তীব্র সংকটের আশংকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞ মহল। জানা গেছে,‘যমুনা,পদ্মা,করতোয়া,হুরাসাগর,বড়ালসহ এ অঞ্চলের নদনদীগুলোর প্রবাহমান অংশ শুকিয়ে এতটাই সংকীর্ণ,সংকুচিত হয়ে পড়েছে যে মাছের বাসযোগ্য পরিবেশ বিপন্ন ও বিপদসঙ্কুল হয়ে পড়েছে। বিরাজিত স্বল্প পরিধির জলসীমায় অল্প পরিমানে যেসব বৃহৎ দেশীয় প্রজাতির মা মাছ রয়েছে তাও নির্বিচারে নিধনের মহোৎসব চলছে। সরোজমিনে বাঘাবাড়ী বরাল নদীর দক্ষিণ পাড় এলাকায় জেলেদের জালে বৃহৎ ২টি ডিমওয়ালা চিতল মাছ ও ১টি আইড় মাছ ধরা পড়ে। ডিমওয়ালা চিতল মাছদুটি ওজনে প্রায় ৮ কেজি। ওই মাছদুটি কেজিপ্রতি ১ হাজার ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অপর ১টি ডিমওয়ালা দেশীয় প্রজাতির বৃহৎ আইড় মাছও আকাশচুম্মি মূল্যে বিক্রি হতে দেখা যায়। অথচ প্রজনন মৌসুমে ওই ৩টি মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়লে নিঃসন্দেহে হাজার হাজার পোনা মাছের জন্ম হতো। এমন ঘটনা শুধু বড়াল নদীতেই নয় উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো থেকে নির্বিচারে বৃহৎ আকারের ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন অব্যাহত রয়েছে।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বরাল,যমুনা,পদ্মা,করতোয়া,হুরাসাগর,নন্দকুজা,বেশানী,আত্রাই,গুমানী,গুর,ফকিরনী,শিববারনই,নাগর,ছোট যমুনা,মুসাখান,নারদ ও গদাইসহ উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫/৩০ ফুট নীচে নেমে গেছে। সরাসরি এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অসংখ্য শাখা নদী ও নালা গুলোতে। ফলে মাছের বাসযোগ্য পরিবেশ বিপদসঙ্কুল হয়ে পড়ায় মাছের প্রজনন ও জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে স্বল্প পরিধিতে যে পরিমানে পানি অবশিষ্ট রয়েছে সেসব স্থান থেকে ডিমওয়ালা বড় মা মাছ ধরে হাটবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরের সাবেক এমপি কবিতা ও চয়নের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

রাজনীতি

শাহজাদপুরের সাবেক এমপি কবিতা ও চয়নের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ঘটনার দুই বছর পর বৃহস্পতিব...

নানা অব্যবস্থাপণায় চলছে পাবনা সেচ প্রকল্প

নানা অব্যবস্থাপণায় চলছে পাবনা সেচ প্রকল্প

পাবনা প্রতিনিধি :-নানা অব্যবস্থাপণার মধ্যদিয়ে চালু রয়েছে পবনা সেচ প্রকল্প। অবহেলা ও অনিয়মের কারণে সেচ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ...

শাহজাদপুরে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল শিশু হোসাইনের

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল শিশু হোসাইনের

ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে মহাসড়ক পাড়ি দেয়ার সময় পাবনা থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস চাপায় হোসাইন সরদার নামের এক ৯ বছরের শ...

নগ্ননৃত্য ও দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত ১১ নারী ও ৫ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

অপরাধ

নগ্ননৃত্য ও দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত ১১ নারী ও ৫ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

শাহজাদপুরে বিভিন্ন নদী-বিলে নৌকায় পিকনিক ও বিনোদনের...

সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন

শাহজাদপুর

সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর(পাঠার মোর) গ্রামে সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে এলাকাবাসী ও পোরজনা উচ্চ...

শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ‘মামলা না হওয়ার কারণ’ খুঁজছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি

শাহজাদপুর

শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ‘মামলা না হওয়ার কারণ’ খুঁজছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি

আওয়ামী লীগ–সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, না হ...