বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছোঁয়াচে। কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে না এলে এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে। কাজেই আপনার পাশের বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে করোনা সংক্রমিত রোগী থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাড়িতে কারও করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হলে বা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে সন্দেহ হলে পাঁচটি বিষয় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো হলো আইসোলেশন বা আলাদা রাখা, নিরাপত্তা ও পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা, চিকিৎসা, প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ এবং পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা। এগুলো নিশ্চিত করতে নিম্নোক্ত উদ্যোগগুলো নিতে হবে: * বাসার একটি কক্ষকে রোগীর জন্য আলাদা করে দিতে হবে। কক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত টয়লেট থাকলে ভালো। * যে কক্ষে সবচেয়ে বেশি জানালা ও আলো-বাতাসের চলাচল আছে, সেটাই বেছে নিন। * কক্ষটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন ও বাড়তি আসবাব, কার্পেট ইত্যাদি সরিয়ে ফেলুন। ঘরের দরজা অতি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধই রাখুন। 'নেগেটিভ বাতাসের প্রবাহ' তৈরি করতে পারলে আরও ভালো। এ ক্ষেত্রে একজস্ট ফ্যান বা স্ট্যান্ড ফ্যান ভালো কাজে দেয়। * আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা না করা গেলে নিজেদের কক্ষেই জানালার কাছে পর্দা দিয়ে রোগীর জন্য আলাদা অস্থায়ী কক্ষ তৈরি করুন। * রোগীর বিছানার চারদিকে যথেষ্ট পরিমাণে জায়গা থাকা উচিত। কমপক্ষে ৩ ফুট হলে ভালো। * বিছানার পাশে জিনিসপত্র, গ্লাস, ওষুধ রাখার জন্য ছোট একটা টেবিল রাখুন। প্রতিদিন কয়েকবার রোগী নিজেই জীবাণুনাশক তরল দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করবেন। * রোগীর বাথরুম থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন। এই বাথরুম বাড়ির আর কারও ব্যবহার না করাই উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় রোগী যদি নিজের জামাকাপড় ও টয়লেট ধুয়ে নেন। * রোগীর ময়লা বা ব্যবহৃত আবর্জনা ফেলতে ঢাকনাসহ বিন বিছানার কাছেই রাখুন। একটা পলিথিনের ব্যাগে রোগী নিজেই তাঁর ব্যবহৃত আবর্জনা ফেলবেন। প্রতিদিন ডাস্টবিনটা অন্য কেউ গ্লাভস পরে বাইরে নিয়ে যাবেন। এই ময়লা বাড়ির বাইরে কোথাও পুড়িয়ে ফেলতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। * অসুস্থ ব্যক্তি এবং সেবাদানকারী উভয়ই মাস্ক পরবেন। * পুরো বাড়ি আবর্জনামুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখুন। * বাড়ির ভেতরে রোগীর থাকার জায়গা চিহ্নিত করে আলাদা করুন। চিহ্নিত জায়গার ভেতরে পরিচর্যাকারী ছাড়া আর কেউ যাবেন না। * রোগীর কক্ষ ও হাঁটাচলার পথ রোজ দু-একবার ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। * বাসার শিশুদের জন্য নির্ধারিত জায়গা ঠিক করুন। তাদের খেলার ব্যবস্থা এবং সৃজনশীল কাজের ব্যবস্থা করে দিন। বয়স্ক ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দূরে রাখুন। * পরিবারের সদস্যদের মানসিক সুস্থতার কথা ভাবুন। রোগীর সঙ্গে মুঠোফোনে বা ডিজিটাল মাধ্যমে পরিবারের সবাই যোগাযোগ রাখুন, তাঁকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার চেষ্টা করুন। লেখক: বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

সম্পর্কিত সংবাদ

পদত্যাগ করলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

শাহজাদপুর

পদত্যাগ করলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গত বৃহস্পতিবার আমরণ অনশনের আন্দোলনের মুখে পদ...

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আউয়াল মাস্টারের দাফন সম্পন্ন

শাহজাদপুর

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আউয়াল মাস্টারের দাফন সম্পন্ন

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আউয়াল মাস্টার (৭৩) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) স...

বাংলাদেশি হ্যাকারদের ভয়ে ফ্রান্সে সতর্কতা জারি

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি হ্যাকারদের ভয়ে ফ্রান্সে সতর্কতা জারি

মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে বাংলাদে...

হিলিতে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ আটক ২

বাংলাদেশ

হিলিতে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ আটক ২

দিনাজপুরের হাকিমপুরে হিলিতে পৃথক ৩টি মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে স্বামী স্ত্রী সহ ৫ মাদক চোরাকারবারীকে আটক করেছে থানা পুলি...

শাহজাদপুরে এড. আব্দুর রহমান এমসিএ'র ৫ম  মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রাজনীতি

শাহজাদপুরে এড. আব্দুর রহমান এমসিএ'র ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসম্বের -২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ : গতকাল বুধবার বাদ আছর শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় ক...

আঁখির বুননে স্বপ্নের চাদর বাংলাদেশের

খেলাধুলা

আঁখির বুননে স্বপ্নের চাদর বাংলাদেশের

গতকাল নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ মেয়েদের সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়...