শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছোঁয়াচে। কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে না এলে এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে। কাজেই আপনার পাশের বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে করোনা সংক্রমিত রোগী থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাড়িতে কারও করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হলে বা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে সন্দেহ হলে পাঁচটি বিষয় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো হলো আইসোলেশন বা আলাদা রাখা, নিরাপত্তা ও পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা, চিকিৎসা, প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ এবং পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা। এগুলো নিশ্চিত করতে নিম্নোক্ত উদ্যোগগুলো নিতে হবে: * বাসার একটি কক্ষকে রোগীর জন্য আলাদা করে দিতে হবে। কক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত টয়লেট থাকলে ভালো। * যে কক্ষে সবচেয়ে বেশি জানালা ও আলো-বাতাসের চলাচল আছে, সেটাই বেছে নিন। * কক্ষটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন ও বাড়তি আসবাব, কার্পেট ইত্যাদি সরিয়ে ফেলুন। ঘরের দরজা অতি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধই রাখুন। 'নেগেটিভ বাতাসের প্রবাহ' তৈরি করতে পারলে আরও ভালো। এ ক্ষেত্রে একজস্ট ফ্যান বা স্ট্যান্ড ফ্যান ভালো কাজে দেয়। * আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা না করা গেলে নিজেদের কক্ষেই জানালার কাছে পর্দা দিয়ে রোগীর জন্য আলাদা অস্থায়ী কক্ষ তৈরি করুন। * রোগীর বিছানার চারদিকে যথেষ্ট পরিমাণে জায়গা থাকা উচিত। কমপক্ষে ৩ ফুট হলে ভালো। * বিছানার পাশে জিনিসপত্র, গ্লাস, ওষুধ রাখার জন্য ছোট একটা টেবিল রাখুন। প্রতিদিন কয়েকবার রোগী নিজেই জীবাণুনাশক তরল দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করবেন। * রোগীর বাথরুম থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন। এই বাথরুম বাড়ির আর কারও ব্যবহার না করাই উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় রোগী যদি নিজের জামাকাপড় ও টয়লেট ধুয়ে নেন। * রোগীর ময়লা বা ব্যবহৃত আবর্জনা ফেলতে ঢাকনাসহ বিন বিছানার কাছেই রাখুন। একটা পলিথিনের ব্যাগে রোগী নিজেই তাঁর ব্যবহৃত আবর্জনা ফেলবেন। প্রতিদিন ডাস্টবিনটা অন্য কেউ গ্লাভস পরে বাইরে নিয়ে যাবেন। এই ময়লা বাড়ির বাইরে কোথাও পুড়িয়ে ফেলতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। * অসুস্থ ব্যক্তি এবং সেবাদানকারী উভয়ই মাস্ক পরবেন। * পুরো বাড়ি আবর্জনামুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখুন। * বাড়ির ভেতরে রোগীর থাকার জায়গা চিহ্নিত করে আলাদা করুন। চিহ্নিত জায়গার ভেতরে পরিচর্যাকারী ছাড়া আর কেউ যাবেন না। * রোগীর কক্ষ ও হাঁটাচলার পথ রোজ দু-একবার ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। * বাসার শিশুদের জন্য নির্ধারিত জায়গা ঠিক করুন। তাদের খেলার ব্যবস্থা এবং সৃজনশীল কাজের ব্যবস্থা করে দিন। বয়স্ক ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দূরে রাখুন। * পরিবারের সদস্যদের মানসিক সুস্থতার কথা ভাবুন। রোগীর সঙ্গে মুঠোফোনে বা ডিজিটাল মাধ্যমে পরিবারের সবাই যোগাযোগ রাখুন, তাঁকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার চেষ্টা করুন। লেখক: বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

সম্পর্কিত সংবাদ

বিগ ডাটা কি এবং কেন! ( What is Big Data and Why? )

ফটোগ্যালারী

বিগ ডাটা কি এবং কেন! ( What is Big Data and Why? )

একটা সময় ছিলো যখন আমরা আমাদের সবকিছুই কাগজে লিখে রাখতাম। কখন খেতে যাবো, কবে মিটিং, কখন শপিং এ যাবো এসব টু ডু লিস্টগ...

শাহজাদপুরে ১৬ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা! আটক ২

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ১৬ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা! আটক ২

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পৌর এলাকার নলুয়া বটতলার মুদি দোকানী রইচ উদ্দিনের নিখোঁজের ১৫ দিন পর প্রতিবেশি শফিকুলের বাড়ির পাশের...

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন,...

শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ‘মামলা না হওয়ার কারণ’ খুঁজছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি

শাহজাদপুর

শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ‘মামলা না হওয়ার কারণ’ খুঁজছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি

আওয়ামী লীগ–সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, না হ...

আবার জোড়া গোল মেসির, মায়ামির পর এবার শীর্ষে তুললেন নিজেকে

খেলাধুলা

আবার জোড়া গোল মেসির, মায়ামির পর এবার শীর্ষে তুললেন নিজেকে

জিলেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইন্টার মায়ামির পক্ষে ছিল না। প্রায় ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড ম...

কোন পেশাই ছোট নয়, সব পেশাকে সম্মান করুন

উপ-সম্পাদকীয়

কোন পেশাই ছোট নয়, সব পেশাকে সম্মান করুন

মানুষের প্রয়োজনে দুনিয়ায় কত শত পেশা যে তৈরি হয়েছে তার ইয়ত্তা নাই । দেখুন না, জুতা সেলাই থেকে জাহাজ তৈরি কিংবা টিকা তৈরি...