

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় আবারও মানব দেহে অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত ১৩ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এরা হলেন উপজেলার মশিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মোছাঃ হেলেনা খাতুন (৩৫), সানোয়ার হোসেন (২৮), আবির হোসেন (৫), রবিউল ইসলাম (২৫), মেরাজ উদ্দীন (১৫), বেল্লাল হোসেন (১১) ও নাজমুল হক (১৫)। মামুন (১৮) ,রাজু (১০) হাসান(১২) ,নাজমিনা (৪), অর্ঘ (৮), নাছির (১২)। খবর পেয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই ওই এলাশায় অভিযান চালিয়ে ফ্রিজে রাখা মাংস জব্দ করে মাটিতে পুতে ফেলেন। মশিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ জানান, ওই গ্রামের জাহের আলী শেখের একটি অসুস্থ গাভী গত ৩ জুলাই মশিপুর ফুটবল মাঠ চত্বরে জবাই করে কম দামে মাংস বিক্রি করে। ওই দিন বিকেলে এ মাঠে ফুটবল খেলার সময় মেরাজ, বেল্লাল ও নাজমুল ওই রোগাক্রন্ত পশু জবাইয়ের স্থানে ছড়িয়ে থাকা রক্তের উপর পড়ে যায়। এতে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ওই রক্ত লেগে যায়। কয়েকদিন পর ওই স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মাংস রান্না ধোয়া ও কাটাবাছার কাজে জড়িতদেরও হাতে, বাহুতে, পেটে, বুকে একই ধরনের ক্ষত দেখা দেয়। খবর পেয়ে গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ কর্মীরা এদের উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।সেখানের চিকিৎসকরা সবাইকে পরীক্ষা করে অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে সনাক্ত করেন। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মনোয়ার হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ১৩ জন রোগীকে সনাক্ত করে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদীপশুর মাংস কাটা ছেড়া, রান্না, ধোয়ার সময় এই রক্ত বা রক্তমিশ্রিত পানি যে কোন উপায়ে মানুষের শরীরে স্পর্শ করলে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। তবে চিকিৎসায় এই রোগ ভাল হয়। আতংকের কোন কারণ নেই। শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এই গাভীটি ভ্যাকসিনের আওতাভুক্ত ছিলো না। গাভীটি অল্প দিন হল বাইরে থেকে কিনে আনা হয়েছে। গাভীটি অসুস্থ হলে পড়ায় জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়েছে। ফলে এই বিপত্তি ঘটে। এদিকে দাম কম পেয়ে এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার এ মাংস কিনে ফ্রিজে রাখে।এ খবর পেয়ে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল হাই অভিযান চালিয়ে তা জব্দ করে মাটিতে পুতে ফেলেন। এদিকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে অসুস্থ্য গরু জবাই ও মাংস বিক্রির দায়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জাহের আলি শেখ নামের গরুর মালিককে ভ্রাম্যমান আদালতে ৭ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। উল্লেখ্য,এ নিয়ে গত ৩ মাসে শাহজাদপুর উপজেলায় ৭৮ জন অ্যাথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হলো।
সম্পর্কিত সংবাদ

স্বাস্থ্য
শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কালাজ্বর নির্মুলের উদ্দেশ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শাহজাদপুর প্রতিনিধি : ‘এক দিনের চিকিৎসায় কালাজ্বর সেরে যায় ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গতকাল রোববার বাংলাদেশ সরকার...

বাংলাদেশ
ঈদে ৮ দিন শিথিল, পরে কঠোর বিধিনিষেধ
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। তবে ২৩ জুলাই থেকে...

অর্থ-বাণিজ্য
শাহজাদপুর উপজেলা বস্ত্র মালিক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন
শামছুর রহমান শিশির: শাহজাদপুর উপজেলা বস্ত্র মালিক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ...