“মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য“ ভুপেন হাজারিকার ঐতিহাসিক এই গানটিকে বাস্তবে রুপ দিয়েছে শাহজাদপুর পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। তাদের দেওয়া আর্থিক সহযোগীতায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলো শিল্পী খাতুন নামের একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
জানা যায়, শাহজাদপুর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী (ঝাড়ুদার) শিল্পী খাতুন(৩০) বেশ কয়েকদিন যাবৎ পেটের ব্যাথায় ভুগছিল। গত ১ অক্টোবর প্রচন্ড পেটের ব্যাথায় ছটফট করতে থাকলে তার স্বামী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোঃ রাসেল তাকে স্থানীয় মা ও শিশু কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, শিল্পী খাতুনের এ্যাপেন্ডিক্সের নাড়িতে ইনফেকশন হয়ে ফুলে গেছে, তাকে বাঁচাতে হলে অপারেশন প্রয়োজন। তবে ভেতরে ঘা শুকিয়ে গেলে তারপর অপারেশন করতে হবে, এজন্য ১ মাসের ব্যাবস্থাপত্র দেন।
ব্যাবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ কেনার টাকা না থাকায় শিল্পীর স্বামী রাসেল পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর রাজু আহমেদ কে জানায়। রাজু আহমেদ নিজে ও সহকর্মীদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগীতা নিয়ে শিল্পী খাতুনের জন্য ১ মাসের ঔষধ কিনে দেন। পরে পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর আজু আহমেদ উদ্দোগ নিয়ে পৌরসভার কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে সহযোগীতা নিয়েই গত ৯ই নভেম্বর মঙ্গলবার পৌর শহরের মা ও শিশু কেয়ার হাসপাতালে শিল্পী খাতুনের অপারেশন সম্পন্ন হয়।
দুই দিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকার পর গতশনিবার(১৩নভেম্বর) শাহজাদপুর পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর রাজু আহমেদ ও টিপু খান হাসপাতালের গিয়ে বিল পরিশোধ করেন। সেই সাথে বেশ কয়েকদিনের ঔষধ ও ফলমুল কিনে শিল্পী খাতুনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এই বিষয়ে শাহজাদপুর পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর রাজু আহমেদ বলেন, রাসেল ও শিল্পী দম্পতি দুজনই পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মী। তাদের যা বেতন তাতে সংসার চালানোই কঠিন, এরই মধ্যে শিল্পী খাতুন গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরে। শিল্পীর স্বামী যখন আমাকে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে উঠলো সামান্য কিছু টাকার অভাবে আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারবো না। তখনই আমি তাকে আশ্বস্ত করি যে তোমার স্ত্রীর খরচ আমরা ব্যবস্থা করবো। তারপরই পৌরসভার সবাই যখন বিষয়টি জানতে পারে প্রত্যেকেই শিল্পীর চিকিৎসার জন্য সাধ্যমত সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়। শিল্পীর চিকিৎসা ও আনুসাঙ্গিক মিলিয়ে যে খরচ হয়েছে তার প্রায়ই আমরা সহযোগীতা করেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সহযোগীতা করেছেন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী শিল্পী খাতুন বলেন, আমরা খেটে খাওয়া গরিব মানুষ। দুজনে যা আয় করি সেটা দিয়ে দুই সন্তান সহ সংসার চালানোই কঠিন। ডাক্তার যখন জানালো আমার অপারেশন করাতে হবে তখন বেঁচে থাকার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। রাজু ভাই ও পৌসসভার সবাই আমাকে বেঁচে থাকতে সহযোগীতা করেছেন, সেজন্য আমি পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর কাছে কৃতজ্ঞ।
সম্পর্কিত সংবাদ
জাতীয়
জামায়াত নেতা নিজামীর রায় বুধবার
২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি পরীক্ষার সংশোধিত বিষয় কাঠামো প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্র... শিশির আলম: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় থেকে রবিবার রাত ১০টারদিকে এক যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উ... শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্র...পড়াশোনা
এইচএসসি : ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের বিষয় কাঠামো
অপরাধ
উল্লাপাড়ায় যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
মিল্কভিটা
দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়নে মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু - মশিউর রহমান রাঙ্গা