শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

জন্ম-নিবন্ধন, নাগরিক ও জাতীয়তা সনদ, ওয়ারিশ সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গালা ইউনিয়নবাসী। ভোগান্তি লাঘবে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইউনিয়নবাসী।

৫ বছরেও ইউনিয়ন পরিষদে পা পড়েনি চেয়ারম্যানের। এতে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের গালা ইউনিয়নবাসী। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পরেছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনও। জন্ম-নিবন্ধন, নাগরিক ও জাতীয়তা সনদ, ওয়ারিশ সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৩৯ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত গালা ইউনিয়নবাসী। রয়েছে অতিরিক্তি অর্থ আদায়ের অভিযোগও।

 এখানকার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন থাকেন ইউনিয়নের হাট বায়ড়া গ্রামে। ৫ বছরে একবারও আসেননি ইউনিয়ন পরিষদে আর ইউপি সচিব অফিস করেন শাহজাদপুর পৌর সদরে। তাই সরকারি সেবা পেতে স্থানীয়দের যেতে হয় শাহজাদপুর পৌর সদরে কিংবা চেয়ারম্যানের বাড়িতে। গ্রাম আদালত ও তথ্য কেন্দ্র না থাকায় সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নবাসী। নাগরিক পরিচয়পত্র, জন্ম-মৃত্যু সনদ, ত্রাণ পেতে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। আসতে হয় পৌর সদরে এতে করে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জন্ম-নিবন্ধন, নাগরিক ও জাতীয়তা সনদ, ওয়ারিশ সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে ছুটতে হয় গালা ইউনিয়ন থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় শাহজাদপুর পৌর সদরে আসার জন্য।

সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যানের কক্ষে ঝুলছে তালা। পরিষদের আঙ্গিনায় শুকানো হচ্ছে পাট আর জরো করে রাখা হচ্ছে পরিষদের বারান্দায়।

পরিষদের আঙ্গিনায় শুকানো হচ্ছে পাট

খোঁজ নিয়ে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচিত হওয়ার পর একদিন পরিষদে এসেছিল তারপর দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরেই চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলছে। ইউপি সচিব অফিস করেন পৌর সদরে এ কারনে সময়মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সনদ পায় না ইউনিয়নবাসী। এছাড়া বিদেশগামীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যেকোন কাজের জন্য যেতে হয় চেয়ারম্যান এর বাড়ী অথবা শাহজাদপুর পৌর সদরে। ভোগান্তি লাঘবে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন প্রতিবেদককে বলেন, ভবনটি ঝুকিপূর্ন ও পরিষদে আমার জীবনের নিরাপত্তা নাই তাই আমি পরিষদে বসি না। আপনার জীবনের নিরাপত্তা নাই কেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ১৯৭৭সালে আকলম চেয়ারম্যানকে সকাল বেলায় গুলি করে মারলো দেশবাসী সবাই জানে। ওখানে আমাকে যে মারবে না তার কোন গেরান্টি আছে। তাই পরিষদে অফিস করি না।

দ্রুত গালা ইউনিয়নবাসীর ভোগান্তী লাঘবের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল ব্যবসার করুন অবস্থা, প্রনোদনা চায় ব্যবসায়ীরা

এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন,...

১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু

বাংলাদেশ

১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদে...

শাহজাদপুরে দুই মেয়েকে বিষ পান করিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে দুই মেয়েকে বিষ পান করিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ইসলামপুর ডায়া নতুনপাড়া গ্রামে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বিষপান করে ম...