সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জে পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।   জেলার ৫টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে। বসতবাড়ী প্লাবিত হওয়ায় দুর্বিসহ জীবন কাটছে বানভাসীদের। চুলো জ্বলছে না অনেক বানভাসীর পরিবারে। খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের জীবন। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। উচু জায়গা না থাকায় নৌকায় খোলা আকাশের নীচে কাটছে অনেকের সংসার। গবাদি পশুর সাথে এক ঘরে রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। দুর্গম অঞ্চলগুলোতে এখনো পৌছেনি সরকারী ত্রাণ সহায়তা। যা দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। শরীরে ঘা-চুলকানিসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বানভাসী মানুষগুলো। কাজিপুরের নতুন খাসরাজবাড়ী গ্রামটি প্রায় ১৫দিন যাবত পানির নীচে তলিয়ে গেলেও এখানে কোন সরকারী সহায়তা পৌছেনি। এ গ্রামের কিছু কিছু মানুষ নৌকায় খোলা আকাশের নীচে দিনযাপন করছে। নতুন মাইজবাড়ীর চরে আধো ডুবো একটি ছোট্ট ওয়াপদার বাঁধের পাশে বেঁধে রাখা নৌকার উপর থেকে চেচিয়ে চেচিয়ে জ্যোতি চাকলাদার বলেন, আইজ ৮ দিন ধইর‌্যা নায়ের উপর আছি। নায়েই রান্দা, নায়েই খাওয়া, আবার নায়েই শোয়া, এভাবেই চইলত্যাছে আমগোরে জীবন। বানের পানিতে বাড়ি-ঘর ডুইবা গেছে, আশ্রয় কেন্দ্রেও থাকার জায়গা পাই নাই, কোনঠে যামু ? তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮শ টাকার করে নৌকা ভাড়া নিয়া এহেনেই বউ ছওয়ালপাল নিয়া কুনমতে বাইচা আছি। নৌকায় আশ্রয় নেয়া রুস্তম খা, আব্দুস সালাম, বাবলু, সাঈদ, ইসমাইল ও আলমানি আকন্দ  জানান, ৮/৯ দিন ধরে যমুনার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন মাইজবাড়ী, খাসরাজবাড়ী, চর বুরুঙ্গী, উজান মেওয়াখোলা, ভাটি মেওয়াখোলা, মাইজবাড়ী, ঢেকুরিয়াসহ চরাঞ্চলের অর্ধশতাধিক গ্রাম পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। প্রথম ঘরে বাঁশের মাচা তৈরী করে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু ধীরে ধীরে বাঁশের মাচাও ডুবে যায়। গ্রামের রাশিদা খাতুন জানান, রান্না করার জায়গা নেই। দিনে একবার পাক করা হয়। আর বাকী সময় না খেয়েই থাকতে হয়। জায়গা না থাকায় গরু ছাগলের সাথে এক ঘরেই রাত কাটাতে হয়। হযরত আলী জানান, কারও দুদিন, কারও একদিনের খাবার আছে। অনেকের খাবার সংকটের কারণে অন্যের কাছে ধার করতে হচ্ছে।  এত কষ্ট স্বত্বেও এইসব অঞ্চলে এখনও সরকারী-বেসরকারী কোন ত্রাণ পৌছেনি বলে জানান নৌকার উপর আশ্রয় নেয়া বানভাসী মানুষেরা। নতুন মাইজবাড়ী এলাকার সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য লতা খাতুন জানান, অন্যান্য এলাকায় ত্রাণ দিলেও এ অঞ্চলে এখনো কিছুই দেয়া হয়নি। আমরা চাহিদা দিয়েছি। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা চলে আসবে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ওয়ালী উদ্দিন জানান, এ পর্যন্ত ১৩ লক্ষ টাকা ও ৩৭০ মে.টন চাল বিতরণ ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকলকে ত্রাণের আওতায় নানা হবে।

Source:

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুর কোর্ট ভবনে জীবাণু মুক্তকরণ প্রবেশদ্বার স্থাপন

শাহজাদপুর

শাহজাদপুর কোর্ট ভবনে জীবাণু মুক্তকরণ প্রবেশদ্বার স্থাপন

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর হানায় থমকে গেছে বিশ্ব। করোনার ভয়াল থাবায় তিনমাসের অধিক সময় ধরে বন্ধ ছিলো দেশের সকল অধস্তন আদা...

শাহজাদপুরে শেখ ফজলুল হক এসপি'র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ফটোগ্যালারী

শাহজাদপুরে শেখ ফজলুল হক এসপি'র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, শাহজাদপুর : আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক দুলাল ও শাহজাদপুরের গণমানুষের নেতা, মিল্কভিটা'র ভাইস...

শাহজাদপুরে শীতবস্ত্রের অভাবে হৎদরিদ্রদের দুর্বিসহ দিনযাপন

জীবনজাপন

শাহজাদপুরে শীতবস্ত্রের অভাবে হৎদরিদ্রদের দুর্বিসহ দিনযাপন

শামছুর রহমান শিশির : গত কয়েকদিন ধরে শীত জেঁকে বসায় শীতবস্ত্রের অভাবে উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী শাহজাদপুর উপজেলার ৪ টি...

সিরাজগঞ্জে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন

সিরাজগঞ্জ জেলার সংবাদ

সিরাজগঞ্জে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে । গত শুক্রবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার চর...

তাঁতশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদপুরে বৈশাখী তাঁতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক ! চাহিদা ও কদর বাড়ছে : ব্যাতিব্যস্ত দেশের তাঁতশিল্পীরা

অর্থ-বাণিজ্য

তাঁতশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদপুরে বৈশাখী তাঁতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক ! চাহিদা ও কদর বাড়ছে : ব্যাতিব্যস্ত দেশের তাঁতশিল্পীরা

শামছুর রহমান শিশির : পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে দেশের তাঁতশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদপুরসহ দেশের তাঁতসমৃদ্ধ এলাকার তাঁত...

রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ভাঙচুরের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ : সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি

দিনের বিশেষ নিউজ

রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ভাঙচুরের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ : সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি

শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছাড়িবাড়িতে প্রবেশ করে অডিটোরিয়ামের