শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
Ullapara Photoউল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ উল্লাপাড়ার স্কুল ছাত্র সাকিব হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার লাহিড়ীমোহনপুর কে.এম ইন্সষ্টিটিউটের শিক্ষাথী, শিক্ষক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকবৃন্দ মোহনপুর-তালগাছী আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধ, বিক্ষোভ মিছিল ও স্কুল চত্ত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। স্কুল কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাঁশির সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান, কমিটির সদস্য শাহাদত হোসেন জিকো, জমসের আলী, নিহত সাকিবের বাবা গোলাম মোস্তফা, সহকারী শিক্ষক আব্দুল আলীম, আব্দুল হালিম, আওয়ামীলীগ নেতা উত্তম কুমার কুন্ডু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। পরে স্কুল চত্ত্বরে সাকিবের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। লাহিড়ীমোহনপুর কে.এম ইন্সষ্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র সাকিবকে গত ১৫ এপ্রিল বন্ধু রবিন বাড়িতে থেকে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে। পুলিশ পরদিন গাজীপুরের সাফারী পার্ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পুলিশ সাকিবের তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল সাকিবের নিজ গ্রাম সাতবিলার রবিন, ইমরান ও আরমান। এদিকে উল্লাপাড়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সাকিবের অপহরণকারী রবিন, ইমরান ও আরমান সিরাজগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাকিবকে হত্যার পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছে। সাকিব হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, সাকিবকে প্রতিবেশী ও একই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রবিন ১৫ এপ্রিল সকালে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে উল্লাপাড়া রেল স্টেশন হতে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন যোগে গাজীপুরের লক্ষীপুরা গ্রামের বড় ভাই ইমরানের বাড়িতে যায়। ইমরান সাকিবকে তার একটি ঘরে রেখে খেতে দেয়। বিকেলে একই গ্রামের আরমান তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। ইমরান একটি স্কুল বেগে দুটি রশি ভরে পরে সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে তারা বেড়ানোর কথা বলে গাজীপুরের সাফারী পার্কের শালবনে যায়। সেখানে রবিন প্রথমে সাকিবের গালে কয়েকটি চড় মেরে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাকিবকে তার মোবাইল থেকে বাবাকে ফোন করে সে অপহরণ হয়েছে বলে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে। পরে সাকিব বিষয়টি বুঝতে পেরে রবিন ও ইমরানকে বলে ওঠে তোমরা এ কাজ করলে ? এই কথার পর ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা ভেবে অপহরণকারীরা সাকিবকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সময় ইমরান ব্যাগ থেকে রশি বের করে এবং সাকিবের মুখে স্কচ টেপ মেরে দেয়। ইমরান সাকিবের গলায় রশি পেঁচায়। তারপর তারা দুজনে রশির দু’প্রান্তে ধরে টেনে পাশের দুটি গাছের সঙ্গে বেঁধে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর তারা লাশ ফেলে পৃথকভাবে পার্কের গেট দিয়ে বেড়িয়ে যায়।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে ৫ বাড়িতে চুরি! আটক ৪

অপরাধ

শাহজাদপুরে পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে ৫ বাড়িতে চুরি! আটক ৪

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে দুটি টিউবওয়েলের পানিতে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ৫ বাড়ির পরিবারের সবাইকে অচেতন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংক...

বিগ ডাটা কি এবং কেন! ( What is Big Data and Why? )

ফটোগ্যালারী

বিগ ডাটা কি এবং কেন! ( What is Big Data and Why? )

একটা সময় ছিলো যখন আমরা আমাদের সবকিছুই কাগজে লিখে রাখতাম। কখন খেতে যাবো, কবে মিটিং, কখন শপিং এ যাবো এসব টু ডু লিস্টগ...

২৪ জেলার যাত্রী ভোগান্তি: খানাখন্দে ভরা সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক

ফটোগ্যালারী

২৪ জেলার যাত্রী ভোগান্তি: খানাখন্দে ভরা সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে মহাসড়কের বেহাল দশার কারনে প্রতিদিনই হাটিকুমরুল গোল চত্তর থেকে নলকা ব্রিজ পর্যন্ত বাড়ছে য...

চাপা তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ ফুটপাতবিহীন ৩০ টি পুরানো সেঁতু যাত্রীদের জন্য মৃত্যফাঁদ!

জীবনজাপন

চাপা তীব্র ঝূঁকিপূর্ণ ফুটপাতবিহীন ৩০ টি পুরানো সেঁতু যাত্রীদের জন্য মৃত্যফাঁদ!

শামছুর রহমান শিশির : শাহজাদপুর-রংপুর-সৈয়দপুর সড়ক মহাসড়কের ৩০টি পুরোনো ফুটপাতবিহীন চাপা তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ সেঁতু যাত্রীদের...