বিশিষ কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন করা হলে ফলাফল আগের মতই হবে
আবুল বাশারঃ অতীতেও বারবার বিভিন্ন এজন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। যারা এ কর্মটি করেছেন তাদের উদ্দেশ্য মোটেও সৎ ছিল না। বর্তমানেও যারা তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে তাহলে ফলাফল আগের মতোই হবে। বিগত ৪৩ বছওে ৫ দফা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই হয়েছে।যতবার যাচাই-বাছাই হয়েছে ততবার মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়েছে। মন্ত্রণালয় তথ্যসূত্রে জানাযায়, বর্তমানে সরকারি গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ সাড়ে ৯ হাজার। ৪৩ বছরে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হতে আরো বাকি আছে এমনটা কিখনই বিশ্বাস যোগ্য নয়। যে তালিকা প্রণীত হয়েছে তার মধ্যেই হাজার হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বিদ্যমান। এর পরে গেজেটের বাইরে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে গ৩ ৩১ অক্টোবর/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় জামুকা। অনলাইন ও সরাসরি আবেদন জমা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়। নতুন করে এধরনের আবেদন জমা নেয় কোন ধরনের বার্তা বহন করে তা ভবিষ্যতে প্রমাণিত হবে। মন্ত্রণালয়ের ঐ ঘোষণায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সারা দেশের এক লাখ ৩৩ হাজার ১৭০টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে অনলাইনে এক লাখ ২৩ হাজার ১৭০টি আবেদন জমা পড়েছে। বাকি ১০ হাজার আবেদন হার্ডকপি (কাগুজে আবেদন) জমা পড়েছে সরাসরি। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে দেশে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। মুক্তিবার্তা লালবই, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে সংরক্ষিত ভারতীয় তালিকা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিস্বাক্ষরিত সনদ দেখে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। যারা এসব ক্যাটাগরির ভেতর না পড়বে তাদের গেজেট ও সনদ বাতিল করা হবে বলে জানাযায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের পর সেক্টর কমান্ডার ও সাবসেক্টর কমান্ডারদের বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীর সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৮০০ এবং অনিয়মিত বাহিনীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার। অর্থাৎ মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮০০ জন।। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল ১১ সেক্টরে সেক্টর বাহিনীর সংখ্য-১৭ হাজার ( বর্তমানে ওয়েবসাইট বন্ধ রাখা হয়েছে)। সে হিসাব মতে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাড়ায় মোট এক লাখ ২৭ হাজার। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর বিলুপ্তির পর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রশিক্ষণ ও রেকর্ড সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান ইবিআরসিতে স্থানান্তিরিত দলিলে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৭০ হাজার ৮৯৬ জন। এক্ষেত্রে আগের তালিকার বাকি মুক্তিযোদ্ধার হদিস পাওয়া যায়নি। এটিই পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে সংরক্ষিত রয়েছে। যেটি ভারতীয় তালিকা নামে পরিচিত। এর আগে ১৯৭৮ সালের পর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরির কাজে হাত দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচএম এরশাদকে এ দায়িত্ব দেন তিনি। ওই তালিকায় ১৯৮৬ সালে এরশাদের শাসনামলে জাতীয় তালিকা নামে প্রকাশ করা হয়। যার সংখ্যা ছিল এক লাখ দুই হাজার ৪৫৮। তবে এ তালিকা গেজেট হিসেবে প্রকাশিত হয়নি। ১৯৯৪ সালে বিএনপির শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভোটার-সূচক তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ৮৬ হাজার। আওয়ামী লীগের আমলে (১৯৯৬-২০০১) মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত হয় এক লাখ ৮২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম। সেখান থেকে ১৯৯৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎকালীন ডিজি মমিনউল্লাহ পাটোয়ারির নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলা কমান্ডারদের নেতৃত্বে গঠিত যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে তৈরি করা তালিকাটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে সংরক্ষণ করা হয়। যারা তালিকাগুলি তৈরি করেছিল তাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল না। এ বিষয়ে সাবেক সেনাপ্রধান ও বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সাবেক মহাসচিব লে. জে. (অব.) হারুনন অর রশীদ বলেছেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা যায়নি রাজনৈতিক কারণে। কারণ যারাই তালিকা করেছেন তারাই কোনো এজেন্ডা নিয়ে করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য মোটেও সৎ ছিল না। বর্তমানেও যারা তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে তাদের যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে তাহলে ফলাফল আগের মতোই হবে। লেখক- মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক,কলামিষ্ট ও গবেষক প্রধান সম্পাদক শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম মোবাইলনং- ০১৮৫৫-৬৯৪৯৪৬ তারিখ- ১৬ মার্চ, ২০১৫ ইংরেজি।সম্পর্কিত সংবাদ
রাজনীতি
শাহজাদপুরের সাবেক এমপি কবিতা ও চয়নের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ঘটনার দুই বছর পর বৃহস্পতিব...
শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল শিশু হোসাইনের
ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে মহাসড়ক পাড়ি দেয়ার সময় পাবনা থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস চাপায় হোসাইন সরদার নামের এক ৯ বছরের শ...
নানা অব্যবস্থাপণায় চলছে পাবনা সেচ প্রকল্প
পাবনা প্রতিনিধি :-নানা অব্যবস্থাপণার মধ্যদিয়ে চালু রয়েছে পবনা সেচ প্রকল্প। অবহেলা ও অনিয়মের কারণে সেচ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ...
অপরাধ
নগ্ননৃত্য ও দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত ১১ নারী ও ৫ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
শাহজাদপুরে বিভিন্ন নদী-বিলে নৌকায় পিকনিক ও বিনোদনের...
শাহজাদপুর
সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর(পাঠার মোর) গ্রামে সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে এলাকাবাসী ও পোরজনা উচ্চ...
শাহজাদপুর
শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ‘মামলা না হওয়ার কারণ’ খুঁজছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি
আওয়ামী লীগ–সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, না হ...